ঢাকা ০৭:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অমর একুশে বইমেলা ২০২৫: সাহিত্যের মহোৎসব শুরু

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৩৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 314

ছবি: সংগৃহীত

 

আজ ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হলো অমর একুশে বইমেলা ২০২৫, যা বাংলাদেশের সাহিত্য ও সংস্কৃতির অন্যতম প্রধান উৎসব। প্রতিবছরের মতো এবারও মাসব্যাপী এ মেলা বাংলা একাডেমি চত্বরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যেখানে পাঠক, লেখক ও প্রকাশকদের এক মহামিলন ঘটবে।

এবারের বইমেলার প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান: নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ,’ যা দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও ভবিষ্যৎ নির্মাণে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি যোগ করবে। মেলায় ৭০৮টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় বেশি।

বইমেলা শুধু বই কেনাবেচার স্থান নয়, এটি একটি সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র। প্রতিদিন বিকেলে প্রধান মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে বিভিন্ন আলোচনা সভা, যেখানে বিশিষ্ট লেখক, গবেষক ও বুদ্ধিজীবীরা সাহিত্য ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করবেন। সন্ধ্যায় থাকবে কবিতা আবৃত্তি, সংগীত ও নাট্য পরিবেশনা, যা বইপ্রেমীদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ হয়ে উঠবে।

শিশুদের জন্য এবারও থাকছে ‘শিশু চত্বর,’ যেখানে বই পড়া, গল্প শোনা ও নানা সৃজনশীল কার্যক্রমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া, বইমেলাকে পরিবেশবান্ধব করতে প্লাস্টিকমুক্ত উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপকরণের ব্যবহারে জোর দেওয়া হয়েছে।

নিরাপত্তার বিষয়টিও গুরুত্বসহকারে দেখা হয়েছে। মেলার প্রতিটি প্রবেশপথে কঠোর নজরদারি থাকবে, সিসিটিভি ও ডগ স্কোয়াড মোতায়েন করা হয়েছে।

অমর একুশে বইমেলা কেবল বইপ্রেমীদের জন্য নয়, এটি ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের এক মহান উপলক্ষ। নতুন লেখকদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম, যেখানে তারা তাদের সৃষ্টিশীল কাজ তুলে ধরতে পারেন। এবারের বইমেলা পাঠকদের জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা হবে, যেখানে বইয়ের সঙ্গে মিলবে সংস্কৃতি, চিন্তা ও সৃজনশীলতার সমাহার।

নিউজটি শেয়ার করুন

অমর একুশে বইমেলা ২০২৫: সাহিত্যের মহোৎসব শুরু

আপডেট সময় ১০:৩৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

আজ ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হলো অমর একুশে বইমেলা ২০২৫, যা বাংলাদেশের সাহিত্য ও সংস্কৃতির অন্যতম প্রধান উৎসব। প্রতিবছরের মতো এবারও মাসব্যাপী এ মেলা বাংলা একাডেমি চত্বরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যেখানে পাঠক, লেখক ও প্রকাশকদের এক মহামিলন ঘটবে।

এবারের বইমেলার প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান: নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ,’ যা দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও ভবিষ্যৎ নির্মাণে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি যোগ করবে। মেলায় ৭০৮টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় বেশি।

বইমেলা শুধু বই কেনাবেচার স্থান নয়, এটি একটি সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র। প্রতিদিন বিকেলে প্রধান মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে বিভিন্ন আলোচনা সভা, যেখানে বিশিষ্ট লেখক, গবেষক ও বুদ্ধিজীবীরা সাহিত্য ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করবেন। সন্ধ্যায় থাকবে কবিতা আবৃত্তি, সংগীত ও নাট্য পরিবেশনা, যা বইপ্রেমীদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ হয়ে উঠবে।

শিশুদের জন্য এবারও থাকছে ‘শিশু চত্বর,’ যেখানে বই পড়া, গল্প শোনা ও নানা সৃজনশীল কার্যক্রমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া, বইমেলাকে পরিবেশবান্ধব করতে প্লাস্টিকমুক্ত উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপকরণের ব্যবহারে জোর দেওয়া হয়েছে।

নিরাপত্তার বিষয়টিও গুরুত্বসহকারে দেখা হয়েছে। মেলার প্রতিটি প্রবেশপথে কঠোর নজরদারি থাকবে, সিসিটিভি ও ডগ স্কোয়াড মোতায়েন করা হয়েছে।

অমর একুশে বইমেলা কেবল বইপ্রেমীদের জন্য নয়, এটি ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের এক মহান উপলক্ষ। নতুন লেখকদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম, যেখানে তারা তাদের সৃষ্টিশীল কাজ তুলে ধরতে পারেন। এবারের বইমেলা পাঠকদের জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা হবে, যেখানে বইয়ের সঙ্গে মিলবে সংস্কৃতি, চিন্তা ও সৃজনশীলতার সমাহার।