ঢাকা ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপি-জামায়াত-এনসিপিসহ ৩০ দলের অংশগ্রহণে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শুরু

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৩৭:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫
  • / 7

ছবি সংগৃহীত

 

সংবিধান সংস্কার ও রাজনৈতিক ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি, এনসিপি (ন্যাশনাল কনসারভেটিভ পার্টি)সহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক গুরুত্বপূর্ণ বহুদলীয় আলোচনা শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আজকের বৈঠকে আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭০ (দলত্যাগ সংক্রান্ত বিধান), সংসদের স্থায়ী কমিটিগুলোর কার্যকারিতা, নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের কাঠামো ও কার্যকরতা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল সংক্রান্ত বিতর্ক।

মূলত সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতপার্থক্য রয়েছে, সেগুলোর সমাধানসূত্র খুঁজতেই এ আলোচনা আয়োজন করা হয়েছে।

কমিশন এর আগেও বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক করেছে। তবে এবারই প্রথমবারের মতো সব দলের প্রতিনিধিদের একসঙ্গে নিয়ে একই মঞ্চে আলোচনা করা হচ্ছে। রাজনৈতিক সংলাপের এ উদ্যোগকে বিশ্লেষকরা একটি ‘গণতান্ত্রিক অগ্রগতি’র ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন।

কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজকের আলোচনা থেকেই সব বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব না হলেও, প্রাথমিক অগ্রগতি প্রত্যাশা করা হচ্ছে। আলোচনা ঈদের পরও অব্যাহত থাকতে পারে।

গত বছরের অক্টোবর মাসে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠিত হয়। এগুলো: সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন, পুলিশ ব্যবস্থাপনা।

এই কমিশনগুলো তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয় ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। এরপর থেকেই জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক পক্ষগুলোর মধ্যে সংলাপ শুরু করে, যার উদ্দেশ্য হচ্ছে একটি সর্বজনগ্রাহ্য সংস্কার প্যাকেজ চূড়ান্ত করা।

কমিশনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, চলমান সংলাপের ভিত্তিতে আগামী জুলাই মাসে একটি ‘জুলাই সনদ’ প্রকাশের প্রস্তুতি চলছে, যা ভবিষ্যতের রাজনৈতিক কাঠামোর দিকনির্দেশনা হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

এমন এক সময়ে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন দেশের রাজনৈতিক মঞ্চে দীর্ঘদিনের আস্থাহীনতা এবং বিভাজনের আবহ বিরাজ করছে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি বাস্তবসম্মত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সংবিধানিক সংস্কারের সম্ভাবনা তৈরির আশা করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিএনপি-জামায়াত-এনসিপিসহ ৩০ দলের অংশগ্রহণে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শুরু

আপডেট সময় ০৪:৩৭:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫

 

সংবিধান সংস্কার ও রাজনৈতিক ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি, এনসিপি (ন্যাশনাল কনসারভেটিভ পার্টি)সহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক গুরুত্বপূর্ণ বহুদলীয় আলোচনা শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আজকের বৈঠকে আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭০ (দলত্যাগ সংক্রান্ত বিধান), সংসদের স্থায়ী কমিটিগুলোর কার্যকারিতা, নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের কাঠামো ও কার্যকরতা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল সংক্রান্ত বিতর্ক।

মূলত সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতপার্থক্য রয়েছে, সেগুলোর সমাধানসূত্র খুঁজতেই এ আলোচনা আয়োজন করা হয়েছে।

কমিশন এর আগেও বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক করেছে। তবে এবারই প্রথমবারের মতো সব দলের প্রতিনিধিদের একসঙ্গে নিয়ে একই মঞ্চে আলোচনা করা হচ্ছে। রাজনৈতিক সংলাপের এ উদ্যোগকে বিশ্লেষকরা একটি ‘গণতান্ত্রিক অগ্রগতি’র ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন।

কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজকের আলোচনা থেকেই সব বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব না হলেও, প্রাথমিক অগ্রগতি প্রত্যাশা করা হচ্ছে। আলোচনা ঈদের পরও অব্যাহত থাকতে পারে।

গত বছরের অক্টোবর মাসে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠিত হয়। এগুলো: সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন, পুলিশ ব্যবস্থাপনা।

এই কমিশনগুলো তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয় ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। এরপর থেকেই জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক পক্ষগুলোর মধ্যে সংলাপ শুরু করে, যার উদ্দেশ্য হচ্ছে একটি সর্বজনগ্রাহ্য সংস্কার প্যাকেজ চূড়ান্ত করা।

কমিশনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, চলমান সংলাপের ভিত্তিতে আগামী জুলাই মাসে একটি ‘জুলাই সনদ’ প্রকাশের প্রস্তুতি চলছে, যা ভবিষ্যতের রাজনৈতিক কাঠামোর দিকনির্দেশনা হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

এমন এক সময়ে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন দেশের রাজনৈতিক মঞ্চে দীর্ঘদিনের আস্থাহীনতা এবং বিভাজনের আবহ বিরাজ করছে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি বাস্তবসম্মত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সংবিধানিক সংস্কারের সম্ভাবনা তৈরির আশা করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।