১১:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

সড়ক আন্দোলনে যড়যন্ত্র মামলায় বিএনপির আমির খসরুসহ পাঁচজন খালাস

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:২৮:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
  • / 62

ছবি সংগৃহীত

 

বিশেষ ক্ষমতা আইনের অধীনে দায়ের করা নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে যড়যন্ত্রের অভিযোগে শাহবাগ থানার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ পাঁচজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। আজ রবিবার ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৪ এর বিচারক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ রায় ঘোষণা করেন।

খালাসপ্রাপ্ত অন্য চারজন হলেন- ব্যারিস্টার মিলহানুর রহমান নাওমী, মো. রফিকুল ইসলাম নয়ন, হাবিবুর রহমান হাবিব ও রবিউল ইসলাম রবি।

বিজ্ঞাপন

মামলার নথি অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই রাজধানীর কুর্মিটোলায় বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম রাজিবের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর নিরাপদ সড়কের দাবিতে সড়কে নামে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।

ছাত্র আন্দোলনের সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমির খসরুর একটি কথিত ফোনালাপ ভাইরাল হয়। এই ফোনালাপে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে, ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট শাহবাগ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন ডিবির তৎকালীন পল্লবী জোনের উপপরিদর্শক মো. শামীম আহমেদ।

মামলায় আমির খসরু ও ব্যারিস্টার মিলহানুর রহমান নাওমীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়। অভিযোগ ছিল, ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে ছাত্র আন্দোলনে উস্কানি ও রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য বিশেষ ক্ষমতা আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

মামলার তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ২৫ জানুয়ারি ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. আনিসুর রহমান আমির খসরুসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

পরে ২০২২ সালের ১৯ জানুয়ারি ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৪ এর বিচারক ফাতিমা ইমরোজ ক্ষণিমা অভিযোগ গঠন করে আসামিদের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।

তবে দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ রায় ঘোষণা করে সকল আসামিকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

সড়ক আন্দোলনে যড়যন্ত্র মামলায় বিএনপির আমির খসরুসহ পাঁচজন খালাস

আপডেট সময় ০২:২৮:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

 

বিশেষ ক্ষমতা আইনের অধীনে দায়ের করা নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে যড়যন্ত্রের অভিযোগে শাহবাগ থানার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ পাঁচজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। আজ রবিবার ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৪ এর বিচারক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ রায় ঘোষণা করেন।

খালাসপ্রাপ্ত অন্য চারজন হলেন- ব্যারিস্টার মিলহানুর রহমান নাওমী, মো. রফিকুল ইসলাম নয়ন, হাবিবুর রহমান হাবিব ও রবিউল ইসলাম রবি।

বিজ্ঞাপন

মামলার নথি অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই রাজধানীর কুর্মিটোলায় বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম রাজিবের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর নিরাপদ সড়কের দাবিতে সড়কে নামে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।

ছাত্র আন্দোলনের সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমির খসরুর একটি কথিত ফোনালাপ ভাইরাল হয়। এই ফোনালাপে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে, ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট শাহবাগ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন ডিবির তৎকালীন পল্লবী জোনের উপপরিদর্শক মো. শামীম আহমেদ।

মামলায় আমির খসরু ও ব্যারিস্টার মিলহানুর রহমান নাওমীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়। অভিযোগ ছিল, ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে ছাত্র আন্দোলনে উস্কানি ও রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য বিশেষ ক্ষমতা আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

মামলার তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ২৫ জানুয়ারি ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. আনিসুর রহমান আমির খসরুসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

পরে ২০২২ সালের ১৯ জানুয়ারি ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৪ এর বিচারক ফাতিমা ইমরোজ ক্ষণিমা অভিযোগ গঠন করে আসামিদের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।

তবে দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ রায় ঘোষণা করে সকল আসামিকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দেন।