ঢাকা ১১:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শতাব্দীর আতঙ্ক ‘নর’ইস্টার’ ঝড় নিয়ে প্রকাশিত হলো চাঞ্চল্যকর সব সত্য ভালুকায় গৃহবধূ ও দুই সন্তান হত্যা: প্রধান আসামি দেবর নজরুল গ্রেপ্তার উদ্ভিদের গোপন শব্দে সাড়া দেয় পতঙ্গ ও প্রাণীরা: গবেষণায় উদ্ভিদের ভাষার রহস্য উদঘাটন বাংলাদেশের জাহাজ ও বন্দর খাতে বিনিয়োগে সিঙ্গাপুরকে আহ্বান: নৌ উপদেষ্টা শামীম ওসমান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা, সন্তানদের সম্পদ বিবরণীর নোটিশ সংখ্যাগরিষ্ঠ দল ও জোট দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ প্রতিষ্ঠায় একমত হয়েছে: আলী রীয়াজ অপরাধী যেন কেউ ছাড়া না পায়, কঠোরভাবে দমন করতে হবে: ডিএমপি কমিশনার জনগণের সেন্টিমেন্ট বুঝে আগামী রমজানের আগেই নির্বাচন দিন: কুড়িগ্রামে রিজভী মাদরাসা আমাদের ঐতিহ্যের ধারক, এটিকে টিকিয়ে রাখতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস কখনো ‘জাতীয় সংস্কারক’ উপাধির স্বীকৃতি চান নি: প্রেস উইং

দেশে স্থিতিশীলতা আশায় আমরা দ্রুতই নির্বাচনমুখী হচ্ছি: প্রেস সচিব

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৪৫:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
  • / 13

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশ খুব দ্রুতই নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। নিউজ টোয়েন্টিফোরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসছে এবং আমরা দ্রুতই নির্বাচনমুখী হচ্ছি।”

তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন ইতোমধ্যেই ভালো গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। শফিকুল আলম বলেন, “অনেকে ভাবেন দুই-তিনটি বৈঠক করলেই রিফর্ম শেষ, কিন্তু বাস্তবে তা নয়। অন্য দেশের উদাহরণ দেখলেও বোঝা যায়, পলিটিক্যাল রিফর্ম সময়সাপেক্ষ। নেপালে একটি সংবিধান পাস করতে লেগেছে সাড়ে আট বছর। কারণ এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত বিতর্ক প্রয়োজন হয়। আমাদের কিছু রিফর্ম ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে, কিছু চলমান এবং কিছু সামনে সম্পন্ন হবে।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হলো, আগামী বছরের শুরুতে যে নির্বাচন হবে, তাতে একটি গণতান্ত্রিক সরকার যেন দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারে। সেই সরকার যেন একটি উন্নততর বাংলাদেশ পায় এটাই আমাদের মূল চেষ্টা।”

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, “যদি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উন্নত হতো, তা হলে সকলের জন্য ভালো হতো। এখন কোনো অপরাধ ঘটলে দ্রুতই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে এবং বিচারিক প্রক্রিয়ার আওতায় আনা হচ্ছে। তবে এই ধরনের অপরাধ প্রতিরোধ করাটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।”

তিনি জানান, “আমরা একটি গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী দেশে আছি। সব রাজনৈতিক দলের সম্মিলিত সমর্থনে আমরা দায়িত্ব পালন করছি। সেই সমর্থন যত দৃঢ় হয়, আমাদের কাজ করাও তত সহজ হয়।”

পুলিশ প্রশাসনের আত্মবিশ্বাস প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, “পুলিশের আত্মবিশ্বাস একসময় প্রায় শূন্যে নেমে এসেছিল। আমরা তা পুনরুদ্ধারে কাজ করছি। ঢাকায় আগে ৩৫ হাজার পুলিশ সদস্য ছিল, যার মধ্যে ৩২ হাজারকে দেশের অন্যান্য জেলায় পাঠানো হয়েছে। তাদের জায়গায় বাহির থেকে সদস্য আনা হয়েছে।”

তিনি আরও জানান, “শেখ হাসিনার সময়েই ১ লাখ ২০ হাজার নতুন পুলিশ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যাদের অনেকেই ছাত্রলীগের পটভূমি থেকে এসেছেন। ইচ্ছা করলেই সব কিছু করা যায় না, তবে আমাদের সদিচ্ছা রয়েছে এবং আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায়।”

 

নিউজটি শেয়ার করুন

দেশে স্থিতিশীলতা আশায় আমরা দ্রুতই নির্বাচনমুখী হচ্ছি: প্রেস সচিব

আপডেট সময় ০৩:৪৫:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

 

বাংলাদেশ খুব দ্রুতই নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। নিউজ টোয়েন্টিফোরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসছে এবং আমরা দ্রুতই নির্বাচনমুখী হচ্ছি।”

তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন ইতোমধ্যেই ভালো গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। শফিকুল আলম বলেন, “অনেকে ভাবেন দুই-তিনটি বৈঠক করলেই রিফর্ম শেষ, কিন্তু বাস্তবে তা নয়। অন্য দেশের উদাহরণ দেখলেও বোঝা যায়, পলিটিক্যাল রিফর্ম সময়সাপেক্ষ। নেপালে একটি সংবিধান পাস করতে লেগেছে সাড়ে আট বছর। কারণ এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত বিতর্ক প্রয়োজন হয়। আমাদের কিছু রিফর্ম ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে, কিছু চলমান এবং কিছু সামনে সম্পন্ন হবে।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হলো, আগামী বছরের শুরুতে যে নির্বাচন হবে, তাতে একটি গণতান্ত্রিক সরকার যেন দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারে। সেই সরকার যেন একটি উন্নততর বাংলাদেশ পায় এটাই আমাদের মূল চেষ্টা।”

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, “যদি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উন্নত হতো, তা হলে সকলের জন্য ভালো হতো। এখন কোনো অপরাধ ঘটলে দ্রুতই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে এবং বিচারিক প্রক্রিয়ার আওতায় আনা হচ্ছে। তবে এই ধরনের অপরাধ প্রতিরোধ করাটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।”

তিনি জানান, “আমরা একটি গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী দেশে আছি। সব রাজনৈতিক দলের সম্মিলিত সমর্থনে আমরা দায়িত্ব পালন করছি। সেই সমর্থন যত দৃঢ় হয়, আমাদের কাজ করাও তত সহজ হয়।”

পুলিশ প্রশাসনের আত্মবিশ্বাস প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, “পুলিশের আত্মবিশ্বাস একসময় প্রায় শূন্যে নেমে এসেছিল। আমরা তা পুনরুদ্ধারে কাজ করছি। ঢাকায় আগে ৩৫ হাজার পুলিশ সদস্য ছিল, যার মধ্যে ৩২ হাজারকে দেশের অন্যান্য জেলায় পাঠানো হয়েছে। তাদের জায়গায় বাহির থেকে সদস্য আনা হয়েছে।”

তিনি আরও জানান, “শেখ হাসিনার সময়েই ১ লাখ ২০ হাজার নতুন পুলিশ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যাদের অনেকেই ছাত্রলীগের পটভূমি থেকে এসেছেন। ইচ্ছা করলেই সব কিছু করা যায় না, তবে আমাদের সদিচ্ছা রয়েছে এবং আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায়।”