প্রযুক্তিতে পিছিয়ে : দূঘর্টনা কবলিত হচ্ছে এফ-সেভেন

- আপডেট সময় ১০:৫৪:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫
- / 15
প্রযুক্তিতে পিছিয়ে থাকার কারণে দূঘর্টনার ঝুকিত আছে এফ-সেভেন বিজিআই। তবে বিমানটি সংস্করণের দিক থেকে খুব বেশী পুরানো না।
সামরিক খাতের বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, আধুনিক যুদ্ধবিমানের তুলনায় এতে নিরাপত্তাসম্পর্কিত ফিচার অনেক কম। ফলে দুর্ঘটনার সংখ্যাও অন্যান্য যুদ্ধবিমানের চেয়ে বেশি।
বিশেষজ্ঞদের বরাতে এভিয়েশন খাতের সংবাদমাধ্যম ‘অ্যারোস্পেস গ্লোবাল নিউজ’ (এজিএন) বলছে, এফ-সেভেনের মূল কাঠামোটাই বেশ পুরনো। এতে ‘ফ্লাই-বাই-ওয়্যার’ (এফবিডাব্লিউ) ব্যবস্থা নেই।
এ ধরনের ব্যবস্থায় পাইলটের দেওয়া নির্দেশনা বৈদ্যুতিক সংকেতে রূপান্তরিত হয় এবং সে অনুযায়ী বিমানের বিভিন্ন অংশ পরিচালিত হয়।
বিশ্বে এফ-সেভেনের ব্যবহার কমে যাওয়ার পেছনে নিরাপত্তাসংক্রান্ত আরো কয়েকটি বিষয় তুলে ধরেছে এজিএন।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ১৯৬৬ থেকে শুরু করে ২০১৩ সাল পর্যন্ত দুই হাজার ৪০০টির বেশি এফ-সেভেন বানিয়েছে চীন। তাদের এসব উড়োজাহাজ নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দেশ প্রশ্নও তুলেছে।
উদাহরণ হিসেবে এজিএন লিখেছে, স্থানীয়ভাবে মেরামতের ব্যবস্থা না থাকায় নাইজেরিয়া তাদের নয়টি এফ-সেভেন চীনকে ফিরিয়ে দিয়েছিল।
যুদ্ধবিমানটি সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য না থাকা এবং প্রযুক্তিগত নির্দেশিকায় ভাষাগত সীমাবদ্ধতার থাকার অভিযোগও রয়েছে।
বলা হচ্ছে, নির্দেশিকাটি ভাষান্তর করতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রে ভুল হয়; বিভ্রান্তিও তৈরি হয় নানাভাবে। আর এসব প্রতিবন্ধকতার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে এর রক্ষণাবেক্ষণে।
এছাড়া এর নকশায় পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রেও কোনো সময়সূচি মানা হয় না। হঠাৎ করে পরিবর্তন আনার কারণে অনেক সময়ই প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ পাওয়া যায় না।
মিয়ানমারের বিমানবাহিনী এর আগে উড়োজাহাজটির স্থলভাগে আঘাত হানার সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
এজিএন বলছে, ঢাকায় বিধ্বস্ত হওয়া ‘এফ-সেভেন বিজিআই’ এই সিরিজের আধুনিক সংস্করণের হলেও সেটি তৃতীয় প্রজন্মের যুদ্ধবিমান।
বিমান চালানো, শত্রুকে ফাঁকি দেওয়া কিংবা হামলা চালানোর যে সক্ষমতা চতুর্থ ও পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানগুলোয় রয়েছে, তা এফ-সেভেনে নেই।