০১:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

মিরাজের ব্যাটিং- বোলিং নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টাইগারদের দাপুটে জয়, সিরিজ শেষ সমতায়

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:৫৪:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
  • / 90

ছবি সংগৃহীত

 

চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্টে জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ও ১০৬ রানে হারিয়ে সিরিজ সমতায় শেষ করল বাংলাদেশ। ব্যাটে-বলে অনন্য অলরাউন্ড পারফর্ম করে ম্যাচের নায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। তার সেঞ্চুরি ও ৫ উইকেটের কীর্তিতে টাইগাররা তিন দিনেই ম্যাচ গুটিয়ে নেয়।

সিলেটে প্রথম টেস্টে ব্যাটিং ব্যর্থতায় লজ্জার হারের পর সিরিজ বাঁচাতে দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিল না নাজমুল হোসেন শান্তদের সামনে। সেই চ্যালেঞ্জ দারুণভাবে উতরে গেল স্বাগতিকরা।

বিজ্ঞাপন

সাগরিকায় টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে জিম্বাবুয়ে করে ২২৭ রান। বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সফরকারীরা বড় স্কোর গড়তে ব্যর্থ হয়। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ প্রথম দিন শেষ করে ৭ উইকেটে ২৯১ রানে। পরদিন মিরাজের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরির উপর ভর করে বাংলাদেশ আরও ১৫৩ রান যোগ করে অলআউট হয় ৪৪৪ রানে।

প্রথম ইনিংসে ২১৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় জিম্বাবুয়ে। স্কোরবোর্ডে ২২ রান উঠতেই হারায় প্রথম তিন উইকেট। এরপর অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন ও ওপেনার বেন কারেন ৪৭ রানের জুটি গড়লেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।

ম্যাচে বল হাতে ফের আলো ছড়ান মেহেদি হাসান মিরাজ। আরভিনকে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন তিনি। একই ওভারে ফেরান ওয়েসলি মাধেভেরেকেও। এরপর আর মাত্র ৪২ রান যোগ করতেই জিম্বাবুয়ের ইনিংস গুটিয়ে যায় ১১১ রানে।

মিরাজ একাই শিকার করেন ৫ উইকেট। এর মাধ্যমে ক্যারিয়ারে ১৩তম বারের মতো ইনিংসে পাঁচ উইকেটের স্বাদ পান তিনি। ইনিংসের শেষ উইকেটটি রান আউট করে জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন মমিনুল হক।

এই জয়ের মাধ্যমে ঘরের মাঠে টানা ছয় টেস্টে জয়হীন থাকার হতাশা ঘোচালো বাংলাদেশ। দুই ম্যাচের সিরিজ ১-১ ব্যবধানে সমতায় শেষ করল টাইগাররা।

এই ম্যাচটি শুধু একটি জয় নয়, বরং আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার এক বড় মুহূর্ত। বিশেষ করে মেহেদি হাসান মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্য আবারও প্রমাণ করলো, দলের বিপদের সময় তিনি কতটা নির্ভরতার প্রতীক।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

মিরাজের ব্যাটিং- বোলিং নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টাইগারদের দাপুটে জয়, সিরিজ শেষ সমতায়

আপডেট সময় ০৬:৫৪:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

 

চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্টে জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ও ১০৬ রানে হারিয়ে সিরিজ সমতায় শেষ করল বাংলাদেশ। ব্যাটে-বলে অনন্য অলরাউন্ড পারফর্ম করে ম্যাচের নায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। তার সেঞ্চুরি ও ৫ উইকেটের কীর্তিতে টাইগাররা তিন দিনেই ম্যাচ গুটিয়ে নেয়।

সিলেটে প্রথম টেস্টে ব্যাটিং ব্যর্থতায় লজ্জার হারের পর সিরিজ বাঁচাতে দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিল না নাজমুল হোসেন শান্তদের সামনে। সেই চ্যালেঞ্জ দারুণভাবে উতরে গেল স্বাগতিকরা।

বিজ্ঞাপন

সাগরিকায় টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে জিম্বাবুয়ে করে ২২৭ রান। বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সফরকারীরা বড় স্কোর গড়তে ব্যর্থ হয়। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ প্রথম দিন শেষ করে ৭ উইকেটে ২৯১ রানে। পরদিন মিরাজের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরির উপর ভর করে বাংলাদেশ আরও ১৫৩ রান যোগ করে অলআউট হয় ৪৪৪ রানে।

প্রথম ইনিংসে ২১৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় জিম্বাবুয়ে। স্কোরবোর্ডে ২২ রান উঠতেই হারায় প্রথম তিন উইকেট। এরপর অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন ও ওপেনার বেন কারেন ৪৭ রানের জুটি গড়লেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।

ম্যাচে বল হাতে ফের আলো ছড়ান মেহেদি হাসান মিরাজ। আরভিনকে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন তিনি। একই ওভারে ফেরান ওয়েসলি মাধেভেরেকেও। এরপর আর মাত্র ৪২ রান যোগ করতেই জিম্বাবুয়ের ইনিংস গুটিয়ে যায় ১১১ রানে।

মিরাজ একাই শিকার করেন ৫ উইকেট। এর মাধ্যমে ক্যারিয়ারে ১৩তম বারের মতো ইনিংসে পাঁচ উইকেটের স্বাদ পান তিনি। ইনিংসের শেষ উইকেটটি রান আউট করে জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন মমিনুল হক।

এই জয়ের মাধ্যমে ঘরের মাঠে টানা ছয় টেস্টে জয়হীন থাকার হতাশা ঘোচালো বাংলাদেশ। দুই ম্যাচের সিরিজ ১-১ ব্যবধানে সমতায় শেষ করল টাইগাররা।

এই ম্যাচটি শুধু একটি জয় নয়, বরং আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার এক বড় মুহূর্ত। বিশেষ করে মেহেদি হাসান মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্য আবারও প্রমাণ করলো, দলের বিপদের সময় তিনি কতটা নির্ভরতার প্রতীক।