ঢাকা ০২:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
অতিরিক্ত ডিআইজির বাড়িতে চাঞ্চল্যকর ডাকাতি জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ তৈরিতে এক মাস সময় দাবি করল বিএনপি টাঙ্গাইলে প্রবাসীর মাইক্রোবাসে ডাকাতি, পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে পালাল ডাকাতরা চমক দিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে চিলি-কলম্বিয়া বিপক্ষে আর্জেন্টিনার স্কোয়াড ঘোষণা সারাদেশে টেলিযোগাযোগ সেবা বিঘ্নিত, ৫ হাজারের বেশি সাইট বন্ধ আজ থেকে পোশাক কারখানায় কোন গ্যাস সংকট থাকবে না : জ্বালানি উপদেষ্টা অর্থনীতিতে রোডম্যাপহীনতা ও সমন্বয়ের অভাবেই বিনিয়োগে অনিশ্চয়তা: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য দেশি পশুতেই কোরবানির চাহিদা পূরণ, অর্থনীতিতে এক লাখ কোটি টাকার সম্ভাবনা আজ তামাকমুক্ত বিশ্ব দিবস, বাজেটে কর না বাড়ায় স্বস্তির হাওয়া রোহিঙ্গা সংকটে একসাথে কাজের অঙ্গীকার বাংলাদেশ ও জাপানের

চট্টগ্রাম বন্দরে ভয়াবহ কনটেইনার জট, বিপাকে শিল্প আমদানিকারকরা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:০৩:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
  • / 9

ছবি: সংগৃহীত

 

চট্টগ্রাম বন্দরে শুল্ক বিভাগের লাগাতার কলমবিরতির ফলে চরম কনটেইনার জটের সৃষ্টি হয়েছে। বন্দরের ইয়ার্ডে আটকে আছে ৪০ হাজারেরও বেশি কনটেইনার। পাশাপাশি বার্থিং জটিলতার কারণে প্রায় ২০ হাজার কনটেইনার নিয়ে ১৭টি জাহাজ বন্দরে নোঙর করার অপেক্ষায়। এতে আমদানিকৃত কাঁচামাল আটকে পড়ায় পোশাক শিল্পসহ বিভিন্ন শিল্প খাতের ব্যবসায়ীরা পড়েছেন চরম বিপাকে।

চট্টগ্রাম বন্দরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ৫৩ হাজার ৫১৮ কনটেইনার ধারণক্ষমতার বন্দরে ২৭ মে পর্যন্ত ৪৫ হাজার ৩৭৭ টিইইউএস কনটেইনার অবস্থান করছে। যেখানে পণ্যবাহী যানবাহন চলাচলের সুবিধার্থে কমপক্ষে ৩০ শতাংশ জায়গা খালি রাখার নিয়ম রয়েছে।

স্পেরো গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাজিরুল শোভন ইসলাম বলেন, “বন্দরের সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা ছিল ৫০ হাজার কনটেইনার, যা এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজারে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ৪ গুণ হারে ডেমারেজ চার্জ, যা ব্যবসায়ীদের জন্য মারাত্মক চাপ।”

সাধারণ সময়ে প্রতিদিন গড়ে ১ হাজারের বেশি কনটেইনার অফডকে ডেলিভারি দেওয়া গেলেও বর্তমানে এই সংখ্যা নেমে এসেছে ৪০০-৫০০তে। ফলে জাহাজগুলোর অবস্থানকালও বেড়ে গেছে।

বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার বিপ্লব বলেন, “শুল্ক বিভাগের কলমবিরতির কারণে আমদানিকৃত বিপুল পণ্য চট্টগ্রাম বন্দরে আটকে রয়েছে। কাজ স্বাভাবিক হতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।”

চট্টগ্রাম সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এস এম সাইফুল আলম আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, “ঈদের সময়ে ১০ দিনের ছুটি থাকায় কনটেইনার খালাসে জটিলতা আরও বাড়বে। এতে ব্যবসায়ীদের দুর্ভোগ বাড়বে।”

এদিকে বিজিএমইএর সাবেক সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, “বন্দরের ৪ গুণ ডেমারেজ চার্জ অবিলম্বে মওকুফ করতে হবে এবং দ্রুত কনটেইনার খালাসে অতিরিক্ত লোকবল নিয়োগ দিতে হবে।”

