রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী কোচ চলাচল বন্ধ

- আপডেট সময় ০৮:৩৩:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / 23
রাজশাহী থেকে ঢাকা যাত্রীবাহী কোচ চলাচল বন্ধ রয়েছে। কোচের চালক, সুপারভাইজার ও সহকারীর বেতন বৃদ্ধির দাবিতে রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টা থেকে পরিবহণ শ্রমিকদের ব্যানারে কোচ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে একতা ট্রান্সপোর্ট চলছে।
এদিকে আকস্মিক কোচ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। তবে কিছু কোচ বিকল্প ব্যবস্থায় চলাচল করছে। অর্থাৎ শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কোচ ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে। এতে নগর পরিবহণে চরম বিশৃঙ্খলার পাশাপাশি নগরীতে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
শ্রমিকরা জানান, রাজশাহী-ঢাকা কোচ ও বাসে একমাত্র একতা ট্রান্সপোর্ট ছাড়া সকল স্টাফদের বেতন খুব কম। বিশেষ করে ন্যাশনাল এবং দেশ ট্রাভেলসে রাজশাহী-ঢাকা যাওয়া আসায় চালকদের প্রতি ট্রিপে বেতন দেয় ১১০০ টাকা।
সুপারভাইজারদের দেয় ৫০০ টাকা ও চালকের সহকারীকে দেয় ৪০০ টাকা। এছাড়াও দেশ ট্রাভেলসে চালকদের দেয় ১২০০ টাকা বেতন। তারা বেতন দুই হাজার টাকা করার দাবি জানিয়েছেন।
ন্যাশনাল ট্রাভেলসের চালক আলী হোসেন বলেন, ১০ বছর থেকে আমাদের ১,১০০ টাকা করে বেতন দেওয়া হচ্ছে। মালিককে বললেও বেতন বাড়াচ্ছেন না। এর আগেও আমরা ২৩ আগস্ট শুধু ন্যাশনাল ট্রাভেলস বন্ধ রেখেছিলাম। সে সময় কর্তৃপক্ষ দুইদিনের মধ্যে আমাদের বেতন বৃদ্ধির আশ্বাস দিলে বাস চালু করা হয়।
কিন্তু দুই সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও আগের বেতন দেওয়া হচ্ছে। তাই অন্য সব বাসের শ্রমিকরা আমাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে একতা ট্রান্সপোর্ট বাদে সব বাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বেতন বৃদ্ধি না হওয়া পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ থাকবে।
এ বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাইলে দেশ ট্রাভেলসের ব্যবস্থাপক মাসুদ রানা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। একতা ট্রান্সপোর্টের ব্যবস্থাপক শরিফুল ইসলাম সুমন বলেন, অন্য পরিবহণের চেয়ে আমাদের বেতন বেশি। চালকদের যাওয়া আসায় দেওয়া হয় ১,৮০০ টাকা, সুপারভাইজারদের দেওয়া হয় ৮০০ টাকা ও চালকের সহকারীদের দেওয়া হয় ৭০০ টাকা। রাতে সব বাস বন্ধ করা হলেও একতা চলাচল করেছে।
এদিকে রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পাখি বলেন, শ্রমিকরা তাদের বেতন বৃদ্ধির জন্য আন্দোলন করছেন। এর আগে আমরা মালিকদের সঙ্গে বসেছিলাম। মালিকরা ১০০ টাকা বাড়াতে চেয়েছেন। কিন্তু শ্রমিকরা মানছেন না। বিষয়টি নিয়ে আমরা আবারও মালিকদের সঙ্গে বসবো। তাদের যেন দাবি মানা হয় সেটাও বলবো।
এবিষয়ে এবং নগরীজুড়ে কোচস্ট্যান্ড ছড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে কথা বলার জন্য রাজশাহী সড়ক পরিবহণ গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম হেলালের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে তার মতামত জানা যায়নি।