“লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক” ধ্বনিতে মুখরিত মিনা, শুরু হলো হজের আনুষ্ঠানিকতা

- আপডেট সময় ০১:০৪:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫
- / 6
পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত লাখো মুসল্লির “লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক” ধ্বনিতে মুখর হয়ে উঠেছে মিনার পবিত্র উপত্যকা। আজ বুধবার হিজরি ৮ জিলহজ, শুরু হলো হজের আনুষ্ঠানিকতা, যা ‘ইয়াওমুত তারওয়িয়াহ’ বা ভাবনার দিন হিসেবে পরিচিত।
আজ ভোরে মক্কা থেকে রওনা হয়ে হাজিরা মিনায় পৌঁছান, যেখানে তাঁরা একদিন অবস্থান করবেন। মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর সুন্নত অনুসরণে মিনায় অবস্থান, নামাজ আদায় এবং তালবিয়া পাঠের মাধ্যমে শুরু হয় পবিত্র হজ।
হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা পাঁচ দিনব্যাপী, যা ৮ জিলহজ মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে ৯ জিলহজ আরাফাতে অবস্থান, ১০ জিলহজ কোরবানি, এরপর ১১ ও ১২ জিলহজে জামারায় পাথর নিক্ষেপের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়।
এ বছর হজে অংশ নিচ্ছেন ১৪ লাখ ৭০ হাজারের বেশি আন্তর্জাতিক হাজি, যাঁদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন আরও কয়েক লাখ সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ হাজি।
মক্কা ও পবিত্র স্থানসমূহের রাজকীয় কমিশনের হজ ও ওমরাহ বিভাগের মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ আল-কারনি জানান, হাজিদের যাত্রা মক্কা থেকে মিনা পর্যন্ত নিরাপদ ও সুসংগঠিতভাবে সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ছিল মিনায় পৌঁছার নির্ধারিত সময়।
পরবর্তী ধাপে ৯ জিলহজ, বৃহস্পতিবার সকালে হাজিরা আরাফার ময়দানে যাবেন। সেদিন তিনটি পরিবহন ব্যবস্থায় প্রায় ১০ লাখ হাজি আরাফাতে পৌঁছাবেন—এর মধ্যে ৩ লাখ ১৬ হাজার হজযাত্রী মাশায়ির ট্রেনে, বাকিরা বহুমুখী ও ঐতিহ্যবাহী যানবাহনে।
মিনা অঞ্চলের ঐতিহাসিক আল-খায়ফ মসজিদ হাজিদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ২৭ হাজার বর্গমিটার জায়নামাজের ব্যবস্থা, উন্নত শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ, বায়ুচলাচল, কুলিং ইউনিট ও স্মার্ট নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাসহ। এতে হাজিদের জন্য আরও আরামদায়ক পরিবেশ নিশ্চিত হয়েছে।
চলতি বছর গরমের তীব্রতার আশঙ্কায় সৌদি সরকার হজ ব্যবস্থাপনায় অতিরিক্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। দেশটির স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী ড. আব্দুল্লাহ আসির জানান, “হজে এবার ৫০,০০০ স্বাস্থ্য ও প্রশাসনিক কর্মী নিয়োজিত রয়েছেন। তাপজনিত রোগের চিকিৎসায় ৭০০টির বেশি শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ৬০% বেশি।”
তিনি আরও জানান, হাজিদের মাঝে ছায়া, ঠাণ্ডা পানি ও জরুরি চিকিৎসা নিশ্চিত করতে মাঠ পর্যায়ে বাড়তি নজরদারি চলছে।