০৭:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

ড. ইউনূস ও তারেকের বৈঠক নিয়ে আশাবাদী মাসুদ কামাল: ‘দেরিতে হলেও ইতিবাচক!’

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৩৭:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫
  • / 61

ছবি: সংগৃহীত

 

সাংবাদিক ও বিশ্লেষক মাসুদ কামাল বলেছেন, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ড. ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সম্ভাব্য আলোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তা আরও আগে হওয়া উচিত ছিল। যদিও বিলম্বে হলেও আলোচনার উদ্যোগ ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেন তিনি। সম্প্রতি ‘কথা’ ইউটিউব চ্যানেলে এসব কথা বলেন মাসুদ কামাল।

তিনি বলেন, “দেশের শীর্ষ রাজনীতিকদের মধ্যে সংলাপ সবসময়ই রাষ্ট্রের জন্য স্বাস্থ্যকর। আমার যতদূর মনে পড়ে, সম্ভবত এই প্রথমবার সরাসরি ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের সাক্ষাৎ হতে যাচ্ছে। এর আগে তাদের মুখোমুখি বৈঠকের কোনো নজির আমার জানা নেই।”

বিজ্ঞাপন

মাসুদ কামালের মতে, দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা বিবেচনায় আগামীতে বিএনপি সরকারে আসার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। “সেই ক্ষেত্রে তারেক রহমান হতে পারেন দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। আর সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেশের প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ।”

তিনি আরও বলেন, “এখন মূল প্রশ্ন হচ্ছে এই আলোচনায় কী বিষয়ে কথা হবে? কে কী চাইবেন? ড. ইউনূস কী প্রস্তাব দেবেন? তারেক রহমান কী প্রত্যাশা করবেন? এবং সবচেয়ে বড় কথা, তারা কি একমত হতে পারবেন? সাধারণ মানুষ হিসেবে আমরা তো এখনো বুঝে উঠতে পারছি না, তারা আদৌ একই রাজনৈতিক অবস্থানে আছেন কি না।”

তিনি ধারণা প্রকাশ করেন, মূলত নির্বাচন ও তারিখ ঘিরেই এই আলোচনার কেন্দ্রীয় বিষয়বস্তু হবে। কারণ, বর্তমান পরিস্থিতিতে এই নির্বাচন ঘিরেই সব বিরোধের সূত্রপাত। এ প্রসঙ্গে মাসুদ কামাল বলেন, “ড. ইউনূস যখন তারেক রহমানের সঙ্গে আলোচনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, তখন এটা প্রমাণ হয় যে তিনি সংলাপে আগ্রহী। তবে প্রশ্ন থেকে যায় এই আলোচনার উদ্যোগ তিনি আগে নেননি কেন?”

তিনি বলেন, “৬ তারিখে একতরফাভাবে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা না করে যদি তিনি বলতেন যে তারেক রহমানের সঙ্গে আলোচনা করে তারপর তারিখ ঠিক করব তাহলে হয়তো পরিস্থিতির ভিন্ন চিত্র দেখা যেত। এটা বলা যায় না যে এ সিদ্ধান্ত বিতর্কিত হয়নি।”

মাসুদ কামাল বলেন, “এর আগে ২৮টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৫টি দল ড. ইউনূসকে অনুরোধ করেছিল নির্বাচন ডিসেম্বর বা তারও আগে করার জন্য। অথচ তিনি হঠাৎ করে এপ্রিল বলে দিলেন যা আমরা এর আগে শুধু জামায়াতে ইসলামীকেই বলতে শুনেছি। তাহলে কি ধরে নিতে হবে তিনি জামায়াতের পক্ষকেই গুরুত্ব দিলেন? বিএনপিকে উপেক্ষা করলেন?”

এই সমস্ত প্রশ্নই এখন জনমনে দানা বাঁধছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক হিসেবে মাসুদ কামালের মতে, এই বৈঠক ও আলোচনা যদি হয়, তাহলে সেটি দেশের রাজনীতিতে নতুন দিক নির্ধারণ করতে পারে তবে তার আগে উভয় পক্ষের সদিচ্ছা এবং স্বচ্ছতার প্রমাণ প্রয়োজন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ড. ইউনূস ও তারেকের বৈঠক নিয়ে আশাবাদী মাসুদ কামাল: ‘দেরিতে হলেও ইতিবাচক!’

