০৭:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

মঙ্গলে গ্রহাণুর আঘাতে জীবনের সম্ভাবনা খুঁজছেন বিজ্ঞানীরা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:২০:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫
  • / 93

ছবি সংগৃহীত

 

মঙ্গল গ্রহ, যা আমাদের সৌরজগতের ‘লাল গ্রহ’ নামে পরিচিত, দীর্ঘদিন ধরেই বিজ্ঞানীদের কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। অজস্র মিশন, গবেষণা ও কল্পনা ঘিরে আছে এই প্রতিবেশী গ্রহটিকে ঘিরে মানুষ একদিন কি সত্যিই মঙ্গলে বসবাস করতে পারবে?

মঙ্গলের বুকে রয়েছে পারক্লোরেট নামের একটি বিষাক্ত রাসায়নিক, যা মানুষের শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। পাশাপাশি এর বায়ুমণ্ডল অত্যন্ত পাতলা, মূলত কার্বন ডাই-অক্সাইডে পূর্ণ। এই পরিবেশে শ্বাস নেওয়া তো দূরের কথা, মানুষের শরীরের জলীয় অংশ দ্রুত শুকিয়ে যেতে পারে। তাই মঙ্গলে জীবনধারণ এখনো অসম্ভব এক চ্যালেঞ্জ।

বিজ্ঞাপন

তবে আশার আলো দেখাচ্ছেন পোল্যান্ডের ‘পোলিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস’-এর গবেষক লেজেক চেকভস্কি। তিনি মঙ্গলকে প্রাণের উপযোগী করতে এক অভিনব পদ্ধতির প্রস্তাব দিয়েছেন মঙ্গলে গ্রহাণুর পরিকল্পিত সংঘর্ষ। তাঁর মতে, বরফে মোড়ানো গ্রহাণু যদি মঙ্গলের বুকে সংঘর্ষ করে, তবে তাতে উৎপন্ন তাপ ও গ্যাস মিশে মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে নাটকীয় পরিবর্তন আনতে পারে।

এই পদ্ধতির মাধ্যমে একদিকে যেমন কার্বন ডাই-অক্সাইডের ঘনত্ব বাড়তে পারে, তেমনি মুক্তি পেতে পারে জলীয় বাষ্প ও অন্যান্য সহায়ক গ্যাস। ফলে গড়ে উঠতে পারে একটি ঘন বায়ুমণ্ডল, যা ভবিষ্যতে গাছপালা জন্মাতে এবং জীবনের অস্তিত্ব ধরে রাখতে সহায়ক হবে।

অন্যান্য বিজ্ঞানীরা এর আগেও অ্যান্টার্কটিকার মতো পরিবেশে টিকে থাকা লাইকেন ও মস জাতীয় উদ্ভিদের কথা বলেছিলেন, যা মঙ্গলের চরম পরিবেশে বেঁচে থাকতে সক্ষম হতে পারে।

মঙ্গলের বুকে প্রাণের বসতি গড়ার স্বপ্ন যদিও এখনও বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে, তবু বিজ্ঞানীরা থেমে নেই। প্রতিটি নতুন তত্ত্ব, প্রতিটি পরীক্ষাই আমাদের আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে মহাজাগতিক ভবিষ্যতের পথে। মঙ্গল হয়তো একদিন সত্যিই মানুষের দ্বিতীয় ঠিকানা হয়ে উঠবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

মঙ্গলে গ্রহাণুর আঘাতে জীবনের সম্ভাবনা খুঁজছেন বিজ্ঞানীরা

আপডেট সময় ০৫:২০:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

 

মঙ্গল গ্রহ, যা আমাদের সৌরজগতের ‘লাল গ্রহ’ নামে পরিচিত, দীর্ঘদিন ধরেই বিজ্ঞানীদের কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। অজস্র মিশন, গবেষণা ও কল্পনা ঘিরে আছে এই প্রতিবেশী গ্রহটিকে ঘিরে মানুষ একদিন কি সত্যিই মঙ্গলে বসবাস করতে পারবে?

মঙ্গলের বুকে রয়েছে পারক্লোরেট নামের একটি বিষাক্ত রাসায়নিক, যা মানুষের শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। পাশাপাশি এর বায়ুমণ্ডল অত্যন্ত পাতলা, মূলত কার্বন ডাই-অক্সাইডে পূর্ণ। এই পরিবেশে শ্বাস নেওয়া তো দূরের কথা, মানুষের শরীরের জলীয় অংশ দ্রুত শুকিয়ে যেতে পারে। তাই মঙ্গলে জীবনধারণ এখনো অসম্ভব এক চ্যালেঞ্জ।

বিজ্ঞাপন

তবে আশার আলো দেখাচ্ছেন পোল্যান্ডের ‘পোলিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস’-এর গবেষক লেজেক চেকভস্কি। তিনি মঙ্গলকে প্রাণের উপযোগী করতে এক অভিনব পদ্ধতির প্রস্তাব দিয়েছেন মঙ্গলে গ্রহাণুর পরিকল্পিত সংঘর্ষ। তাঁর মতে, বরফে মোড়ানো গ্রহাণু যদি মঙ্গলের বুকে সংঘর্ষ করে, তবে তাতে উৎপন্ন তাপ ও গ্যাস মিশে মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে নাটকীয় পরিবর্তন আনতে পারে।

এই পদ্ধতির মাধ্যমে একদিকে যেমন কার্বন ডাই-অক্সাইডের ঘনত্ব বাড়তে পারে, তেমনি মুক্তি পেতে পারে জলীয় বাষ্প ও অন্যান্য সহায়ক গ্যাস। ফলে গড়ে উঠতে পারে একটি ঘন বায়ুমণ্ডল, যা ভবিষ্যতে গাছপালা জন্মাতে এবং জীবনের অস্তিত্ব ধরে রাখতে সহায়ক হবে।

অন্যান্য বিজ্ঞানীরা এর আগেও অ্যান্টার্কটিকার মতো পরিবেশে টিকে থাকা লাইকেন ও মস জাতীয় উদ্ভিদের কথা বলেছিলেন, যা মঙ্গলের চরম পরিবেশে বেঁচে থাকতে সক্ষম হতে পারে।

মঙ্গলের বুকে প্রাণের বসতি গড়ার স্বপ্ন যদিও এখনও বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে, তবু বিজ্ঞানীরা থেমে নেই। প্রতিটি নতুন তত্ত্ব, প্রতিটি পরীক্ষাই আমাদের আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে মহাজাগতিক ভবিষ্যতের পথে। মঙ্গল হয়তো একদিন সত্যিই মানুষের দ্বিতীয় ঠিকানা হয়ে উঠবে।