ঢাকা ০৪:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :

ঐকমত্য কমিশনের কাছে বিএনপির প্রস্তাব: একাত্তরের সঙ্গে চব্বিশকে মিলিয়ে দেখা সঠিক নয়

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:১৬:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫
  • / 21

ছবি সংগৃহীত

 

 

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ সালের রাজনৈতিক অভ্যুত্থানকে এক সূত্রে গাঁথার প্রস্তাবকে “অযৌক্তিক ও অমার্জনীয়” বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি। শনিবার (২৩ মার্চ) দলের পক্ষ থেকে কমিশনের কাছে মতামত জমা দেওয়ার পর এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, “মুক্তিযুদ্ধ ছিল জাতীয় আত্মত্যাগ ও স্বাধীনতার রক্তস্নাত ইতিহাস, আর অভ্যুত্থান ছিল রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া দুটিকে এক কাতারে আনার প্রস্তাব জাতিকে বিভ্রান্ত করার নামান্তর।”

বিএনপি সংবিধানের মূলনীতি পরিবর্তনের বিরোধিতা করে জানায়, গণপ্রজাতন্ত্র শব্দটি বাদ দিয়ে ‘নাগরিকতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠার কোনো যৌক্তিকতা নেই। সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “দেশে গণতন্ত্রের চরম সংকট চলছে, এজন্যই সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তবে গণপরিষদ গঠনের প্রয়োজনীয়তা বিএনপি দেখছে না।”

বিচার বিভাগের সংস্কার সংক্রান্ত অধিকাংশ সুপারিশের সঙ্গে একমত বিএনপি, তবে তারা নির্বাচন কমিশনের ওপর সংসদীয় কমিটির নিয়ন্ত্রণ আরোপে আপত্তি জানিয়েছে।

এনআইডি ইস্যুতে বিএনপি স্পষ্ট করে বলেছে, নির্বাচন কমিশনের অধীনেই এটি থাকা উচিত। তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে এনআইডি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেয়া হলেও এখন পর্যন্ত সেই সিদ্ধান্ত বাতিল হয়নি। এটি কমিশনের এখতিয়ারেই থাকা উচিত।”

নির্বাচনী সীমানা নির্ধারণকে কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব হিসেবে উল্লেখ করে বিএনপি জানায়, নির্বাচন কমিশনের আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে সংশোধনের উদ্যোগ নির্বাচন ব্যবস্থায় জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।

প্রসঙ্গত, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ২০ মার্চ থেকে ৩৭টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে। সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন ও বিচার বিভাগের সংস্কারসহ ১৬৬টি সুপারিশ নিয়ে মতামত চাওয়া হয়েছে।

ইতোমধ্যে এলডিপি, খেলাফত মজলিস ও লেবার পার্টির মতামত জমা দিয়েছে। ২৩ মার্চ বিএনপি তাদের অবস্থান তুলে ধরে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ঐকমত্য কমিশনের কাছে বিএনপির প্রস্তাব: একাত্তরের সঙ্গে চব্বিশকে মিলিয়ে দেখা সঠিক নয়

আপডেট সময় ০৫:১৬:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

 

 

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ সালের রাজনৈতিক অভ্যুত্থানকে এক সূত্রে গাঁথার প্রস্তাবকে “অযৌক্তিক ও অমার্জনীয়” বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি। শনিবার (২৩ মার্চ) দলের পক্ষ থেকে কমিশনের কাছে মতামত জমা দেওয়ার পর এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, “মুক্তিযুদ্ধ ছিল জাতীয় আত্মত্যাগ ও স্বাধীনতার রক্তস্নাত ইতিহাস, আর অভ্যুত্থান ছিল রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া দুটিকে এক কাতারে আনার প্রস্তাব জাতিকে বিভ্রান্ত করার নামান্তর।”

বিএনপি সংবিধানের মূলনীতি পরিবর্তনের বিরোধিতা করে জানায়, গণপ্রজাতন্ত্র শব্দটি বাদ দিয়ে ‘নাগরিকতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠার কোনো যৌক্তিকতা নেই। সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “দেশে গণতন্ত্রের চরম সংকট চলছে, এজন্যই সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তবে গণপরিষদ গঠনের প্রয়োজনীয়তা বিএনপি দেখছে না।”

বিচার বিভাগের সংস্কার সংক্রান্ত অধিকাংশ সুপারিশের সঙ্গে একমত বিএনপি, তবে তারা নির্বাচন কমিশনের ওপর সংসদীয় কমিটির নিয়ন্ত্রণ আরোপে আপত্তি জানিয়েছে।

এনআইডি ইস্যুতে বিএনপি স্পষ্ট করে বলেছে, নির্বাচন কমিশনের অধীনেই এটি থাকা উচিত। তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে এনআইডি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেয়া হলেও এখন পর্যন্ত সেই সিদ্ধান্ত বাতিল হয়নি। এটি কমিশনের এখতিয়ারেই থাকা উচিত।”

নির্বাচনী সীমানা নির্ধারণকে কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব হিসেবে উল্লেখ করে বিএনপি জানায়, নির্বাচন কমিশনের আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে সংশোধনের উদ্যোগ নির্বাচন ব্যবস্থায় জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।

প্রসঙ্গত, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ২০ মার্চ থেকে ৩৭টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে। সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন ও বিচার বিভাগের সংস্কারসহ ১৬৬টি সুপারিশ নিয়ে মতামত চাওয়া হয়েছে।

ইতোমধ্যে এলডিপি, খেলাফত মজলিস ও লেবার পার্টির মতামত জমা দিয়েছে। ২৩ মার্চ বিএনপি তাদের অবস্থান তুলে ধরে।