ঢাকা ০৪:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ধানমন্ডির পুরাতন ২৭ নম্বর রোডের নতুন নাম ‘শহীদ ফারহান ফাইয়াজ’ সড়ক পুলিশের বাধার মুখে সচিবালয় অভিমুখে ইশরাক সমর্থকদের লংমার্চ উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে ‘ক্ষুদ্রঋণ ব্যাংক’ গঠনের প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার কাঁকড়া চাষের মাধ্যমে উপকূলের উন্নয়ন ও বিদেশে হচ্ছে রপ্তানি নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম ও নাশকতার ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে: ডিএমপি কমিশনার শশী গ্রুপের একাধিক অঙ্গ প্রতিষ্টানে বিভিন্ন পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ছুটির দিনেও খোলা ব্যাংক, কম গ্রাহকের আনাগোনা চকরিয়ায় অভিযান চালিয়ে সাত মামলার আসামি যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার নগর ভবনের সামনে ইশরাকপন্থীদের অবস্থান কর্মসূচি নিজ বাসভবনে আইনজীবীর রহস্যজনক মৃত্যু

বিয়ের মুহূর্তে যৌতুক নিয়ে হাঙ্গামা, বরকে নিয়ে গেল পুলিশ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৫১:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫
  • / 6

ছবি: সংগৃহীত

 

নোয়াখালীর মাইজদীতে যৌতুক না দেওয়ার অভিযোগে বিয়ের আসরে হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বর ও কনে পক্ষের অন্তত ৫ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ বরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

শুক্রবার (১৬ মে) বিকেল সাড়ে ৪টায় জেলা শহর মাইজদীর মেহেরান ডাইন রেস্টুরেন্টে এ ঘটনাটি ঘটে।

অভিযুক্ত বর ইকবাল হোসেন (৩৬) পেশায় একজন ড্রাগ সুপার। তিনি নোয়াখালীতে কর্মরত থাকলেও তার গ্রামের বাড়ি ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায়। কনে একজন অনার্সে পড়ুয়া শিক্ষার্থী, যার বাবার কয়েক বছর আগে মৃত্যু হয়। তার বাড়ি নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায়। কনের মামারা এই বিয়ের আয়োজন করেন।

কনে পক্ষের মামা হিরন ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুক্রবার দুপুরে কনে পক্ষের ৩০০ লোকের জন্য মেহরান ডাইনে খাওয়ার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যথারীতি বর পক্ষের লোকজনকে খাওয়াদাওয়া দেওয়া হয়। একপর্যায়ে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার জন্য প্রস্তুতি নিলে বরকে আর খোঁজে পাওয়া যায় না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পরে বরকে একটি রুমে পাওয়া গেছে। বর এসে কনে পক্ষের মামাদের নিকট ৫০ লাখ টাকা যৌতুকের টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে বর উঠে এসে পালিয়ে যাই। বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দেই। এই নিয়ে দুপক্ষের মধ্যেও হাতাহাতি হয়। পরে বর পক্ষের লোকজন এসে কনের লোকজনের ওপর হামলা করে।

এ ঘটনায় কনে পক্ষের লোকজন ও স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে সুধারাম থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ও বরসহ দুজনকে থানায় নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে বরের ভাই সোহরাব হোসেন জানান, মেয়েদের পারিবারিক একটি বিষয় নিয়ে আমার ভাই একটি রুমে গিয়েছিল। সে পালিয়ে যায়নি এবং ৫০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেনি। এখন তারা আমাদের বিরুদ্ধে উল্টো অভিযোগ দিচ্ছে। আমার ভাই একজন ড্রাগ সুপার।

এই ঘটনায় জেলা শহর মাইজদীতে টক অব দা টাউনে পরিণত হয়েছে। স্থানীয়রা এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক দাবি করছেন।

নোয়াখালী সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম জানান, এই ঘটনায় বরসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিয়ের মুহূর্তে যৌতুক নিয়ে হাঙ্গামা, বরকে নিয়ে গেল পুলিশ

আপডেট সময় ১২:৫১:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

 

নোয়াখালীর মাইজদীতে যৌতুক না দেওয়ার অভিযোগে বিয়ের আসরে হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বর ও কনে পক্ষের অন্তত ৫ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ বরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

শুক্রবার (১৬ মে) বিকেল সাড়ে ৪টায় জেলা শহর মাইজদীর মেহেরান ডাইন রেস্টুরেন্টে এ ঘটনাটি ঘটে।

অভিযুক্ত বর ইকবাল হোসেন (৩৬) পেশায় একজন ড্রাগ সুপার। তিনি নোয়াখালীতে কর্মরত থাকলেও তার গ্রামের বাড়ি ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায়। কনে একজন অনার্সে পড়ুয়া শিক্ষার্থী, যার বাবার কয়েক বছর আগে মৃত্যু হয়। তার বাড়ি নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায়। কনের মামারা এই বিয়ের আয়োজন করেন।

কনে পক্ষের মামা হিরন ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুক্রবার দুপুরে কনে পক্ষের ৩০০ লোকের জন্য মেহরান ডাইনে খাওয়ার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যথারীতি বর পক্ষের লোকজনকে খাওয়াদাওয়া দেওয়া হয়। একপর্যায়ে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার জন্য প্রস্তুতি নিলে বরকে আর খোঁজে পাওয়া যায় না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পরে বরকে একটি রুমে পাওয়া গেছে। বর এসে কনে পক্ষের মামাদের নিকট ৫০ লাখ টাকা যৌতুকের টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে বর উঠে এসে পালিয়ে যাই। বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দেই। এই নিয়ে দুপক্ষের মধ্যেও হাতাহাতি হয়। পরে বর পক্ষের লোকজন এসে কনের লোকজনের ওপর হামলা করে।

এ ঘটনায় কনে পক্ষের লোকজন ও স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে সুধারাম থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ও বরসহ দুজনকে থানায় নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে বরের ভাই সোহরাব হোসেন জানান, মেয়েদের পারিবারিক একটি বিষয় নিয়ে আমার ভাই একটি রুমে গিয়েছিল। সে পালিয়ে যায়নি এবং ৫০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেনি। এখন তারা আমাদের বিরুদ্ধে উল্টো অভিযোগ দিচ্ছে। আমার ভাই একজন ড্রাগ সুপার।

এই ঘটনায় জেলা শহর মাইজদীতে টক অব দা টাউনে পরিণত হয়েছে। স্থানীয়রা এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক দাবি করছেন।

নোয়াখালী সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম জানান, এই ঘটনায় বরসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।