ঢাকা ১২:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ইরানের সামরিক শক্তি প্রদর্শনে শুরু হচ্ছে বৃহৎ মহড়া তাসমান সাগরে চীনের সামরিক মহড়া, উড়োজাহাজের রুট পরিবর্তন ক্রিপ্টো দুনিয়ার সবচেয়ে বড় হ্যাক: Bybit থেকে উধাও ১.৪৬ বিলিয়ন ডলার! রংপুরে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি, সড়ক অবরোধ পেরুর শপিং সেন্টারে ফুড কোর্টের ছাদ ধসে নিহত ৩, আহত ৭৪ সুনামগঞ্জে শিরনি নিয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের সংঘর্ষ, ৩০ জন আহত পরিবেশ রক্ষাই আমাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে: পরিবেশ উপদেষ্টা সুযোগ পেলে রাষ্ট্র পুনর্গঠনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবে বিএনপি: তারেক রহমান তেঁতুল কাঠের ঘানি ভাঙ্গা খাঁটি সরিষার তেলের পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও চেনার উপায় ডিপিএলে ২০২৫ মৌসুমে নাম তুললেন সাকিব, তবে কি দেশে ফেরার ইঙ্গিত?

দেশ গঠনে সবার ঐক্য দরকার: মির্জা ফখরুল

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশ গঠনে সবাইকে আরও আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশকে নতুন করে গড়তে হলে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য দেশ গড়তে আমাদের একযোগে কাজ করতে হবে।”

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহকে মরণোত্তর একুশে পদক প্রদান উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

সাংবাদিকদের ভূমিকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “আজকাল কিছু সাংবাদিক ব্যক্তিগত স্বার্থে আপস করেন, তবে সবাই তা করেন না। মাহফুজ উল্লাহ ছিলেন ব্যতিক্রম। তিনি কখনো কোনো সুবিধাবাদী রাজনীতির অংশ হননি। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তার ভূমিকা অনস্বীকার্য।”

তিনি আরও বলেন, “২০১৪ সালের নির্বাচন-পরবর্তী সময় এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে মাহফুজ উল্লাহ বিভিন্ন রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করতে নিরলস পরিশ্রম করেছেন। তিনি ছিলেন প্রকৃত গণতন্ত্রপ্রেমী।”

রাজনীতির পরিবর্তন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “একসময় আমরা বিপ্লবের নামে শ্রেণিশত্রু খতমের স্লোগান দিয়েছি। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন এসেছে। এখন আমরা সবাইকে নিয়েই কাজ করতে চাই।”

দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান হয়েছে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। এটি সম্ভব হয়েছে ছাত্র-জনতার সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলে।”

তিনি তরুণদের উদ্দেশ্যে বলেন, “নবীন প্রজন্ম দেশকে নতুনভাবে গড়তে চায়। তাদের মধ্যে যে চেতনা রয়েছে, সেটাই আমাদের ভবিষ্যতের পথ দেখাবে। মাহফুজ উল্লাহর মতো গুণীজনদের অবদান ভুলে গেলে চলবে না। তাদের দেখানো পথেই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।”

সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহকে একুশে পদকে ভূষিত করায় সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “এটি যথার্থ সম্মাননা। তিনি শুধু সাংবাদিকই ছিলেন না, বরং তিনি ছিলেন এক অসাধারণ মেধাবী ও দেশপ্রেমিক ব্যক্তি।”

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ, মাহফুজ উল্লাহর ভাই মাহবুব উল্লাহ, সাংবাদিক গোলাম মর্তুজা, চিত্রশিল্পী রোকেয়া সুলতানা ও দৃকের প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল আলম প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৩:০৫:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৫০৩ বার পড়া হয়েছে

দেশ গঠনে সবার ঐক্য দরকার: মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় ০৩:০৫:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশ গঠনে সবাইকে আরও আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশকে নতুন করে গড়তে হলে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য দেশ গড়তে আমাদের একযোগে কাজ করতে হবে।”

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহকে মরণোত্তর একুশে পদক প্রদান উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

সাংবাদিকদের ভূমিকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “আজকাল কিছু সাংবাদিক ব্যক্তিগত স্বার্থে আপস করেন, তবে সবাই তা করেন না। মাহফুজ উল্লাহ ছিলেন ব্যতিক্রম। তিনি কখনো কোনো সুবিধাবাদী রাজনীতির অংশ হননি। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তার ভূমিকা অনস্বীকার্য।”

তিনি আরও বলেন, “২০১৪ সালের নির্বাচন-পরবর্তী সময় এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে মাহফুজ উল্লাহ বিভিন্ন রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করতে নিরলস পরিশ্রম করেছেন। তিনি ছিলেন প্রকৃত গণতন্ত্রপ্রেমী।”

রাজনীতির পরিবর্তন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “একসময় আমরা বিপ্লবের নামে শ্রেণিশত্রু খতমের স্লোগান দিয়েছি। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন এসেছে। এখন আমরা সবাইকে নিয়েই কাজ করতে চাই।”

দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান হয়েছে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। এটি সম্ভব হয়েছে ছাত্র-জনতার সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলে।”

তিনি তরুণদের উদ্দেশ্যে বলেন, “নবীন প্রজন্ম দেশকে নতুনভাবে গড়তে চায়। তাদের মধ্যে যে চেতনা রয়েছে, সেটাই আমাদের ভবিষ্যতের পথ দেখাবে। মাহফুজ উল্লাহর মতো গুণীজনদের অবদান ভুলে গেলে চলবে না। তাদের দেখানো পথেই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।”

সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহকে একুশে পদকে ভূষিত করায় সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “এটি যথার্থ সম্মাননা। তিনি শুধু সাংবাদিকই ছিলেন না, বরং তিনি ছিলেন এক অসাধারণ মেধাবী ও দেশপ্রেমিক ব্যক্তি।”

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ, মাহফুজ উল্লাহর ভাই মাহবুব উল্লাহ, সাংবাদিক গোলাম মর্তুজা, চিত্রশিল্পী রোকেয়া সুলতানা ও দৃকের প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল আলম প্রমুখ।