ঢাকা ০৭:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মগবাজারের হোটেলে স্ত্রী-সন্তানসহ প্রবাসীর রহস্যজনক মৃত্যু ফরিদপুরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের হোতা কুটি মিয়া অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেফতার এইচএসসি পরীক্ষায় দ্বিতীয় দিনে অনুপস্থিত ২২ হাজার শিক্ষার্থী, বহিষ্কার ৪১ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হবে সম্মান এবং পারস্পরিক স্বার্থে: আমীর খসরু ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন দাবি বিএনপির, আপসের প্রশ্ন নেই: দুদু ইরানে আইএইএ মহাপরিচালকের মৃত্যুদণ্ডের দাবির কড়া প্রতিক্রিয়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেশে নতুন করে ১৩ জনের করোনা শনাক্ত, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু নেই বিসিবির সভা আগামীকাল, এজেন্ডায় থাকছে কী? আজ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় তিন শিশুসহ নিহত ১৪ জন শীর্ষক: রেমিট্যান্স প্রবাহে ঊর্ধ্বগতি: জুনের ২৮ দিনেই এসেছে ২৫৩ কোটি ডলার

দুর্নীতির অভিযোগে পররাষ্ট্রসচিবসহ ছয় সাবেক সচিবের অফিসার্স ক্লাবের সদস্যপদ স্থগিত

দুর্নীতি, পররাষ্ট্রসচিব, সাবেকসচিব, অফিসার্সক্লাব
  • আপডেট সময় ০১:৫৬:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
  • / 36

ছবি সংগৃহীত

 

দুর্নীতি ও অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিনসহ ছয় সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তার সদস্যপদ স্থগিত করেছে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত অফিসার্স ক্লাব। গতকাল সোমবার ক্লাবের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুর্নীতি ও অনৈতিক অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকায় তাদের নৈতিক স্খলনের অভিযোগে সদস্যপদ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।

পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন ছাড়াও যাঁদের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে, তারা হলেন—সাবেক সচিব এম এ কাদের সরকার, দুদকের সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ জহিরুল হক, সাবেক সিনিয়র সচিব ও পিএসসির সদস্য এস এম গোলাম ফারুক, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. আনিসুর রহমান এবং সাবেক সচিব মো. সিরাজুল হক খান।

অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এ বি এম আবদুস সাত্তার জানান, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায় কিংবা মামলা বিচারাধীন থাকে, তাঁদের সদস্যপদ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়। তবে আদালতে নির্দোষ প্রমাণিত হলে ক্লাব সদস্যপদ পুনর্বহাল করা হবে।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের সেপ্টেম্বরে জসীম উদ্দিনকে পররাষ্ট্রসচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।

অফিসার্স ক্লাব একটি সরকারি কর্মকর্তাদের কল্যাণমূলক সংগঠন, যার চেয়ারম্যান পদে থাকেন বর্তমান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। এর আগে চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির অভিযোগে আরও ১০৬ জন কর্মকর্তার সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ছিলেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুখ্যসচিবসহ ৭০ জন সচিব।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে অফিসার্স ক্লাবের এই পদক্ষেপ প্রশাসনিক মহলে আলোচনার সৃষ্টি করেছে। অনেকেই এটিকে সরকারের চলমান শুদ্ধি অভিযানের অংশ হিসেবে দেখছেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

দুর্নীতির অভিযোগে পররাষ্ট্রসচিবসহ ছয় সাবেক সচিবের অফিসার্স ক্লাবের সদস্যপদ স্থগিত

আপডেট সময় ০১:৫৬:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

 

দুর্নীতি ও অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিনসহ ছয় সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তার সদস্যপদ স্থগিত করেছে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত অফিসার্স ক্লাব। গতকাল সোমবার ক্লাবের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুর্নীতি ও অনৈতিক অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকায় তাদের নৈতিক স্খলনের অভিযোগে সদস্যপদ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।

পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন ছাড়াও যাঁদের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে, তারা হলেন—সাবেক সচিব এম এ কাদের সরকার, দুদকের সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ জহিরুল হক, সাবেক সিনিয়র সচিব ও পিএসসির সদস্য এস এম গোলাম ফারুক, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. আনিসুর রহমান এবং সাবেক সচিব মো. সিরাজুল হক খান।

অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এ বি এম আবদুস সাত্তার জানান, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায় কিংবা মামলা বিচারাধীন থাকে, তাঁদের সদস্যপদ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়। তবে আদালতে নির্দোষ প্রমাণিত হলে ক্লাব সদস্যপদ পুনর্বহাল করা হবে।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের সেপ্টেম্বরে জসীম উদ্দিনকে পররাষ্ট্রসচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।

অফিসার্স ক্লাব একটি সরকারি কর্মকর্তাদের কল্যাণমূলক সংগঠন, যার চেয়ারম্যান পদে থাকেন বর্তমান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। এর আগে চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির অভিযোগে আরও ১০৬ জন কর্মকর্তার সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ছিলেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুখ্যসচিবসহ ৭০ জন সচিব।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে অফিসার্স ক্লাবের এই পদক্ষেপ প্রশাসনিক মহলে আলোচনার সৃষ্টি করেছে। অনেকেই এটিকে সরকারের চলমান শুদ্ধি অভিযানের অংশ হিসেবে দেখছেন।