ঢাকা ০৯:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শাহাদাতের রক্তে রাঙা অবিনাশী চেতনা শীর্ষক কনফারেন্স সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়তের সভাপতি নির্বাচিত হলেন আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান খন্দকার মোশাররফের নেতৃত্বে যমুনায় বিএনপির প্রতিনিধি দল থাইল্যান্ডে পুলিশ হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে ৩ জন নিহত চার দাবিতে এনবিআরে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি চলবে রোববার সর্বদলীয় বৈঠক ডাকলেন প্রধান উপদেষ্টা নবীনগরে গলায় লিচুর বিচি আটকে শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু ভারতের টেস্ট দলের নতুন অধিনায়ক হলেন শুভমান গিল পুঁজিবাজার থেকে উধাও ১৫ হাজার কোটি টাকা: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের বিস্ফোরক দাবি ওষুধ ছাড়াই ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণে যেসব খাবার খাবেন!

ভোলায় সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুত ৮৬৯টি আশ্রয়কেন্দ্র

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:১২:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
  • / 6

ছবি সংগৃহীত

 

ভোলা: মে মাসের শেষদিকে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় শক্তি ও মন্থার আশঙ্কায় ভোলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৮৬৯টি আশ্রয়কেন্দ্র। এসব কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে পারবে প্রায় চার লাখ ৪৪ হাজার মানুষ। এছাড়া প্রস্তুত রাখা হয়েছে দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য প্রয়োজনীয় জনবল ও ত্রাণ সামগ্রী।

শনিবার (২৪ মে) সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এসব তথ্য জানান ভোলা জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান। তার সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন শাখা, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বাস্থ্য বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

জেলা প্রশাসক জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৮৬৯টি আশ্রয়কেন্দ্র এবং ১৪টি কিল্লা। এসব কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে পারবেন মোট চার লাখ ৪৪ হাজার ৩০০ জন। উদ্ধার ও সচেতনতা কার্যক্রমে নিযুক্ত থাকবে ১৩ হাজার ৮৬০ জন সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক, ৯৮টি মেডিক্যাল টিম ও ২১টি পশু চিকিৎসা টিম।

ত্রাণ কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য মজুত রাখা হয়েছে এক হাজার ১৫ প্যাকেট শুকনো খাবার, ২৯১ মেট্রিক টন চাল, পাঁচ লাখ টাকার শিশুখাদ্য, পাঁচ লাখ টাকার পশুখাদ্য এবং পর্যাপ্ত ঢেউটিন।

ভোলার সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলার বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল। চরফ্যাশনের ঢালচরে সাত হাজার ৪৩৬ জন, কুকরি-মুকরিতে আট হাজার ৩৬২ জন ও মুজিবনগরে ১০ হাজার ৪০৪ জন বসবাস করে। অপরদিকে, মনপুরার কলাতলী চরে চার হাজার ২০০ জন, কাজির চরে তিন হাজার ১০০ জন, ঢালচরে ৪৫০ জন ও মহাজনকান্দিতে ১১০ জন মানুষ ঝুঁকির মুখে রয়েছে।

এই সব চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের ঘূর্ণিঝড়ের আগেই নিরাপদ আশ্রয়ে আনার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে সভায় জানানো হয়। একইসঙ্গে দুর্যোগকালীন দ্রুত সাড়া দেওয়ার জন্য জেলার সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. সোহান সরকার, সিভিল সার্জন ডা. মো. মনিরুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুজ্জামানসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভোলায় সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুত ৮৬৯টি আশ্রয়কেন্দ্র

আপডেট সময় ০৪:১২:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

 

ভোলা: মে মাসের শেষদিকে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় শক্তি ও মন্থার আশঙ্কায় ভোলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৮৬৯টি আশ্রয়কেন্দ্র। এসব কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে পারবে প্রায় চার লাখ ৪৪ হাজার মানুষ। এছাড়া প্রস্তুত রাখা হয়েছে দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য প্রয়োজনীয় জনবল ও ত্রাণ সামগ্রী।

শনিবার (২৪ মে) সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এসব তথ্য জানান ভোলা জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান। তার সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন শাখা, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বাস্থ্য বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

জেলা প্রশাসক জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৮৬৯টি আশ্রয়কেন্দ্র এবং ১৪টি কিল্লা। এসব কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে পারবেন মোট চার লাখ ৪৪ হাজার ৩০০ জন। উদ্ধার ও সচেতনতা কার্যক্রমে নিযুক্ত থাকবে ১৩ হাজার ৮৬০ জন সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক, ৯৮টি মেডিক্যাল টিম ও ২১টি পশু চিকিৎসা টিম।

ত্রাণ কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য মজুত রাখা হয়েছে এক হাজার ১৫ প্যাকেট শুকনো খাবার, ২৯১ মেট্রিক টন চাল, পাঁচ লাখ টাকার শিশুখাদ্য, পাঁচ লাখ টাকার পশুখাদ্য এবং পর্যাপ্ত ঢেউটিন।

ভোলার সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলার বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল। চরফ্যাশনের ঢালচরে সাত হাজার ৪৩৬ জন, কুকরি-মুকরিতে আট হাজার ৩৬২ জন ও মুজিবনগরে ১০ হাজার ৪০৪ জন বসবাস করে। অপরদিকে, মনপুরার কলাতলী চরে চার হাজার ২০০ জন, কাজির চরে তিন হাজার ১০০ জন, ঢালচরে ৪৫০ জন ও মহাজনকান্দিতে ১১০ জন মানুষ ঝুঁকির মুখে রয়েছে।

এই সব চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের ঘূর্ণিঝড়ের আগেই নিরাপদ আশ্রয়ে আনার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে সভায় জানানো হয়। একইসঙ্গে দুর্যোগকালীন দ্রুত সাড়া দেওয়ার জন্য জেলার সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. সোহান সরকার, সিভিল সার্জন ডা. মো. মনিরুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুজ্জামানসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।