ঢাকা ০২:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
এআই চ্যাটবট নিয়ে গুরুতর তথ্য ফাঁস স্বীকার করল মেটা নবীগঞ্জে ৩০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদককারবারি আটক সংগ্রাম-শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় ৮১ বছরে খালেদা জিয়া রাশিয়ার সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় ড্রোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলছে লিথুয়ানিয়া এআই–ভিত্তিক হার্ডওয়্যারে বড় উদ্যোগ নিচ্ছে অ্যাপল জেরুজালেমকে চিরতরে ছিনিয়ে নিতে ই-ওয়ান বসতি প্রকল্প পুনরুজ্জীবনের ঘোষণা ইসরাইলি অর্থমন্ত্রীর ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলল ইউরোপ সিরিয়ার পুনর্গঠনে ইদলিব হবে কেন্দ্রবিন্দু: প্রেসিডেন্ট শারআ নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন

মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পদমর্যাদা নিয়ে রিভিউ শুনানি ৬ মার্চ, নতুন সময় চেয়ে আবেদন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:০১:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 53

ছবি: সংগৃহীত

 

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রম নিয়ে রিভিউ শুনানি বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, তবে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের আইনজীবী আদালতের কাছে দুই সপ্তাহ সময় আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে, প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমদের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে শুনানি স্থগিত করা হয়।

এদিকে, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলরা তাদের পদমর্যাদা বাড়ানোর আবেদন করেছেন, যা একই দিনে ৬ মার্চে শুনানির জন্য ধার্য করা হয়েছে।

বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন রিভিউ আবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার নিহাদ কবির। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী আহসানুল করিম ও ব্যারিস্টার এম. আবদুল কাইয়ূম।

১৯৮৬ সালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ তৈরি করা হয় এবং রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পেয়ে তা জারি হয়। পরবর্তীতে, বিভিন্ন সময়ে এটি সংশোধিত হয়। তবে, বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব মো. আতাউর রহমান এই প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৬ সালে হাইকোর্টে রিট করেন।

২০১০ সালে হাইকোর্টে এই বিষয়ে রায় দেওয়া হলে ১৯৮৬ সালের সংশোধিত ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ অবৈধ ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় সংশোধন করে তিনটি নতুন নির্দেশনা দেয়। সেগুলো হলো-

১. যেহেতু সংবিধান দেশের সর্বোচ্চ আইন, তাই বিরোধপূর্ণ প্রিসিডেন্সে সাংবিধানিক পদধারীরা অগ্রাধিকার পাবেন।
২. জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্য হিসেবে জেলা জজ ও সমপদমর্যাদাসম্পন্নরা সরকারের সচিবদের সঙ্গে ১৬ নম্বরে অবস্থান করবেন।
৩. জেলা জজদের পরেই অতিরিক্ত সচিবেরা ১৭ নম্বর ক্রমিকে থাকবেন।

এসব নির্দেশনায় সংবিধানিক পদধারীদের অগ্রাধিকার এবং জেলা জজ ও অতিরিক্ত সচিবদের নতুন পদমর্যাদা নির্ধারণ করা হয়। এই শুনানি এবং রায় দেশের প্রশাসনিক কাঠামোয় নতুন দিক নির্দেশনা দিতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পদমর্যাদা নিয়ে রিভিউ শুনানি ৬ মার্চ, নতুন সময় চেয়ে আবেদন

আপডেট সময় ০২:০১:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রম নিয়ে রিভিউ শুনানি বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, তবে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের আইনজীবী আদালতের কাছে দুই সপ্তাহ সময় আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে, প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমদের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে শুনানি স্থগিত করা হয়।

এদিকে, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলরা তাদের পদমর্যাদা বাড়ানোর আবেদন করেছেন, যা একই দিনে ৬ মার্চে শুনানির জন্য ধার্য করা হয়েছে।

বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন রিভিউ আবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার নিহাদ কবির। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী আহসানুল করিম ও ব্যারিস্টার এম. আবদুল কাইয়ূম।

১৯৮৬ সালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ তৈরি করা হয় এবং রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পেয়ে তা জারি হয়। পরবর্তীতে, বিভিন্ন সময়ে এটি সংশোধিত হয়। তবে, বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব মো. আতাউর রহমান এই প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৬ সালে হাইকোর্টে রিট করেন।

২০১০ সালে হাইকোর্টে এই বিষয়ে রায় দেওয়া হলে ১৯৮৬ সালের সংশোধিত ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ অবৈধ ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় সংশোধন করে তিনটি নতুন নির্দেশনা দেয়। সেগুলো হলো-

১. যেহেতু সংবিধান দেশের সর্বোচ্চ আইন, তাই বিরোধপূর্ণ প্রিসিডেন্সে সাংবিধানিক পদধারীরা অগ্রাধিকার পাবেন।
২. জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্য হিসেবে জেলা জজ ও সমপদমর্যাদাসম্পন্নরা সরকারের সচিবদের সঙ্গে ১৬ নম্বরে অবস্থান করবেন।
৩. জেলা জজদের পরেই অতিরিক্ত সচিবেরা ১৭ নম্বর ক্রমিকে থাকবেন।

এসব নির্দেশনায় সংবিধানিক পদধারীদের অগ্রাধিকার এবং জেলা জজ ও অতিরিক্ত সচিবদের নতুন পদমর্যাদা নির্ধারণ করা হয়। এই শুনানি এবং রায় দেশের প্রশাসনিক কাঠামোয় নতুন দিক নির্দেশনা দিতে পারে।