ভোট গণনা শেষ ১৪ কেন্দ্রে, বাকি সাতটিতে ৭৫ শতাংশ গণনা শেষ

- আপডেট সময় ১১:০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / 8
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সকাল ৯টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সংসদের ২১টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৪টির ভোট গণনা সম্পন্ন হয়েছে, আর বাকি সাতটি কেন্দ্রের ৭৫ শতাংশ ভোট গণনা শেষ হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভোট গণনা শুরু হয়, তার আগে হল সংসদের ভোট গণনা করা হয়েছিল।
জাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ভোট গণনায় পোলিং অফিসারের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে এবং রাতের মধ্যেই ফল ঘোষণা করা হবে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ হলে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোটের আগের রাতে বাম সংগঠন ও ছাত্রদলের প্রার্থীরা অভিযোগ করেন যে, ওএমআর মেশিন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান জামায়াতের সঙ্গে জড়িত। এর ফলে নির্বাচন কমিশন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ম্যানুয়ালি অর্থাৎ হাতে ভোট গণনার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে শিবিরের প্যানেলের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন যে, ওএমআর মেশিনে ব্যালট ছাপানোর প্রতিষ্ঠানটি বিএনপি নেতার।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিভিন্ন হল থেকে ব্যালট বাক্স সিনেট ভবনে নিয়ে যাওয়া হয় এবং রাত ১০টার পর গণনা শুরু হয়। ভোটের দিন বিকেল সাড়ে তিনটায় ছাত্রদল নির্বাচন বর্জন করে এবং সন্ধ্যা ৭টায় বাম সমর্থিত চারটি প্যানেলও ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয়।
জাকসু নির্বাচনে আটটি প্যানেলের মধ্যে পাঁচটির ৬৮ জন প্রার্থী ভোট বর্জন করলেও, বাকি তিন প্যানেলের ১১১ জন প্রার্থী নানা অভিযোগের মধ্যেও নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার আধাঘণ্টা আগে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক নজরুল ইসলাম ও আরও দুই শিক্ষক ভোট বর্জন করেন।
শুক্রবার সকালে নির্বাচন কমিশনের অফিসে শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌসের মৃত্যুর পর পুরো ক্যাম্পাসে শোকের ছায়া নেমে আসে। তবে ভোট গণনার ধীর গতির কারণে শিক্ষক রাজনীতি ও গ্রুপিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। বিকেলের দিকে প্রায় তিন ঘণ্টা ভোট গণনা বন্ধ ছিল এবং পরে সন্ধ্যা ৭টায় হল সংসদের ভোট গণনা শেষে কেন্দ্রীয় সংসদের ভোট গণনা শুরু হয়।
দুই ঘণ্টা পর রাত ৯টার দিকে নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মাফরুহী সাত্তার অনিয়মের অভিযোগ তুলে পদত্যাগ করেন। তিনি বলেন, “নির্বাচনে আমি মারাত্মক ত্রুটি দেখেছি। এ ধরনের পরিস্থিতিতে আমি পদত্যাগ করছি।”
ক্যাম্পাসে প্রার্থী ও শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন যে, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের মধ্যে গ্রুপিং রয়েছে এবং ভোট বানচাল হলে শিক্ষার্থীরা উপাচারকের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে আন্দোলন করতে পারেন।
শুক্রবার বিকেলে শিবিরের জিএস প্রার্থী মাযহারুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন যে, নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপিপন্থি শিক্ষক নেতাদের ইন্ধন রয়েছে।
অন্যদিকে, বিএনপিপন্থি শিক্ষক ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন দাবি করে বলেন, “আমরা ভোট বর্জন করে বাসায় এসেছি। এখানে ষড়যন্ত্রের কোনো সুযোগ নেই।”