সিরাজগঞ্জে মাত্র ২ মিনিটের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, লণ্ডভণ্ড ৪ গ্রাম

- আপডেট সময় ০৫:৩৮:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
- / 10
সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের চারটি গ্রাম মাত্র ২ মিনিটের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দুপুরে চরচিলগাছা, চিলগাছা, বাহুকা ও ইটালি গ্রামে হঠাৎ করে আঘাত হানে এ প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, দুপুর ২টার কিছু পর হঠাৎ পশ্চিম দিক থেকে ঘন কালো মেঘের মতো কিছু আসতে দেখা যায়। মুহূর্তেই শুরু হয় প্রচণ্ড ঝড়। মাত্র ২ মিনিটের এই ঘূর্ণিঝড়ে শতাধিক টিনের ঘর লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। বহু গাছপালা উপড়ে পড়ে যায়, বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
রতনকান্দি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম ধুল্লু জানান, ঝড়টি এত দ্রুত ঘটে যে কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই চারটি গ্রামের অসংখ্য ঘরবাড়ি এবং গাছপালা বিধ্বস্ত হয়ে যায়। অনেক বাড়ির টিনের চাল উড়ে গেছে, কিছু কিছু ঘর সম্পূর্ণ উড়ে গিয়ে অন্য স্থানে গিয়ে পড়েছে।
তিনি আরও জানান, “রাস্তার উপর গাছপালা পড়ে থাকায় চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক কৃষিজমির ফসলও বিনষ্ট হয়েছে। বিদ্যুতের বেশ কিছু খুঁটি ভেঙে গেছে। এমনকি কয়েকটি মুরগির খামারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”
চরচিলগাছা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দা রুবেল বলেন, “বৃষ্টির সময় ঘরে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসে ছিলাম। হঠাৎ ঝড় শুরু হলে কিছু বোঝার আগেই আমার ঘর উড়ে যায়। কোনো রকমে প্রাণে বেঁচেছি, এখন খোলা আকাশের নিচে রয়েছি।”
রতনকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জুবায়েল হোসেন জানান, “শুধু চরচিলগাছা গ্রামেই প্রায় ৫০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইউএনও অফিসে তথ্য পাঠানো হয়েছে। তারা এলেই ক্ষতিগ্রস্তদের চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করা হবে।”
ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ডা. মেরাজ হোসেন মিসবাহ বলেন, “ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় প্রশাসন কাজ করছে। তালিকা তৈরি চলছে, যথাসময়ে সাহায্য দেওয়া হবে।”
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনোয়ার হোসেন জানান, “ঘটনাস্থলে পিআইওকে পাঠানো হয়েছে এবং আমি নিজেও সরেজমিনে যাবো। প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছে।