ঢাকা ১১:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সুন্দরবন রক্ষায় একটি সুনির্দিষ্ট কনক্রিট কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যই ভবিষ্যতের চাবিকাঠি: শিক্ষা উপদেষ্টা দেশীয় গবাদি পশু বিশ্বমানে উন্নীত করা সম্ভব: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা কুষ্টিয়া-১ আসনের সাবেক এমপি গ্রেপ্তার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে জামায়াতের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা: প্রেসসচিব ইরানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৎপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শেয়ার বাজার কারসাজি: সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা শান্ত-মুশফিকের জোড়া সেঞ্চুরিতে প্রথম দিন শেষে বড় সংগ্রহের পথে টাইগাররা ডেঙ্গু তাণ্ডব অব্যাহত: ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২৪৪, বরিশালে সর্বোচ্চ ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় সব পক্ষের প্রতিনিধিত্ব নেই: এনসিপি

দিনাজপুরে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা জাগাচ্ছে নতুন ধান ব্রি-১০২

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫
  • / 22

ছবি সংগৃহীত

 

দিনাজপুরের কৃষি ক্ষেত্রে নতুন আশার সঞ্চার ঘটিয়েছে উচ্চ ফলনশীল ও জিংক সমৃদ্ধ বোরো মৌসুমের ধানের নতুন জাত ব্রি-১০২। ধানের জন্য খ্যাত এই জেলায় খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি কৃষকদের লাভবান করায় সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে এই জাত।

সদর উপজেলার ১০ নম্বর কমলপুর ইউনিয়নের দানিহারী গ্রামে কৃষক মো. গোলাম মোস্তফা পরীক্ষামূলকভাবে ১ বিঘা জমিতে এই জাতের ধান আবাদ করেছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, তার প্রদর্শনী প্লটে এক শতাংশ জমি থেকে উৎপাদন হয়েছে ১ মনেরও বেশি ধান। তিনি জানান, চিকন ধানের মধ্যে ব্রি-১০২ সর্বোচ্চ ফলন দিয়েছে এবং এতে রোগ-বালাইও কম। লম্বা ও চিকন দানার এই ধানের ভাত ঝরঝরে, সুস্বাদু এবং খরচ তুলনামূলকভাবে কম, ফলে কৃষকরা ভালো লাভের আশায় আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

গোলাম মোস্তফা আরও জানান, তার ক্ষেতের ধান দেখে আশেপাশের অনেক কৃষক আগ্রহ প্রকাশ করছেন এবং অনেকেই ইতোমধ্যে এই ধানের বীজ সংগ্রহে আগ্রহ দেখিয়েছেন।

সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা হোসাইন মো. আবু সুফিয়ান জানান, পিকেএসএফ কৃষি ইউনিটের সহায়তায় এবারই প্রথম সদর উপজেলায় ব্রি-১০২ জাতের ধান আবাদ হয়েছে। এই ধানের শীষগুলো পরিপুষ্ট ও ভারী, রোগবালাই কম, খরচও তুলনামূলকভাবে কম হয়। ব্রি-২৯ বা অন্যান্য চিকন জাতের বিকল্প হিসেবে ব্রি-১০২ ধানকে চাষের উপযুক্ত হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। তার মতে, এবার ১ বিঘায় শুরু হলেও আগামীতে এই আবাদ ১০ থেকে ১২ বিঘা পর্যন্ত ছড়িয়ে যাবে।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. আফজাল হোসেন জানান, এবছর দিনাজপুরে মোট ২২০ হেক্টর জমিতে ব্রি-১০২ ধানের চাষ হয়েছে এবং এটি দিন দিন বাড়ছে। কৃষকদের আগ্রহ ও উৎপাদন ক্ষমতার ভিত্তিতে ব্রি-১০২ ধান দিনাজপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ২০২৩ সালে এই জিংক সমৃদ্ধ উচ্চ ফলনশীল বোরো জাত ব্রি-১০২ অবমুক্ত করে, যা এখন কৃষকদের মধ্যে আশার আলো ছড়াচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

দিনাজপুরে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা জাগাচ্ছে নতুন ধান ব্রি-১০২

আপডেট সময় ১১:০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫

 

দিনাজপুরের কৃষি ক্ষেত্রে নতুন আশার সঞ্চার ঘটিয়েছে উচ্চ ফলনশীল ও জিংক সমৃদ্ধ বোরো মৌসুমের ধানের নতুন জাত ব্রি-১০২। ধানের জন্য খ্যাত এই জেলায় খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি কৃষকদের লাভবান করায় সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে এই জাত।

সদর উপজেলার ১০ নম্বর কমলপুর ইউনিয়নের দানিহারী গ্রামে কৃষক মো. গোলাম মোস্তফা পরীক্ষামূলকভাবে ১ বিঘা জমিতে এই জাতের ধান আবাদ করেছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, তার প্রদর্শনী প্লটে এক শতাংশ জমি থেকে উৎপাদন হয়েছে ১ মনেরও বেশি ধান। তিনি জানান, চিকন ধানের মধ্যে ব্রি-১০২ সর্বোচ্চ ফলন দিয়েছে এবং এতে রোগ-বালাইও কম। লম্বা ও চিকন দানার এই ধানের ভাত ঝরঝরে, সুস্বাদু এবং খরচ তুলনামূলকভাবে কম, ফলে কৃষকরা ভালো লাভের আশায় আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

গোলাম মোস্তফা আরও জানান, তার ক্ষেতের ধান দেখে আশেপাশের অনেক কৃষক আগ্রহ প্রকাশ করছেন এবং অনেকেই ইতোমধ্যে এই ধানের বীজ সংগ্রহে আগ্রহ দেখিয়েছেন।

সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা হোসাইন মো. আবু সুফিয়ান জানান, পিকেএসএফ কৃষি ইউনিটের সহায়তায় এবারই প্রথম সদর উপজেলায় ব্রি-১০২ জাতের ধান আবাদ হয়েছে। এই ধানের শীষগুলো পরিপুষ্ট ও ভারী, রোগবালাই কম, খরচও তুলনামূলকভাবে কম হয়। ব্রি-২৯ বা অন্যান্য চিকন জাতের বিকল্প হিসেবে ব্রি-১০২ ধানকে চাষের উপযুক্ত হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। তার মতে, এবার ১ বিঘায় শুরু হলেও আগামীতে এই আবাদ ১০ থেকে ১২ বিঘা পর্যন্ত ছড়িয়ে যাবে।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. আফজাল হোসেন জানান, এবছর দিনাজপুরে মোট ২২০ হেক্টর জমিতে ব্রি-১০২ ধানের চাষ হয়েছে এবং এটি দিন দিন বাড়ছে। কৃষকদের আগ্রহ ও উৎপাদন ক্ষমতার ভিত্তিতে ব্রি-১০২ ধান দিনাজপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ২০২৩ সালে এই জিংক সমৃদ্ধ উচ্চ ফলনশীল বোরো জাত ব্রি-১০২ অবমুক্ত করে, যা এখন কৃষকদের মধ্যে আশার আলো ছড়াচ্ছে।