ঢাকা ১১:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নির্বাচন হবে আগামী বছরের শুরুতে : মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রধান উপদেষ্টা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ শত্রু রাষ্ট্রকে সহযোগিতায় মৃত্যুদণ্ডের বিধান করলো ইরান গা/জা/য় ক্যাফে, স্কুল ও হাসপাতালে ভয়াবহ ইসরায়েলি হামলা, নিহত অন্তত ৯৫ সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১০ হাজার ছাড়াল, ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৪২৯ জন জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নে সরকারের অগ্রগতি নেই: অভিযোগ নাহিদ ইসলামের পাকিস্তানকে ৩৪০ কোটি ডলারের বাণিজ্যিক ঋণ নবায়ন দিল চীন প্রেমিকার বিয়ের খবর শুনে কিশোরের ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা পদ্মা নদীতে ভয়াবহ ভাঙন: কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস ফিরিয়ে আনতে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে একটি মহল: ছাত্রশিবির সভাপতি

মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পদমর্যাদা নিয়ে রিভিউ শুনানি ৬ মার্চ, নতুন সময় চেয়ে আবেদন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:০১:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 48

ছবি: সংগৃহীত

 

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রম নিয়ে রিভিউ শুনানি বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, তবে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের আইনজীবী আদালতের কাছে দুই সপ্তাহ সময় আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে, প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমদের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে শুনানি স্থগিত করা হয়।

এদিকে, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলরা তাদের পদমর্যাদা বাড়ানোর আবেদন করেছেন, যা একই দিনে ৬ মার্চে শুনানির জন্য ধার্য করা হয়েছে।

বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন রিভিউ আবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার নিহাদ কবির। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী আহসানুল করিম ও ব্যারিস্টার এম. আবদুল কাইয়ূম।

১৯৮৬ সালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ তৈরি করা হয় এবং রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পেয়ে তা জারি হয়। পরবর্তীতে, বিভিন্ন সময়ে এটি সংশোধিত হয়। তবে, বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব মো. আতাউর রহমান এই প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৬ সালে হাইকোর্টে রিট করেন।

২০১০ সালে হাইকোর্টে এই বিষয়ে রায় দেওয়া হলে ১৯৮৬ সালের সংশোধিত ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ অবৈধ ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় সংশোধন করে তিনটি নতুন নির্দেশনা দেয়। সেগুলো হলো-

১. যেহেতু সংবিধান দেশের সর্বোচ্চ আইন, তাই বিরোধপূর্ণ প্রিসিডেন্সে সাংবিধানিক পদধারীরা অগ্রাধিকার পাবেন।
২. জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্য হিসেবে জেলা জজ ও সমপদমর্যাদাসম্পন্নরা সরকারের সচিবদের সঙ্গে ১৬ নম্বরে অবস্থান করবেন।
৩. জেলা জজদের পরেই অতিরিক্ত সচিবেরা ১৭ নম্বর ক্রমিকে থাকবেন।

এসব নির্দেশনায় সংবিধানিক পদধারীদের অগ্রাধিকার এবং জেলা জজ ও অতিরিক্ত সচিবদের নতুন পদমর্যাদা নির্ধারণ করা হয়। এই শুনানি এবং রায় দেশের প্রশাসনিক কাঠামোয় নতুন দিক নির্দেশনা দিতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পদমর্যাদা নিয়ে রিভিউ শুনানি ৬ মার্চ, নতুন সময় চেয়ে আবেদন

আপডেট সময় ০২:০১:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রম নিয়ে রিভিউ শুনানি বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, তবে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের আইনজীবী আদালতের কাছে দুই সপ্তাহ সময় আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে, প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমদের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে শুনানি স্থগিত করা হয়।

এদিকে, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলরা তাদের পদমর্যাদা বাড়ানোর আবেদন করেছেন, যা একই দিনে ৬ মার্চে শুনানির জন্য ধার্য করা হয়েছে।

বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন রিভিউ আবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার নিহাদ কবির। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী আহসানুল করিম ও ব্যারিস্টার এম. আবদুল কাইয়ূম।

১৯৮৬ সালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ তৈরি করা হয় এবং রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পেয়ে তা জারি হয়। পরবর্তীতে, বিভিন্ন সময়ে এটি সংশোধিত হয়। তবে, বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব মো. আতাউর রহমান এই প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৬ সালে হাইকোর্টে রিট করেন।

২০১০ সালে হাইকোর্টে এই বিষয়ে রায় দেওয়া হলে ১৯৮৬ সালের সংশোধিত ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ অবৈধ ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় সংশোধন করে তিনটি নতুন নির্দেশনা দেয়। সেগুলো হলো-

১. যেহেতু সংবিধান দেশের সর্বোচ্চ আইন, তাই বিরোধপূর্ণ প্রিসিডেন্সে সাংবিধানিক পদধারীরা অগ্রাধিকার পাবেন।
২. জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্য হিসেবে জেলা জজ ও সমপদমর্যাদাসম্পন্নরা সরকারের সচিবদের সঙ্গে ১৬ নম্বরে অবস্থান করবেন।
৩. জেলা জজদের পরেই অতিরিক্ত সচিবেরা ১৭ নম্বর ক্রমিকে থাকবেন।

এসব নির্দেশনায় সংবিধানিক পদধারীদের অগ্রাধিকার এবং জেলা জজ ও অতিরিক্ত সচিবদের নতুন পদমর্যাদা নির্ধারণ করা হয়। এই শুনানি এবং রায় দেশের প্রশাসনিক কাঠামোয় নতুন দিক নির্দেশনা দিতে পারে।