০৩:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

মেলা নিয়ে কুমারখালীতে জামায়াত-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত ১১

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:২৭:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
  • / 76

ছবি সংগৃহীত

 

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে প্রায় দেড় শত বছরের ঐতিহ্যবাহী গাজীকালু-চম্পাবতী মেলা বসানোকে কেন্দ্র করে জামায়াত ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হোগলা চাপাইগাছি বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১১ জন আহত হন। এসময় মেলার দোকানপাটে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, প্রতি বছরের মতো এবারও ১৭ মে হোগলা চাপাইগাছি বাজারে গাজীকালু-চম্পাবতী মেলা আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তবে মেলায় অশ্লীলতা ও জুয়ার অভিযোগ তুলে জামায়াত ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মেলা বন্ধের দাবি জানায়। প্রশাসনের অনুমতি না থাকলেও বিএনপি সমর্থকেরা মেলা বসানোর উদ্যোগ নেন। বিকেল থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয় এবং সন্ধ্যার দিকে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জামায়াতপন্থী শতাধিক ব্যক্তি দেশি অস্ত্রসহ মেলায় হামলা চালান। ইটপাটকেল ছোড়ার পাশাপাশি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করেন তারা।

জামায়াতের আহতদের মধ্যে আছেন জগন্নাথপুর উলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান, কুদ্দুস প্রামাণিক, তুহিন হোসেন, জিহাদ হোসেন, জামাত আলী ও ইউনুস আলী। তারা কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

অন্যদিকে, বিএনপিপন্থী আহতরা হলেন খোকসা সরকারি কলেজের প্রভাষক সরাফাত সুলতান, শিক্ষক টিপু সুলতান, সুকুর শেখ, শরীফ ও আসাকুর রহমান। তাদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

জামায়াত নেতা হাবিবুর রহমান বলেন, “অশ্লীলতা ও জুয়ার প্রতিবাদ করতে গেলে প্রতিপক্ষ দেশি অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। আমিসহ অনেকেই আহত হয়েছি। আমরা থানায় অভিযোগ করব।”

অন্যদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে সরাফাত সুলতান বলেন, “জামায়াতের শত শত লোক আমাদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায় ও দোকান লুট করে। আমরাও মামলা করব।”

স্থানীয় ব্যবসায়ী আরজ আলী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “জামায়াত-শিবিরের হুমকির পর সন্ধ্যায় হামলা হয়। দোকানের সব মালামাল লুটে নেয়, আমার প্রায় দেড় লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।”

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ওসি সোলায়মান শেখ বলেন, “মেলায় অনুমতির ঘাটতি ছিল। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

নিউজটি শেয়ার করুন

মেলা নিয়ে কুমারখালীতে জামায়াত-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত ১১

আপডেট সময় ১০:২৭:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

 

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে প্রায় দেড় শত বছরের ঐতিহ্যবাহী গাজীকালু-চম্পাবতী মেলা বসানোকে কেন্দ্র করে জামায়াত ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হোগলা চাপাইগাছি বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১১ জন আহত হন। এসময় মেলার দোকানপাটে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, প্রতি বছরের মতো এবারও ১৭ মে হোগলা চাপাইগাছি বাজারে গাজীকালু-চম্পাবতী মেলা আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তবে মেলায় অশ্লীলতা ও জুয়ার অভিযোগ তুলে জামায়াত ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মেলা বন্ধের দাবি জানায়। প্রশাসনের অনুমতি না থাকলেও বিএনপি সমর্থকেরা মেলা বসানোর উদ্যোগ নেন। বিকেল থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয় এবং সন্ধ্যার দিকে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জামায়াতপন্থী শতাধিক ব্যক্তি দেশি অস্ত্রসহ মেলায় হামলা চালান। ইটপাটকেল ছোড়ার পাশাপাশি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করেন তারা।

জামায়াতের আহতদের মধ্যে আছেন জগন্নাথপুর উলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান, কুদ্দুস প্রামাণিক, তুহিন হোসেন, জিহাদ হোসেন, জামাত আলী ও ইউনুস আলী। তারা কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

অন্যদিকে, বিএনপিপন্থী আহতরা হলেন খোকসা সরকারি কলেজের প্রভাষক সরাফাত সুলতান, শিক্ষক টিপু সুলতান, সুকুর শেখ, শরীফ ও আসাকুর রহমান। তাদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

জামায়াত নেতা হাবিবুর রহমান বলেন, “অশ্লীলতা ও জুয়ার প্রতিবাদ করতে গেলে প্রতিপক্ষ দেশি অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। আমিসহ অনেকেই আহত হয়েছি। আমরা থানায় অভিযোগ করব।”

অন্যদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে সরাফাত সুলতান বলেন, “জামায়াতের শত শত লোক আমাদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায় ও দোকান লুট করে। আমরাও মামলা করব।”

স্থানীয় ব্যবসায়ী আরজ আলী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “জামায়াত-শিবিরের হুমকির পর সন্ধ্যায় হামলা হয়। দোকানের সব মালামাল লুটে নেয়, আমার প্রায় দেড় লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।”

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ওসি সোলায়মান শেখ বলেন, “মেলায় অনুমতির ঘাটতি ছিল। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”