যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষিণ সুদানের পাসপোর্টধারীদের ভিসা বাতিল: ফের উত্তেজনা আন্তর্জাতিক অভিবাসনে

- আপডেট সময় ০৮:০৯:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫
- / 23
যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ সুদানের সব পাসপোর্টধারীর ভিসা বাতিল করেছে এবং নতুন আগতদের প্রবেশেও কড়াকড়ি আরোপ করেছে। এমন সিদ্ধান্ত সামনে আসার পর অভিবাসন ও কূটনৈতিক অঙ্গনে ফের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সম্প্রতি এক বিবৃতিতে জানান, দক্ষিণ সুদান যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কৃত নিজ দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। এরই জেরে দক্ষিণ সুদানের নাগরিকদের ভিসা ইস্যু স্থগিত এবং বিদ্যমান ভিসা বাতিলের পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
রুবিও বলেন, ‘‘যখন কোনো দেশ তাদের নাগরিককে ফেরত পাঠাতে চায়, তখন সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের উচিত দায়িত্ব নিয়ে সেই নাগরিককে গ্রহণ করা। দক্ষিণ সুদান এতে বারবার গড়িমসি করছে।’’
বিশ্বের নবীনতম ও দরিদ্রতম দেশগুলোর একটি দক্ষিণ সুদান, যা বহু বছর ধরেই রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে অবস্থান করছে। ২০১৩ থেকে ২০১৮ সালের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে প্রাণ হারায় প্রায় চার লাখ মানুষ। বর্তমানে পরিস্থিতি আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মহল।
এমন প্রেক্ষাপটে, অভিবাসন ইস্যুতে ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অবস্থান নতুন করে দৃশ্যমান হচ্ছে। হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের পর দক্ষিণ সুদানের নাগরিকদের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা প্রথম বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
জো বাইডেন প্রশাসনের সময়ে দক্ষিণ সুদানের নাগরিকদের ‘টেম্পোরারি প্রোটেক্টেড স্ট্যাটাস (TPS)’ দেওয়া হয়েছিল, যার মেয়াদ ছিল ২০২৫ সালের মে পর্যন্ত। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন TPS সুবিধা প্রত্যাহারে উদ্যোগী হয়েছে। ইতিমধ্যে ভেনেজুয়েলার ছয় লাখেরও বেশি নাগরিকের নিরাপত্তা সুবিধা বাতিল করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্ত দিয়ে আফ্রিকান অভিবাসীদের প্রবেশের হার বাড়ছে। ইউরোপমুখী ঝুঁকিপূর্ণ পথ এড়িয়ে অনেকেই আমেরিকায় পাড়ি দিতে চাইছে। এই পটভূমিতে দক্ষিণ সুদানের নাগরিকদের নিয়ে কড়াকড়ি শুধু অভিবাসন নয়, কূটনৈতিক সম্পর্কেও নতুন টানাপোড়েন সৃষ্টি করতে পারে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।