ঢাকা ০৫:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গোপালগঞ্জে সহিংসতার ঘটনায় জড়িত কেউ ছাড় পাবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দীর্ঘ এক দশক পর চালু হলো ইরাকের মসুল বিমানবন্দর ইরাকের শপিং মলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত বেড়ে ৬১, নিখোঁজ ও আহত বহু রংপুরে চেকপোস্টে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে বাসের ধাক্কা, নিহত ২ পীরগাছায় বজ্রাঘাতে শিশুর মৃত্যু, আহত আরও ৩ জন মালয়েশিয়ায় ইমিগ্রেশন অভিযানে বাংলাদেশিসহ আটক ৩৫ অভিবাসী কর্মী ইন্টারনেট গতিতে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়ল জাপান: সেকেন্ডে স্থানান্তর ১২৫ পেটাবাইট ডেটা জাতীয় নির্বাচন পেছাতে ভেতরে ভেতরে গভীর চক্রান্ত চলছে: রিজভী সিরিয়ায় পাঁচ দিন ধরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৩৫০ গোপালগঞ্জে সহিংসতার ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি

কারফিউর ভেতর থমথমে গোপালগঞ্জ, সড়কে এখনও পড়ে আছে সহিংসতার চিহ্ন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৯:৫৭:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
  • / 13

ছবি: সংগৃহীত

 

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা কেন্দ্র করে গতকাল বুধবার সারাদিন ধরে সংঘটিত হামলা, সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পর রাত থেকে জারি রয়েছে কারফিউ। আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠার রাত পেরিয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালেও শহরে বিরাজ করছে থমথমে পরিবেশ।

কারফিউ চলমান থাকলেও সকাল থেকেই সড়কে দেখা গেছে কিছু মানুষের উপস্থিতি। প্রয়োজনীয় কাজে বের হওয়া এই মানুষরা কম সংখ্যায় হলেও নিজ নিজ গন্তব্যে রওনা দিচ্ছেন। তবে সকাল ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তেমন উপস্থিতি দেখা যায়নি।

গতকাল বুধবার এনসিপির ‘জুলাই পদযাত্রা’কে ঘিরে শহরের বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, এসব হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন চারজন, আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন, যাদের মধ্যে ৯ জন গুলিবিদ্ধ।

আজ সকালেও শহরের বিভিন্ন সড়কে পড়ে থাকতে দেখা গেছে ইটপাটকেল, বাঁশ ও গাছের ডালপালা। কোথাও কোথাও রাস্তার পাশে থাকা গাছ কেটে ফেলে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। অনেক স্থানে তোরণ ভেঙে পড়ে থাকায় প্রধান সড়কগুলো আংশিকভাবে বন্ধ রয়েছে।

সকাল ৭টায় ঘোনাপাড়া মোড়ের গোপালগঞ্জ চক্ষু হাসপাতালের সামনে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে একটি রেইনট্রি গাছ কেটে সরাতে দেখা যায় এক নারীকে। তার নাম রোজিনা বেগম। তিনি জানান, সকালে হাঁটতে বের হয়ে রাস্তায় গাছটি পড়ে থাকতে দেখেন। রাতের কোনো এক সময় এটি ফেলে রাখা হয়েছে বলে ধারণা করেন তিনি।

বাস, মাহিন্দ্রা ও ইজিবাইক চললেও স্থানীয় বাস চলাচল এখনো বন্ধ। পরিবহন শ্রমিক আজগার আলী শেখ জানান, কারফিউ থাকায় রাস্তায় যাত্রী নেই, তাই গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট, গোপালগঞ্জ-ব্যাশপুর এবং গোপালগঞ্জ-কোটালীপাড়া-পয়সারহাট রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে ঢাকাগামী দূরপাল্লার যানবাহন চলছে স্বাভাবিকভাবে।

সকাল ৮টা পর্যন্ত শহরের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ ছিল। তবে কিছু চায়ের দোকান ও হোটেল খোলা থাকায় সেখানে মানুষের জটলা দেখা যায়। কাঁচা বাজার এলাকাতেও কিছু দোকানে বেচাকেনা চলছে। শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে তেমন কোনো পুলিশি টহল না থাকলেও পৌরসভার সামনে কয়েকজন গ্রাম–পুলিশ ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী অবস্থান করতে দেখা গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

কারফিউর ভেতর থমথমে গোপালগঞ্জ, সড়কে এখনও পড়ে আছে সহিংসতার চিহ্ন

আপডেট সময় ০৯:৫৭:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

 

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা কেন্দ্র করে গতকাল বুধবার সারাদিন ধরে সংঘটিত হামলা, সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পর রাত থেকে জারি রয়েছে কারফিউ। আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠার রাত পেরিয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালেও শহরে বিরাজ করছে থমথমে পরিবেশ।

কারফিউ চলমান থাকলেও সকাল থেকেই সড়কে দেখা গেছে কিছু মানুষের উপস্থিতি। প্রয়োজনীয় কাজে বের হওয়া এই মানুষরা কম সংখ্যায় হলেও নিজ নিজ গন্তব্যে রওনা দিচ্ছেন। তবে সকাল ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তেমন উপস্থিতি দেখা যায়নি।

গতকাল বুধবার এনসিপির ‘জুলাই পদযাত্রা’কে ঘিরে শহরের বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, এসব হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন চারজন, আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন, যাদের মধ্যে ৯ জন গুলিবিদ্ধ।

আজ সকালেও শহরের বিভিন্ন সড়কে পড়ে থাকতে দেখা গেছে ইটপাটকেল, বাঁশ ও গাছের ডালপালা। কোথাও কোথাও রাস্তার পাশে থাকা গাছ কেটে ফেলে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। অনেক স্থানে তোরণ ভেঙে পড়ে থাকায় প্রধান সড়কগুলো আংশিকভাবে বন্ধ রয়েছে।

সকাল ৭টায় ঘোনাপাড়া মোড়ের গোপালগঞ্জ চক্ষু হাসপাতালের সামনে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে একটি রেইনট্রি গাছ কেটে সরাতে দেখা যায় এক নারীকে। তার নাম রোজিনা বেগম। তিনি জানান, সকালে হাঁটতে বের হয়ে রাস্তায় গাছটি পড়ে থাকতে দেখেন। রাতের কোনো এক সময় এটি ফেলে রাখা হয়েছে বলে ধারণা করেন তিনি।

বাস, মাহিন্দ্রা ও ইজিবাইক চললেও স্থানীয় বাস চলাচল এখনো বন্ধ। পরিবহন শ্রমিক আজগার আলী শেখ জানান, কারফিউ থাকায় রাস্তায় যাত্রী নেই, তাই গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট, গোপালগঞ্জ-ব্যাশপুর এবং গোপালগঞ্জ-কোটালীপাড়া-পয়সারহাট রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে ঢাকাগামী দূরপাল্লার যানবাহন চলছে স্বাভাবিকভাবে।

সকাল ৮টা পর্যন্ত শহরের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ ছিল। তবে কিছু চায়ের দোকান ও হোটেল খোলা থাকায় সেখানে মানুষের জটলা দেখা যায়। কাঁচা বাজার এলাকাতেও কিছু দোকানে বেচাকেনা চলছে। শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে তেমন কোনো পুলিশি টহল না থাকলেও পৌরসভার সামনে কয়েকজন গ্রাম–পুলিশ ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী অবস্থান করতে দেখা গেছে।