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রতিদিন অন্তত ৫ হাজার কনটেইনার ডেলিভারির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে। চিফ পার্সোনাল অফিসার মো. নাসির উদ্দিন জানান, “কাস্টমসের কর্মবিরতি স্থগিত করা হয়েছে, পুরোদমে কাজ শুরু হয়েছে এবং দ্রুত কনটেইনার খালাসের প্রক্রিয়া চলছে।”

উল্লেখ্য, বর্তমানে বন্দরের মূল জেটিতে ৯টি এবং বহির্নোঙরে আরও ১৭টি কনটেইনারবাহী জাহাজ অবস্থান করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম বন্দরে ভয়াবহ কনটেইনার জট, বিপাকে শিল্প আমদানিকারকরা

আপডেট সময় ০৪:০৩:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

 

চট্টগ্রাম বন্দরে শুল্ক বিভাগের লাগাতার কলমবিরতির ফলে চরম কনটেইনার জটের সৃষ্টি হয়েছে। বন্দরের ইয়ার্ডে আটকে আছে ৪০ হাজারেরও বেশি কনটেইনার। পাশাপাশি বার্থিং জটিলতার কারণে প্রায় ২০ হাজার কনটেইনার নিয়ে ১৭টি জাহাজ বন্দরে নোঙর করার অপেক্ষায়। এতে আমদানিকৃত কাঁচামাল আটকে পড়ায় পোশাক শিল্পসহ বিভিন্ন শিল্প খাতের ব্যবসায়ীরা পড়েছেন চরম বিপাকে।

চট্টগ্রাম বন্দরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ৫৩ হাজার ৫১৮ কনটেইনার ধারণক্ষমতার বন্দরে ২৭ মে পর্যন্ত ৪৫ হাজার ৩৭৭ টিইইউএস কনটেইনার অবস্থান করছে। যেখানে পণ্যবাহী যানবাহন চলাচলের সুবিধার্থে কমপক্ষে ৩০ শতাংশ জায়গা খালি রাখার নিয়ম রয়েছে।

স্পেরো গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাজিরুল শোভন ইসলাম বলেন, “বন্দরের সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা ছিল ৫০ হাজার কনটেইনার, যা এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজারে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ৪ গুণ হারে ডেমারেজ চার্জ, যা ব্যবসায়ীদের জন্য মারাত্মক চাপ।”

সাধারণ সময়ে প্রতিদিন গড়ে ১ হাজারের বেশি কনটেইনার অফডকে ডেলিভারি দেওয়া গেলেও বর্তমানে এই সংখ্যা নেমে এসেছে ৪০০-৫০০তে। ফলে জাহাজগুলোর অবস্থানকালও বেড়ে গেছে।

বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার বিপ্লব বলেন, “শুল্ক বিভাগের কলমবিরতির কারণে আমদানিকৃত বিপুল পণ্য চট্টগ্রাম বন্দরে আটকে রয়েছে। কাজ স্বাভাবিক হতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।”

চট্টগ্রাম সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এস এম সাইফুল আলম আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, “ঈদের সময়ে ১০ দিনের ছুটি থাকায় কনটেইনার খালাসে জটিলতা আরও বাড়বে। এতে ব্যবসায়ীদের দুর্ভোগ বাড়বে।”

এদিকে বিজিএমইএর সাবেক সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, “বন্দরের ৪ গুণ ডেমারেজ চার্জ অবিলম্বে মওকুফ করতে হবে এবং দ্রুত কনটেইনার খালাসে অতিরিক্ত লোকবল নিয়োগ দিতে হবে।”

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রতিদিন অন্তত ৫ হাজার কনটেইনার ডেলিভারির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে। চিফ পার্সোনাল অফিসার মো. নাসির উদ্দিন জানান, “কাস্টমসের কর্মবিরতি স্থগিত করা হয়েছে, পুরোদমে কাজ শুরু হয়েছে এবং দ্রুত কনটেইনার খালাসের প্রক্রিয়া চলছে।”

উল্লেখ্য, বর্তমানে বন্দরের মূল জেটিতে ৯টি এবং বহির্নোঙরে আরও ১৭টি কনটেইনারবাহী জাহাজ অবস্থান করছে।