০৭:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক। ফিফার শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হলেন ট্রাম্প ব্রাজিলে অবতরণের পর আগুনে পুড়ল এয়ারবাস এ-৩২০, অল্পের জন্য রক্ষা পেল যাত্রীরা
সেনাপ্রধান

সেনাপ্রধানের ঐক্য ও নিরাপত্তার আহ্বান: জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষায় একযোগ কাজ করার তাগিদ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:০৬:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 96

ছবি সংগৃহীত

জাতীয় শহীদ সেনা দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর রাওয়া ক্লাবে আয়োজিত এক ফটো এক্সিবিশনে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জাতীয় সংহতি ও নিরাপত্তার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, “নিজেদের মধ্যে বিভেদ নয়, ঐক্যই হোক প্রধান লক্ষ্য। যে কোনো মতপার্থক্য আলোচনা করে সমাধান করা উচিত, কাদা ছোড়াছুড়ি করলে দেশ ও জাতির সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে।”

তিনি জোর দিয়ে বলেন, “সেনাবাহিনী একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী, এটি সুশৃঙ্খল রাখাই সবার দায়িত্ব। অপরাধী যেই হোক, ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা ন্যায়নীতি বজায় রেখে কাজ করবো এবং জাতিকে একটি স্থিতিশীল অবস্থানে রেখে সেনানিবাসে ফিরে যাব।”

বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, “দেশের শান্তি রক্ষার দায়িত্ব শুধু সেনাবাহিনীর নয়, আনসার বাহিনীসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও রয়েছে। তবে, পুলিশ বাহিনীর অনেক সদস্য বর্তমানে কারাগারে থাকায় নিরাপত্তা পরিস্থিতি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। র‍্যাব ও বিজিবি চাপে রয়েছে। মাত্র ৩০ হাজার সেনাসদস্য নিয়ে সারাদেশে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কঠিন। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে অপরাধীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে।”

বিজ্ঞাপন

জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “যদি একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করি, তাহলে দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে। সেনাবাহিনীকে আক্রমণ নয়, বরং সহযোগিতা করুন। সেনাবাহিনীকে নিয়ে বিদ্বেষমূলক মনোভাব কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”

নির্বাচন প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান বলেন, “আমরা একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছি। ১৮ মাসের কথা বলেছিলাম, আশা করি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”

সেনাপ্রধানের বক্তব্যে জাতীয় সংহতির বার্তা স্পষ্ট দেশকে এগিয়ে নিতে দল-মত নির্বিশেষে একযোগে কাজ করাই এখন সময়ের দাবি।

নিউজটি শেয়ার করুন

সেনাপ্রধান

সেনাপ্রধানের ঐক্য ও নিরাপত্তার আহ্বান: জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষায় একযোগ কাজ করার তাগিদ

আপডেট সময় ০৪:০৬:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

জাতীয় শহীদ সেনা দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর রাওয়া ক্লাবে আয়োজিত এক ফটো এক্সিবিশনে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জাতীয় সংহতি ও নিরাপত্তার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, “নিজেদের মধ্যে বিভেদ নয়, ঐক্যই হোক প্রধান লক্ষ্য। যে কোনো মতপার্থক্য আলোচনা করে সমাধান করা উচিত, কাদা ছোড়াছুড়ি করলে দেশ ও জাতির সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে।”

তিনি জোর দিয়ে বলেন, “সেনাবাহিনী একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী, এটি সুশৃঙ্খল রাখাই সবার দায়িত্ব। অপরাধী যেই হোক, ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা ন্যায়নীতি বজায় রেখে কাজ করবো এবং জাতিকে একটি স্থিতিশীল অবস্থানে রেখে সেনানিবাসে ফিরে যাব।”

বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, “দেশের শান্তি রক্ষার দায়িত্ব শুধু সেনাবাহিনীর নয়, আনসার বাহিনীসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও রয়েছে। তবে, পুলিশ বাহিনীর অনেক সদস্য বর্তমানে কারাগারে থাকায় নিরাপত্তা পরিস্থিতি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। র‍্যাব ও বিজিবি চাপে রয়েছে। মাত্র ৩০ হাজার সেনাসদস্য নিয়ে সারাদেশে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কঠিন। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে অপরাধীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে।”

বিজ্ঞাপন

জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “যদি একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করি, তাহলে দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে। সেনাবাহিনীকে আক্রমণ নয়, বরং সহযোগিতা করুন। সেনাবাহিনীকে নিয়ে বিদ্বেষমূলক মনোভাব কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”

নির্বাচন প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান বলেন, “আমরা একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছি। ১৮ মাসের কথা বলেছিলাম, আশা করি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”

সেনাপ্রধানের বক্তব্যে জাতীয় সংহতির বার্তা স্পষ্ট দেশকে এগিয়ে নিতে দল-মত নির্বিশেষে একযোগে কাজ করাই এখন সময়ের দাবি।