তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে ‘বাধা সৃষ্টি করছে’ সরকারের একটি অংশ: রিজভী

- আপডেট সময় ০৭:২১:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
- / 2
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানের সাম্প্রতিক বক্তব্যকে ‘অহেতুক প্রলাপ’ আখ্যা দিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি উঠেছে এই বক্তব্যের মাধ্যমে তারেক রহমানের দেশে নিরাপদ প্রত্যাবর্তনকে অনিরাপদ করে তোলার ষড়যন্ত্র স্পষ্ট হচ্ছে। অবিলম্বে তাকে উপদেষ্টার পদ থেকে সরিয়ে দেশের জনগণের সামনে তার প্রকৃত পরিচয় এবং দেশ-বিদেশে অবস্থান সম্পর্কে সব তথ্য প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছে দলটি।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এমন একজন ব্যক্তিকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব দিয়েছেন, যিনি দেশের জন্য কোনো দৃশ্যমান অবদান রাখেননি। বরং তিনি দেশের চেয়ে বিদেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে পারেন।”
তিনি অভিযোগ করেন, রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে খলিলুর রহমান তারেক রহমানের যুক্তরাজ্যে নির্বাসিত জীবন প্রসঙ্গ যেভাবে উপস্থাপন করেছেন, তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বিভ্রান্তিকর। খলিলুর রহমান বলেন, “আমি যেহেতু আমেরিকায় থেকেছি, আমাকে যদি বিদেশি বলা হয়, তাহলে কাল তারেক রহমানকেও তা বলা হবে।” এই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করে রিজভী বলেন, “এভাবে ‘ধান ভানতে শিবের গীত’ গেয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা রাষ্ট্রীয় দায়িত্বশীল ব্যক্তির কাজ হতে পারে না।”
রিজভীর ভাষায়, “রাষ্ট্রের একজন গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টার পক্ষ থেকে এমন বক্তব্য আত্মগরিমা ও দুরভিসন্ধিমূলক প্রবণতার পরিচায়ক। এটি তারেক রহমানের রাজনৈতিক বিশ্বাসযোগ্যতা বিনষ্টের, জনগণকে বিভ্রান্ত করার এবং তার মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করার হীন প্রয়াস।”
তিনি আরও বলেন, “জনগণের মধ্যে সন্দেহ জাগছে যে, অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু অংশ তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে বাধাগ্রস্ত করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। এই পরিস্থিতিতে ড. খলিলুর রহমানকে পদচ্যুত করে তার প্রকৃত পরিচয় উন্মোচন জরুরি।”
বিএনপি মনে করে, একজন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার কাছ থেকে এ ধরনের দায়িত্বহীন ও মনগড়া মন্তব্য দেশকে রাজনৈতিকভাবে আরও অস্থির করে তুলতে পারে। এজন্য দেশের স্বার্থেই তার অপসারণ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন রিজভী।