ঢাকা ০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প বেলুন, রশি আর জেদ, এই তিন দিয়েই ডুবন্ত যুদ্ধজাহাজ তুলল উত্তর কোরিয়া 🕋 পবিত্র হজ আজ পুলিশের জন্য কেনা হচ্ছে ২০০ গাড়ি

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ বৈঠক

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৪৪:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
  • / 27

ছবি: সংগৃহীত

 

দেশের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের ১২৭ জন শীর্ষ কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার (১৭ মার্চ) বেলা সোয়া ১১টায় প্রধান উপদেষ্টার তেজগাঁও কার্যালয়ে শুরু হওয়া এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন তিনি নিজেই।

এর আগে, রবিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, সাম্প্রতিক সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জনগণের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে মাঠপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় করতে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা।

বিশেষ এই বৈঠকে পুলিশ সুপার ও তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন। অংশ নিচ্ছেন বিভিন্ন মহানগর পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, ক্রাইম টিমের শীর্ষ সদস্যরা। বৈঠকের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি)।

৫ আগস্টের পর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গৃহীত নানা উদ্যোগ সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন কর্মকর্তারা। একইসঙ্গে, পুলিশ বাহিনীর নৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরুজ্জীবিত করতে গৃহীত পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন কৌশল নিয়েও আলোচনা হয়। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা পুলিশ বাহিনীর পেশাদারিত্ব, জনবান্ধব কার্যক্রম এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন।

এদিকে, ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, আগামী ২৯ এপ্রিল পুলিশ সপ্তাহ অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে প্রধান উপদেষ্টা বক্তব্য রাখবেন এবং বাহিনীর সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে দিকনির্দেশনা প্রদান করবেন।

তার আগে, সোমবারের বিশেষ বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল পুলিশের ভূমিকা আরও জোরদার করা এবং জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করা। দেশজুড়ে শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ কীভাবে আরও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পারে, সে বিষয়ে দিকনির্দেশনাও দেওয়া হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ বৈঠক

আপডেট সময় ০১:৪৪:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

 

দেশের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের ১২৭ জন শীর্ষ কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার (১৭ মার্চ) বেলা সোয়া ১১টায় প্রধান উপদেষ্টার তেজগাঁও কার্যালয়ে শুরু হওয়া এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন তিনি নিজেই।

এর আগে, রবিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, সাম্প্রতিক সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জনগণের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে মাঠপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় করতে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা।

বিশেষ এই বৈঠকে পুলিশ সুপার ও তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন। অংশ নিচ্ছেন বিভিন্ন মহানগর পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, ক্রাইম টিমের শীর্ষ সদস্যরা। বৈঠকের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি)।

৫ আগস্টের পর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গৃহীত নানা উদ্যোগ সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন কর্মকর্তারা। একইসঙ্গে, পুলিশ বাহিনীর নৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরুজ্জীবিত করতে গৃহীত পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন কৌশল নিয়েও আলোচনা হয়। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা পুলিশ বাহিনীর পেশাদারিত্ব, জনবান্ধব কার্যক্রম এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন।

এদিকে, ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, আগামী ২৯ এপ্রিল পুলিশ সপ্তাহ অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে প্রধান উপদেষ্টা বক্তব্য রাখবেন এবং বাহিনীর সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে দিকনির্দেশনা প্রদান করবেন।

তার আগে, সোমবারের বিশেষ বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল পুলিশের ভূমিকা আরও জোরদার করা এবং জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করা। দেশজুড়ে শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ কীভাবে আরও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পারে, সে বিষয়ে দিকনির্দেশনাও দেওয়া হয়।