ঢাকা ০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সুন্দরবন রক্ষায় একটি সুনির্দিষ্ট কনক্রিট কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যই ভবিষ্যতের চাবিকাঠি: শিক্ষা উপদেষ্টা দেশীয় গবাদি পশু বিশ্বমানে উন্নীত করা সম্ভব: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা কুষ্টিয়া-১ আসনের সাবেক এমপি গ্রেপ্তার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে জামায়াতের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা: প্রেসসচিব ইরানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৎপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শেয়ার বাজার কারসাজি: সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা শান্ত-মুশফিকের জোড়া সেঞ্চুরিতে প্রথম দিন শেষে বড় সংগ্রহের পথে টাইগাররা ডেঙ্গু তাণ্ডব অব্যাহত: ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২৪৪, বরিশালে সর্বোচ্চ ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় সব পক্ষের প্রতিনিধিত্ব নেই: এনসিপি

কক্সবাজারে ১২ হাজার একর বনভূমি ফেরত পাচ্ছে বন বিভাগ: পরিবেশ উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:১২:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
  • / 25

ছবি: সংগৃহীত

 

কক্সবাজারের নদী, বন ও সি-বিচ দখলমুক্ত করতে সরকারের উদ্যোগ জোরদার হয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, কক্সবাজারে বিভিন্ন সংস্থার নামে বরাদ্দ পাওয়া প্রায় ১২ হাজার একর বনভূমি বন বিভাগের আওতায় ফেরত আনা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার কক্সবাজার শহরের বাকখালী নদীর তীরে পৌরসভার ময়লার ভাগাড় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, “কক্সবাজারের পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষায় কঠোর অবস্থান নেওয়া হয়েছে। কোনোভাবেই নদী, বন বা সমুদ্র সৈকত দখল ও দূষণের সুযোগ দেওয়া হবে না।”

তিনি আরও জানান, কক্সবাজারের ৭০০ একর বনভূমি ইতোমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। এক ব্যক্তি ১৫০ একর বনভূমিতে অবৈধভাবে বিল্ডিং নির্মাণের কাজ শুরু করেছিল, তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফুটবল একাডেমির নামে বরাদ্দ পাওয়া ২০ একর জমিও ফেরত আনার প্রক্রিয়া চলছে।

উপদেষ্টা বলেন, “পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় (ইসিএ) পরিবেশ অধিদপ্তর, বন বিভাগ এবং জেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। যারা বিধি লঙ্ঘন করবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

তিনি জানান, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে জেলা প্রশাসককে ৫১ একর জমি উদ্ধার করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, সোনাদিয়া দ্বীপে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) জন্য বরাদ্দ পাওয়া জমিও বন বিভাগের আওতায় ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ চলছে।

তিনি সতর্ক করে বলেন, “সি-বিচ দখল ও দূষণের লাগাম এখনই টানতে না পারলে এটি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের দখলে চলে যাবে। এটি কোনোভাবেই হতে দেওয়া হবে না।”

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাজমুল আহসান, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, পুলিশ সুপার মো. সাইফউদ্দীন শাহীন, চট্টগ্রাম বন সার্কেলের বন সংরক্ষক মোল্লা রেজাউল করিম এবং কক্সবাজার পৌরসভার প্রশাসক রুবাইয়া আফরোজ।

সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন এবং বনভূমি রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের আশ্বাস দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

কক্সবাজারে ১২ হাজার একর বনভূমি ফেরত পাচ্ছে বন বিভাগ: পরিবেশ উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৬:১২:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

 

কক্সবাজারের নদী, বন ও সি-বিচ দখলমুক্ত করতে সরকারের উদ্যোগ জোরদার হয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, কক্সবাজারে বিভিন্ন সংস্থার নামে বরাদ্দ পাওয়া প্রায় ১২ হাজার একর বনভূমি বন বিভাগের আওতায় ফেরত আনা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার কক্সবাজার শহরের বাকখালী নদীর তীরে পৌরসভার ময়লার ভাগাড় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, “কক্সবাজারের পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষায় কঠোর অবস্থান নেওয়া হয়েছে। কোনোভাবেই নদী, বন বা সমুদ্র সৈকত দখল ও দূষণের সুযোগ দেওয়া হবে না।”

তিনি আরও জানান, কক্সবাজারের ৭০০ একর বনভূমি ইতোমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। এক ব্যক্তি ১৫০ একর বনভূমিতে অবৈধভাবে বিল্ডিং নির্মাণের কাজ শুরু করেছিল, তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফুটবল একাডেমির নামে বরাদ্দ পাওয়া ২০ একর জমিও ফেরত আনার প্রক্রিয়া চলছে।

উপদেষ্টা বলেন, “পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় (ইসিএ) পরিবেশ অধিদপ্তর, বন বিভাগ এবং জেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। যারা বিধি লঙ্ঘন করবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

তিনি জানান, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে জেলা প্রশাসককে ৫১ একর জমি উদ্ধার করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, সোনাদিয়া দ্বীপে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) জন্য বরাদ্দ পাওয়া জমিও বন বিভাগের আওতায় ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ চলছে।

তিনি সতর্ক করে বলেন, “সি-বিচ দখল ও দূষণের লাগাম এখনই টানতে না পারলে এটি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের দখলে চলে যাবে। এটি কোনোভাবেই হতে দেওয়া হবে না।”

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাজমুল আহসান, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, পুলিশ সুপার মো. সাইফউদ্দীন শাহীন, চট্টগ্রাম বন সার্কেলের বন সংরক্ষক মোল্লা রেজাউল করিম এবং কক্সবাজার পৌরসভার প্রশাসক রুবাইয়া আফরোজ।

সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন এবং বনভূমি রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের আশ্বাস দেন।