ইলন মাস্ক ও ট্রাম্প: রাজনৈতিক ঝুঁকির মধ্যে টেসলার নতুন পরিস্থিতি

- আপডেট সময় ০৩:৪৫:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
- / ৫২৩ বার পড়া হয়েছে
রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে নানা দিক থেকে সমস্যায় পড়েছেন ইলন মাস্ক। সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্ক রুবিওর সঙ্গে তার তর্ক-বিতর্ক নতুন মাত্রা পেয়েছে। একই সঙ্গে টেসলার শেয়ার মূল্য কমতে শুরু করেছে এবং তার সম্পদও হ্রাস পাচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি টেসলা গাড়ি কিনেছেন, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত মূলত ইলন মাস্কের প্রতি তার সমর্থন জানানোর জন্য। তবে সেদিনই টেসলা একটি চিঠি পাঠিয়েছে, যেখানে তারা ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
বিবিসি রিপোর্ট অনুযায়ী, টেসলা জানায়, ট্রাম্পের বাণিজ্য শুল্ক আরোপের কারণে মার্কিন রপ্তানিকারকরা ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। বিশেষত, চীন, যা যুক্তরাষ্ট্রের পর টেসলার দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার, সেখানকার পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে, যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ টেসলার জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে।
এছাড়া, টেসলার শেয়ারমূল্যের পতনের পেছনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ উঠে এসেছে। কোম্পানির উৎপাদন লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থতা এবং গত বছর বিক্রি কমে যাওয়ার উদ্বেগ রয়েছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায়, টেসলা স্থানীয় সরবরাহকারীদের খুঁজে বের করার উদ্যোগ নিয়েছে, যাতে বিদেশি বাজারের ওপর নির্ভরশীলতা কমানো যায়।
যদিও ইলন মাস্ক ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত, তবে বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাব তার উপরও পড়ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাণিজ্যযুদ্ধের ফলে দুই দেশের মধ্যে ক্ষতির সমান ভাগ হবে, এবং মাস্ককে এই পরিণতি থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন।
ট্রাম্প তার শপথ নেওয়ার পর মাস্ককে সরকারের নতুন বিভাগ ডিওজিই’র প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেন, যা সরকারি ব্যয় কমানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। তার সমর্থন জানাতে, ট্রাম্প টেসলা গাড়ি কেনেন, এবং মাস্ককে “মহান আমেরিকান” বলে প্রশংসা করেন। তবে, টেসলার চিঠি সম্পর্কে ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া কী, তা স্পষ্ট নয়।