ঢাকা ১০:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে তিন পরিবর্তন বিএনপিকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না: মির্জা ফখরুল প্রধান বিচারপতির বাসভবনের আশপাশে সভা-সমাবেশে ডিএমপির নিষেধাজ্ঞা বড় শয়তান এখনো আমাদের কাঁধে শ্বাস ফেলছে: তথ্য উপদেষ্টা কসবায় সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ১ কোটি ২০ লাখ টাকার ভারতীয় শাড়ি উদ্ধার মাগুরা-ঝিনাইদহ সড়কে বাস-ভ্যান সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ১০ ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু, একদিনে হাসপাতালে ৪২০ জন মানিকগঞ্জে নিজের মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড মাদারগঞ্জে কলেজ ছাত্রকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, চাচা লড়ছেন মৃত্যুর সঙ্গে ‘নৌকা’ বাদ দিয়ে শাপলা প্রতীক তালিকাভুক্ত করার দাবি এনসিপির

জবিতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:০৬:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫
  • / 4

ছবি সংগৃহীত

 

 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সহকারী প্রক্টর ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের ওপর হামলার ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থী সমাজ। এ ঘটনায় ছাত্রদল নেতাদের অভিযুক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তারা দ্রুত বিচার ও দোষীদের বহিষ্কারের দাবিতে প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন, অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

রোববার (১৩ জুলাই) সকাল থেকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী উপাচার্য ভবন ঘেরাও করেন। তারা স্লোগানে স্লোগানে হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার সমালোচনা করেন। শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন শিক্ষক এবং বাগছাসের তিন নেতার ওপর সন্ত্রাসী হামলার পরও প্রশাসন কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য।

বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি উপস্থাপন করে বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত শেষ করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করতে হবে। দোষ প্রমাণিত হলে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সাবেক শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করার দাবি তোলেন তারা।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. দীপু মোহাম্মদ সেলিম জানান, ইতোমধ্যে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনি শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, “এই ঘটনায় দোষীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। তদন্ত শেষ হলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে এই ধরনের সহিংস ঘটনা এবং প্রশাসনের প্রতিক্রিয়াহীনতায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা আতঙ্ক ও ক্ষোভে রয়েছেন। তবে উপাচার্যের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে আপাতত আন্দোলন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেন শিক্ষার্থীরা, তবে তারা জানিয়েছেন, দাবি বাস্তবায়ন না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মাধ্যমে শিক্ষাঙ্গনে সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানান সকল শিক্ষার্থী।

নিউজটি শেয়ার করুন

জবিতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

আপডেট সময় ০৬:০৬:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

 

 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সহকারী প্রক্টর ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের ওপর হামলার ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থী সমাজ। এ ঘটনায় ছাত্রদল নেতাদের অভিযুক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তারা দ্রুত বিচার ও দোষীদের বহিষ্কারের দাবিতে প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন, অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

রোববার (১৩ জুলাই) সকাল থেকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী উপাচার্য ভবন ঘেরাও করেন। তারা স্লোগানে স্লোগানে হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার সমালোচনা করেন। শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন শিক্ষক এবং বাগছাসের তিন নেতার ওপর সন্ত্রাসী হামলার পরও প্রশাসন কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য।

বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি উপস্থাপন করে বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত শেষ করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করতে হবে। দোষ প্রমাণিত হলে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সাবেক শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করার দাবি তোলেন তারা।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. দীপু মোহাম্মদ সেলিম জানান, ইতোমধ্যে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনি শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, “এই ঘটনায় দোষীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। তদন্ত শেষ হলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে এই ধরনের সহিংস ঘটনা এবং প্রশাসনের প্রতিক্রিয়াহীনতায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা আতঙ্ক ও ক্ষোভে রয়েছেন। তবে উপাচার্যের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে আপাতত আন্দোলন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেন শিক্ষার্থীরা, তবে তারা জানিয়েছেন, দাবি বাস্তবায়ন না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মাধ্যমে শিক্ষাঙ্গনে সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানান সকল শিক্ষার্থী।