আপডেট সময় ১২:৩৭:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫

 

সাংবাদিক ও বিশ্লেষক মাসুদ কামাল বলেছেন, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ড. ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সম্ভাব্য আলোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তা আরও আগে হওয়া উচিত ছিল। যদিও বিলম্বে হলেও আলোচনার উদ্যোগ ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেন তিনি। সম্প্রতি ‘কথা’ ইউটিউব চ্যানেলে এসব কথা বলেন মাসুদ কামাল।

তিনি বলেন, “দেশের শীর্ষ রাজনীতিকদের মধ্যে সংলাপ সবসময়ই রাষ্ট্রের জন্য স্বাস্থ্যকর। আমার যতদূর মনে পড়ে, সম্ভবত এই প্রথমবার সরাসরি ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের সাক্ষাৎ হতে যাচ্ছে। এর আগে তাদের মুখোমুখি বৈঠকের কোনো নজির আমার জানা নেই।”

বিজ্ঞাপন

মাসুদ কামালের মতে, দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা বিবেচনায় আগামীতে বিএনপি সরকারে আসার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। “সেই ক্ষেত্রে তারেক রহমান হতে পারেন দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। আর সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেশের প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ।”

তিনি আরও বলেন, “এখন মূল প্রশ্ন হচ্ছে এই আলোচনায় কী বিষয়ে কথা হবে? কে কী চাইবেন? ড. ইউনূস কী প্রস্তাব দেবেন? তারেক রহমান কী প্রত্যাশা করবেন? এবং সবচেয়ে বড় কথা, তারা কি একমত হতে পারবেন? সাধারণ মানুষ হিসেবে আমরা তো এখনো বুঝে উঠতে পারছি না, তারা আদৌ একই রাজনৈতিক অবস্থানে আছেন কি না।”

তিনি ধারণা প্রকাশ করেন, মূলত নির্বাচন ও তারিখ ঘিরেই এই আলোচনার কেন্দ্রীয় বিষয়বস্তু হবে। কারণ, বর্তমান পরিস্থিতিতে এই নির্বাচন ঘিরেই সব বিরোধের সূত্রপাত। এ প্রসঙ্গে মাসুদ কামাল বলেন, “ড. ইউনূস যখন তারেক রহমানের সঙ্গে আলোচনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, তখন এটা প্রমাণ হয় যে তিনি সংলাপে আগ্রহী। তবে প্রশ্ন থেকে যায় এই আলোচনার উদ্যোগ তিনি আগে নেননি কেন?”

তিনি বলেন, “৬ তারিখে একতরফাভাবে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা না করে যদি তিনি বলতেন যে তারেক রহমানের সঙ্গে আলোচনা করে তারপর তারিখ ঠিক করব তাহলে হয়তো পরিস্থিতির ভিন্ন চিত্র দেখা যেত। এটা বলা যায় না যে এ সিদ্ধান্ত বিতর্কিত হয়নি।”

মাসুদ কামাল বলেন, “এর আগে ২৮টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৫টি দল ড. ইউনূসকে অনুরোধ করেছিল নির্বাচন ডিসেম্বর বা তারও আগে করার জন্য। অথচ তিনি হঠাৎ করে এপ্রিল বলে দিলেন যা আমরা এর আগে শুধু জামায়াতে ইসলামীকেই বলতে শুনেছি। তাহলে কি ধরে নিতে হবে তিনি জামায়াতের পক্ষকেই গুরুত্ব দিলেন? বিএনপিকে উপেক্ষা করলেন?”

এই সমস্ত প্রশ্নই এখন জনমনে দানা বাঁধছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক হিসেবে মাসুদ কামালের মতে, এই বৈঠক ও আলোচনা যদি হয়, তাহলে সেটি দেশের রাজনীতিতে নতুন দিক নির্ধারণ করতে পারে তবে তার আগে উভয় পক্ষের সদিচ্ছা এবং স্বচ্ছতার প্রমাণ প্রয়োজন।