ঢাকা ০৩:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পরবর্তী শুনানি ৭ জুলাই শহীদ আবু সাঈদের মায়ের দোয়া নিয়ে এনসিপির জুলাই পদযাত্রা শুরু জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মাসব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনীতে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ বছর ঘুরে ফিরে আসলো গণঅভ্যুত্থানের সেই রক্তাক্ত জুলাই পারমাণবিক আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের নিশ্চয়তা চান ইরান: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলাই অভ্যুত্থান স্মরণে আজ মাসব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ১৮ জুলাই পালিত হবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিরোধ দিবস: প্রেসসচিব ক্লাব বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়ে ম্যানসিটি বিদায় করে কোয়ার্টারে আল হিলাল নির্বাচন হবে আগামী বছরের শুরুতে : মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রধান উপদেষ্টা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ

ময়মনসিংহে অবৈধ কারখানায় প্রশাসনের হানা, বিপুল পরিমাণ নকল স্যালাইন ও ট্যাং জব্দ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:০০:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
  • / 45

ছবি: সংগৃহীত

 

ময়মনসিংহের ফুলপুরে ভেজাল স্যালাইন ও খাবার ট্যাং তৈরির তিনটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নকল পণ্য জব্দ ও ধ্বংস করেছে সেনাবাহিনী, উপজেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযানে এক কারখানা মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

বুধবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার আনোয়ারখিলা ও গোদারিয়া গ্রামে এই যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়। নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান ফারুক। তিনি জানান, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)-এর তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালিত হয়।

প্রথমে আনোয়ারখিলা এলাকায় একটি অবৈধ কারখানায় অভিযান চালিয়ে দেখা যায়, সেখানে নকল ও অনুমোদনহীন স্যালাইন তৈরি করা হচ্ছে। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এসব ভেজাল স্যালাইন স্থানীয় বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছিল। অভিযানে কারখানার মালিক খসরু তালুকদারকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে তাকে এক মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

এরপর গোদারিয়া গ্রামে আরও দুটি অবৈধ কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নকল স্যালাইন, ট্যাং ও বিভিন্ন ভেজাল খাদ্য ও পানীয় তৈরির উপকরণ জব্দ করা হয়। এসব পণ্য জনস্বাস্থ্যের জন্য ভয়াবহ হুমকি সৃষ্টি করতে পারে বলে জানায় প্রশাসন। অভিযানের সময় কারখানাগুলো সিলগালা করা হয় এবং জব্দকৃত ভেজাল সামগ্রী ধ্বংস করা হয়।

অভিযান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বিবেচনায় রেখে প্রশাসন এমন অবৈধ কারখানার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। নকল ও ভেজাল খাদ্য উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তারা।

স্থানীয়রা প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এসব ভেজাল পণ্য মানুষের জীবন বিপন্ন করছে। এমন অভিযান নিয়মিত চালানো হলে অসাধু ব্যবসায়ীরা ভয় পাবে এবং জনস্বাস্থ্য রক্ষা করা সহজ হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ময়মনসিংহে অবৈধ কারখানায় প্রশাসনের হানা, বিপুল পরিমাণ নকল স্যালাইন ও ট্যাং জব্দ

আপডেট সময় ০২:০০:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

 

ময়মনসিংহের ফুলপুরে ভেজাল স্যালাইন ও খাবার ট্যাং তৈরির তিনটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নকল পণ্য জব্দ ও ধ্বংস করেছে সেনাবাহিনী, উপজেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযানে এক কারখানা মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

বুধবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার আনোয়ারখিলা ও গোদারিয়া গ্রামে এই যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়। নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান ফারুক। তিনি জানান, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)-এর তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালিত হয়।

প্রথমে আনোয়ারখিলা এলাকায় একটি অবৈধ কারখানায় অভিযান চালিয়ে দেখা যায়, সেখানে নকল ও অনুমোদনহীন স্যালাইন তৈরি করা হচ্ছে। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এসব ভেজাল স্যালাইন স্থানীয় বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছিল। অভিযানে কারখানার মালিক খসরু তালুকদারকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে তাকে এক মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

এরপর গোদারিয়া গ্রামে আরও দুটি অবৈধ কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নকল স্যালাইন, ট্যাং ও বিভিন্ন ভেজাল খাদ্য ও পানীয় তৈরির উপকরণ জব্দ করা হয়। এসব পণ্য জনস্বাস্থ্যের জন্য ভয়াবহ হুমকি সৃষ্টি করতে পারে বলে জানায় প্রশাসন। অভিযানের সময় কারখানাগুলো সিলগালা করা হয় এবং জব্দকৃত ভেজাল সামগ্রী ধ্বংস করা হয়।

অভিযান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বিবেচনায় রেখে প্রশাসন এমন অবৈধ কারখানার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। নকল ও ভেজাল খাদ্য উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তারা।

স্থানীয়রা প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এসব ভেজাল পণ্য মানুষের জীবন বিপন্ন করছে। এমন অভিযান নিয়মিত চালানো হলে অসাধু ব্যবসায়ীরা ভয় পাবে এবং জনস্বাস্থ্য রক্ষা করা সহজ হবে।