ঢাকা ১২:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মতিঝিলে বাণিজ্যিক ভবনে আগুন, উদ্ধার তৎপরতা চলছে গাইবান্ধায় বজ্রপাতে এক কৃষকের গরুর মৃত্যু দুর্নীতি কমলে দেশ দ্রুত এগোবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক এমপি মমতাজ গাজার অধিবাসীদের লিবিয়ায় স্থানান্তরের প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের ধানমন্ডির পুরাতন ২৭ নম্বর রোডের নতুন নাম ‘শহীদ ফারহান ফাইয়াজ’ সড়ক পুলিশের বাধার মুখে সচিবালয় অভিমুখে ইশরাক সমর্থকদের লংমার্চ উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে ‘ক্ষুদ্রঋণ ব্যাংক’ গঠনের প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার কাঁকড়া চাষের মাধ্যমে উপকূলের উন্নয়ন ও বিদেশে হচ্ছে রপ্তানি নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম ও নাশকতার ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে: ডিএমপি কমিশনার

ইতিহাসে প্রথম, রাজনৈতিক দলের রেজিস্ট্রেশন বাতিল হাইকোর্টের রায়ে: প্রধান বিচারপতি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:৪০:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
  • / 9

ছবি সংগৃহীত

 

রাজনৈতিক ইতিহাসে এক নজিরবিহীন ঘটনা হিসেবে হাইকোর্টের রায়ে একটি রাজনৈতিক দলের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের ঘটনা এই প্রথম—এমন মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

মঙ্গলবার (১৩ মে) সকালে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে এ মন্তব্য করেন তিনি। শুনানিকালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চে ছিলেন আরও তিন বিচারপতি।

এইদিন আদালতে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী শিশির মনির। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম।

প্রসঙ্গত, জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলটি ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর খারিজ হয়ে যায়, কারণ সেদিন কোনো পক্ষ আদালতে হাজির ছিলেন না। তবে পরে মামলাটি পুনরুজ্জীবনের (রিস্টোর) জন্য আবেদন করা হয়।

২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর আদালত দেরি মাফ করে আবেদনটি গ্রহণ করেন এবং মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করেন। সেই শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী এহসান আব্দুল্লাহ সিদ্দিক ও শিশির মনির।

পরবর্তীতে, ২০২৩ সালের ৩ ডিসেম্বর থেকে আপিলের শুনানি শুরু হয় এবং তা চলমান রয়েছে।

এই মামলার গুরুত্ব উল্লেখ করে আদালত বলেছে, দেশের আইনি ইতিহাসে এটি এক ঐতিহাসিক অধ্যায়। কেননা, একটি রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিলের বিষয়টি সাধারণত নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারভুক্ত হলেও এই প্রথম আদালতের রায়ে সেটি বাতিল হয়।

এ বিষয়ে আগ্রহী রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় এবং আদালতের ভূমিকায় এক নতুন দৃষ্টান্ত তৈরি করবে।

আদালত শুনানি চলাকালে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ দিতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা। আপাতত, বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে এবং সর্বোচ্চ আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গনসহ সারা দেশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইতিহাসে প্রথম, রাজনৈতিক দলের রেজিস্ট্রেশন বাতিল হাইকোর্টের রায়ে: প্রধান বিচারপতি

আপডেট সময় ০২:৪০:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

 

রাজনৈতিক ইতিহাসে এক নজিরবিহীন ঘটনা হিসেবে হাইকোর্টের রায়ে একটি রাজনৈতিক দলের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের ঘটনা এই প্রথম—এমন মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

মঙ্গলবার (১৩ মে) সকালে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে এ মন্তব্য করেন তিনি। শুনানিকালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চে ছিলেন আরও তিন বিচারপতি।

এইদিন আদালতে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী শিশির মনির। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম।

প্রসঙ্গত, জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলটি ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর খারিজ হয়ে যায়, কারণ সেদিন কোনো পক্ষ আদালতে হাজির ছিলেন না। তবে পরে মামলাটি পুনরুজ্জীবনের (রিস্টোর) জন্য আবেদন করা হয়।

২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর আদালত দেরি মাফ করে আবেদনটি গ্রহণ করেন এবং মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করেন। সেই শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী এহসান আব্দুল্লাহ সিদ্দিক ও শিশির মনির।

পরবর্তীতে, ২০২৩ সালের ৩ ডিসেম্বর থেকে আপিলের শুনানি শুরু হয় এবং তা চলমান রয়েছে।

এই মামলার গুরুত্ব উল্লেখ করে আদালত বলেছে, দেশের আইনি ইতিহাসে এটি এক ঐতিহাসিক অধ্যায়। কেননা, একটি রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিলের বিষয়টি সাধারণত নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারভুক্ত হলেও এই প্রথম আদালতের রায়ে সেটি বাতিল হয়।

এ বিষয়ে আগ্রহী রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় এবং আদালতের ভূমিকায় এক নতুন দৃষ্টান্ত তৈরি করবে।

আদালত শুনানি চলাকালে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ দিতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা। আপাতত, বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে এবং সর্বোচ্চ আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গনসহ সারা দেশ।