১১:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

ধর্ষকদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও কঠোর শাস্তির দাবিতে শেকৃবি শিক্ষার্থীদের উত্তাল বিক্ষোভ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৩০:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
  • / 64

ছবি: সংগৃহীত

 

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) শিক্ষার্থীরা ধর্ষকদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও কঠোর শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। রবিবার (৯ মার্চ) ইফতারের পর শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠ থেকে বিক্ষোভ শুরু করে ক্যাম্পাসজুড়ে প্রতিবাদ জানান। নারী নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ধর্ষণের শাস্তি কঠোর করার আহ্বান জানিয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী এ মিছিলে অংশ নেন।

নারী শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “দেশে ধর্ষণের ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। নারীরা প্রতিনিয়ত ভয় আর আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। আমরা এমন বাংলাদেশ চাই না, যেখানে নারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে। ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।”

বিজ্ঞাপন

শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগান দেন, যার মধ্যে ছিল “একটা একটা ধর্ষক ধর, ধইরা ধইরা বিচার কর”, “আমার সোনার বাংলায় ধর্ষকের ঠাঁই নাই”, “আমার বোন ধর্ষিত কেন? জবাব চাই!” ইত্যাদি। নারী শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন তোলেন, “আজ যারা শিকার হয়েছে, কাল আমরা হব না তার নিশ্চয়তা কোথায়?” তারা দোষীদের কঠোর শাস্তির মাধ্যমে সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপনের দাবি জানান, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন অপরাধ করার সাহস না পায়।

সম্প্রতি মাগুরায় শিশু আছিয়ার ওপর নৃশংস যৌন সহিংসতার ঘটনায় দেশজুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এর প্রতিবাদে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ, মানববন্ধন, ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের মতো কর্মসূচি চলছে। শিক্ষার্থীরা বলেন, “সরকারকে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। ধর্ষণের বিচারে দীর্ঘসূত্রিতা বন্ধ করতে হবে। আইন ও শাস্তির কঠোর প্রয়োগই পারে ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ রোধ করতে।”

শেকৃবি শিক্ষার্থীদের এই বিক্ষোভ দেশের সামগ্রিক আন্দোলনেরই অংশ, যেখানে শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র বিচার নয়, একটি নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ সমাজের দাবি তুলেছেন। তাদের প্রত্যাশা, এই আন্দোলন একদিন আর প্রয়োজন হবে না কারণ সমাজ নিজেই নারীদের জন্য নিরাপদ হয়ে উঠবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ধর্ষকদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও কঠোর শাস্তির দাবিতে শেকৃবি শিক্ষার্থীদের উত্তাল বিক্ষোভ

আপডেট সময় ১১:৩০:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

 

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) শিক্ষার্থীরা ধর্ষকদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও কঠোর শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। রবিবার (৯ মার্চ) ইফতারের পর শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠ থেকে বিক্ষোভ শুরু করে ক্যাম্পাসজুড়ে প্রতিবাদ জানান। নারী নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ধর্ষণের শাস্তি কঠোর করার আহ্বান জানিয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী এ মিছিলে অংশ নেন।

নারী শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “দেশে ধর্ষণের ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। নারীরা প্রতিনিয়ত ভয় আর আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। আমরা এমন বাংলাদেশ চাই না, যেখানে নারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে। ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।”

বিজ্ঞাপন

শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগান দেন, যার মধ্যে ছিল “একটা একটা ধর্ষক ধর, ধইরা ধইরা বিচার কর”, “আমার সোনার বাংলায় ধর্ষকের ঠাঁই নাই”, “আমার বোন ধর্ষিত কেন? জবাব চাই!” ইত্যাদি। নারী শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন তোলেন, “আজ যারা শিকার হয়েছে, কাল আমরা হব না তার নিশ্চয়তা কোথায়?” তারা দোষীদের কঠোর শাস্তির মাধ্যমে সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপনের দাবি জানান, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন অপরাধ করার সাহস না পায়।

সম্প্রতি মাগুরায় শিশু আছিয়ার ওপর নৃশংস যৌন সহিংসতার ঘটনায় দেশজুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এর প্রতিবাদে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ, মানববন্ধন, ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের মতো কর্মসূচি চলছে। শিক্ষার্থীরা বলেন, “সরকারকে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। ধর্ষণের বিচারে দীর্ঘসূত্রিতা বন্ধ করতে হবে। আইন ও শাস্তির কঠোর প্রয়োগই পারে ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ রোধ করতে।”

শেকৃবি শিক্ষার্থীদের এই বিক্ষোভ দেশের সামগ্রিক আন্দোলনেরই অংশ, যেখানে শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র বিচার নয়, একটি নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ সমাজের দাবি তুলেছেন। তাদের প্রত্যাশা, এই আন্দোলন একদিন আর প্রয়োজন হবে না কারণ সমাজ নিজেই নারীদের জন্য নিরাপদ হয়ে উঠবে।