১২:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
‘জুলাই যোদ্ধা’ শনাক্তে গোয়েন্দা তদন্ত শুরু কুয়াকাটার হোটেলে ঝুলন্ত মরদেহ, স্বামী পরিচয়ে থাকা যুবকের খোঁজ নেই যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকা বৃদ্ধি: যোগ হচ্ছে ফিলিস্তিনসহ আরও ছয় দেশ ‘২৫ তারিখ ইনশা আল্লাহ দেশে ফিরছি’: তারেক রহমান হাদিকে গুলি: প্রধান আসামি ফয়সালের বাবা–মা গ্রেপ্তার, অস্ত্র উদ্ধার সেই মুসলিমকে ‘জাতীয় হিরো’ আখ্যা দিয়ে যা বললেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে সন্ধ্যায় ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা জনসমাগমের মধ্যে দক্ষিণখানে যুবলীগ নেতা খুন জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা গাজায় যুদ্ধবিরতি মানতে ইসরায়েলকে হোয়াইট হাউসের সতর্কবার্তা, নেতানিয়াহুকে সরাসরি বার্তা

নতুন প্রাণশক্তি যোগাচ্ছেন ড. খলিল, পররাষ্ট্রনীতিতে বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ: প্রেসসচিব

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৪৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫
  • / 76

ছবি সংগৃহীত

 

 

প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম এক ভোররাতের ফেসবুক স্ট্যাটাসে অন্তর্বর্তী সরকারের হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমানের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি লিখেছেন, “অল্প কয়েক মাসেই তিনি আমাদের পররাষ্ট্রনীতিতে এক নতুন প্রাণসঞ্চার করেছেন।”

বিজ্ঞাপন

ড. খলিল একজন শান্ত স্বভাবের, পরিশীলিত মানুষ। জাতিসংঘে শীর্ষ পদে কাজ করেছেন, এবং ছিলেন প্রথম বিসিএস ক্যাডার কূটনীতিকদের অন্যতম। যখন তিনি অন্তর্বর্তী সরকারে যোগ দিলেন, তখন তাঁর সম্পর্কে অনেকেই কম জানতেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন একজন দূরদর্শী কূটনীতিক হিসেবে।

শফিকুল আলম বলেন, ড. খলিলের সবচেয়ে প্রশংসনীয় উদ্যোগ ছিল জাতিসংঘ মহাসচিবকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইফতারে আমন্ত্রণ জানানো। এই উদ্যোগ প্রধান উপদেষ্টার প্রশংসা কুড়িয়েছে, এমনকি অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস তাঁকে একটি কৃতজ্ঞতাসূচক চিঠিও পাঠান।

চীন ও ব্যাংকক সফরে ড. খলিলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে শফিকুল বলেন, “শাংরি-লা হোটেলের ডিনারে যখন সবাই সুস্বাদু থাই খাবারে ব্যস্ত, তখন খলিল ভাই বাংলাদেশের কূটনীতির গুরুত্বপূর্ণ দুই ব্যক্তির সঙ্গে সময় কাটাচ্ছিলেন।” তিনি প্রথমে মিয়ানমারের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন। এরপর ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে এক ঘণ্টারও বেশি সময় নৈশভোজ করেন।

যদিও আলোচনা ছিল অনানুষ্ঠানিক, কিন্তু সেখান থেকেই অনেক জমাট ইস্যুতে অগ্রগতি হয়েছে, যার ইঙ্গিত ইতোমধ্যেই পাওয়া গেছে।

শফিকুল আরও বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারে অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে একটি দক্ষ কূটনৈতিক টিম কাজ করছে। ইউনূস সাহসী, স্পষ্টবাদী এবং বিদেশি বিনিয়োগ আনয়নে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন।” এই দলে তৌহিদ হোসেনের মতো অকপট চরিত্র ও ড. খলিলের অভিজ্ঞতা মিলে তৈরি হয়েছে এক বাস্তব, গতিশীল শক্তি।

বাংলাদেশের কূটনীতিতে এখন আর সাবেক সময়ের মতো কাঁচা ভাব নেই। কঠিন বিষয় এড়ানোর প্রবণতা থেকেও সরে আসা যাচ্ছে। বরং বর্তমান কূটনীতিকরা নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও সাহসিকতায় বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের অবস্থানকে সুদৃঢ় করছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

নতুন প্রাণশক্তি যোগাচ্ছেন ড. খলিল, পররাষ্ট্রনীতিতে বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ: প্রেসসচিব

আপডেট সময় ১১:৪৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫

 

 

প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম এক ভোররাতের ফেসবুক স্ট্যাটাসে অন্তর্বর্তী সরকারের হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমানের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি লিখেছেন, “অল্প কয়েক মাসেই তিনি আমাদের পররাষ্ট্রনীতিতে এক নতুন প্রাণসঞ্চার করেছেন।”

বিজ্ঞাপন

ড. খলিল একজন শান্ত স্বভাবের, পরিশীলিত মানুষ। জাতিসংঘে শীর্ষ পদে কাজ করেছেন, এবং ছিলেন প্রথম বিসিএস ক্যাডার কূটনীতিকদের অন্যতম। যখন তিনি অন্তর্বর্তী সরকারে যোগ দিলেন, তখন তাঁর সম্পর্কে অনেকেই কম জানতেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন একজন দূরদর্শী কূটনীতিক হিসেবে।

শফিকুল আলম বলেন, ড. খলিলের সবচেয়ে প্রশংসনীয় উদ্যোগ ছিল জাতিসংঘ মহাসচিবকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইফতারে আমন্ত্রণ জানানো। এই উদ্যোগ প্রধান উপদেষ্টার প্রশংসা কুড়িয়েছে, এমনকি অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস তাঁকে একটি কৃতজ্ঞতাসূচক চিঠিও পাঠান।

চীন ও ব্যাংকক সফরে ড. খলিলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে শফিকুল বলেন, “শাংরি-লা হোটেলের ডিনারে যখন সবাই সুস্বাদু থাই খাবারে ব্যস্ত, তখন খলিল ভাই বাংলাদেশের কূটনীতির গুরুত্বপূর্ণ দুই ব্যক্তির সঙ্গে সময় কাটাচ্ছিলেন।” তিনি প্রথমে মিয়ানমারের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন। এরপর ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে এক ঘণ্টারও বেশি সময় নৈশভোজ করেন।

যদিও আলোচনা ছিল অনানুষ্ঠানিক, কিন্তু সেখান থেকেই অনেক জমাট ইস্যুতে অগ্রগতি হয়েছে, যার ইঙ্গিত ইতোমধ্যেই পাওয়া গেছে।

শফিকুল আরও বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারে অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে একটি দক্ষ কূটনৈতিক টিম কাজ করছে। ইউনূস সাহসী, স্পষ্টবাদী এবং বিদেশি বিনিয়োগ আনয়নে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন।” এই দলে তৌহিদ হোসেনের মতো অকপট চরিত্র ও ড. খলিলের অভিজ্ঞতা মিলে তৈরি হয়েছে এক বাস্তব, গতিশীল শক্তি।

বাংলাদেশের কূটনীতিতে এখন আর সাবেক সময়ের মতো কাঁচা ভাব নেই। কঠিন বিষয় এড়ানোর প্রবণতা থেকেও সরে আসা যাচ্ছে। বরং বর্তমান কূটনীতিকরা নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও সাহসিকতায় বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের অবস্থানকে সুদৃঢ় করছেন।