ঢাকা ০৪:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :

গাজায় নতুন সংকটের আশঙ্কা: পানি-বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের পরিকল্পনায় ইসরায়েল

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:২৬:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫
  • / ২৬ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

 

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও নতুন করে উত্তেজনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইসরায়েল সম্ভাব্য কৌশল হিসেবে গাজায় পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মুখপাত্র ওমর দোস্ত্রি। হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন। খবর আনাদোলু এজেন্সির।

গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও ইসরায়েলের সামরিক প্রস্তুতি থেমে নেই। দোস্ত্রি মঙ্গলবার জানান, ‘হামাস আপস করতে যত বেশি সময় নেবে, ইসরায়েল তত বেশি কৌশলগত সুবিধা পাবে। আমরা একাধিক পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছি, যার মধ্যে গাজার পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের বিষয়টিও রয়েছে।’

ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলছেন, হামাস বন্দিবিনিময় সংক্রান্ত আলোচনায় বিলম্ব করায় তাদের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য নতুন কৌশল নেওয়া হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে দোস্ত্রি জানান, ‘ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে কৌশলগত পরিকল্পনা করছে, যাতে বন্দিদের মুক্তির সম্ভাবনা বাড়ানো যায়।’

তবে, নেতানিয়াহু গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপে যেতে রাজি নন। তিনি চান, প্রথম ধাপকেই দীর্ঘায়িত করা হোক। এরই অংশ হিসেবে সম্প্রতি ইসরায়েল গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে। অন্যদিকে, হামাসের দাবি, যুদ্ধবিরতির শর্ত মানতে হবে এবং দ্রুত দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরু করতে হবে, যেখানে গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম ‘কান’ জানিয়েছে, ইসরায়েল এক সপ্তাহের মধ্যে গাজার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে, যার মধ্যে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা, পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড এবং উত্তর গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের দক্ষিণে সরিয়ে দেওয়ার মতো নীতিও থাকতে পারে।

এদিকে, গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলও সক্রিয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজার নিয়ন্ত্রণ ও পুনর্বাসন নিয়ে একটি প্রস্তাব দিলে তার বিপরীতে আরব দেশগুলোর নেতারা পাঁচ হাজার তিন কোটি ডলারের পুনর্গঠন পরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন। মিসরের কায়রোতে এক জরুরি সভায় তারা এ পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।

গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যেই নতুন সংকট ঘনিয়ে আসছে, যা যে কোনো মুহূর্তে নতুন সংঘাতের জন্ম দিতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় নতুন সংকটের আশঙ্কা: পানি-বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের পরিকল্পনায় ইসরায়েল

আপডেট সময় ১০:২৬:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫

 

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও নতুন করে উত্তেজনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইসরায়েল সম্ভাব্য কৌশল হিসেবে গাজায় পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মুখপাত্র ওমর দোস্ত্রি। হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন। খবর আনাদোলু এজেন্সির।

গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও ইসরায়েলের সামরিক প্রস্তুতি থেমে নেই। দোস্ত্রি মঙ্গলবার জানান, ‘হামাস আপস করতে যত বেশি সময় নেবে, ইসরায়েল তত বেশি কৌশলগত সুবিধা পাবে। আমরা একাধিক পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছি, যার মধ্যে গাজার পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের বিষয়টিও রয়েছে।’

ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলছেন, হামাস বন্দিবিনিময় সংক্রান্ত আলোচনায় বিলম্ব করায় তাদের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য নতুন কৌশল নেওয়া হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে দোস্ত্রি জানান, ‘ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে কৌশলগত পরিকল্পনা করছে, যাতে বন্দিদের মুক্তির সম্ভাবনা বাড়ানো যায়।’

তবে, নেতানিয়াহু গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপে যেতে রাজি নন। তিনি চান, প্রথম ধাপকেই দীর্ঘায়িত করা হোক। এরই অংশ হিসেবে সম্প্রতি ইসরায়েল গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে। অন্যদিকে, হামাসের দাবি, যুদ্ধবিরতির শর্ত মানতে হবে এবং দ্রুত দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরু করতে হবে, যেখানে গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম ‘কান’ জানিয়েছে, ইসরায়েল এক সপ্তাহের মধ্যে গাজার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে, যার মধ্যে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা, পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড এবং উত্তর গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের দক্ষিণে সরিয়ে দেওয়ার মতো নীতিও থাকতে পারে।

এদিকে, গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলও সক্রিয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজার নিয়ন্ত্রণ ও পুনর্বাসন নিয়ে একটি প্রস্তাব দিলে তার বিপরীতে আরব দেশগুলোর নেতারা পাঁচ হাজার তিন কোটি ডলারের পুনর্গঠন পরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন। মিসরের কায়রোতে এক জরুরি সভায় তারা এ পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।

গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যেই নতুন সংকট ঘনিয়ে আসছে, যা যে কোনো মুহূর্তে নতুন সংঘাতের জন্ম দিতে পারে।