১১:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

দুই পুত্রবধূসহ চলতি এপ্রিলেই দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:০৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
  • / 236

ছবি সংগৃহীত

 

সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি এপ্রিল মাসের মধ্যেই লন্ডন থেকে দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তার সঙ্গে ফিরছেন বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান এবং প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমান।

ঢাকা-লন্ডনের নির্ভরযোগ্য কূটনৈতিক সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বিজ্ঞাপন

সূত্র জানায়, বর্তমানে যুক্তরাজ্যে বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে। তাকে দেশে ফেরাতে কাতারের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স প্রস্তুত করা হচ্ছে। আগামী বুধবার, ৩০ এপ্রিলের মধ্যেই তার দেশে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে। শাশুড়ির সঙ্গে একই বিমানে ফিরছেন দুই পুত্রবধূ জোবাইদা রহমান ও সৈয়দা শামিলা রহমান।

ঢাকার একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, খালেদা জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে আনতে কাতারের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করতে গত সপ্তাহে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনকে চিঠি দেন। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে অবস্থান করছেন। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলেও সম্পূর্ণ আশঙ্কামুক্ত নন। তবে তিনি এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে দেশে ফিরতে চান। চিকিৎসকরা বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে দেশে ফেরার পরামর্শ দিয়েছেন।

বিএনপি মহাসচিবের চিঠির প্রেক্ষিতে লন্ডন ও দোহা বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে সরকার তাকে দেশে ফেরানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যেই খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন খালেদা জিয়া। করোনা মহামারির সময় তাকে বিশেষ বিবেচনায় মুক্তি দেওয়া হয়। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের আদেশে তিনি মুক্তি পান। পরবর্তীতে দুর্নীতির দুই মামলার রায় বাতিল করে আদালত।

চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে লন্ডনে নেওয়া হয়। ১৭ দিন লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসা শেষে ২৫ জানুয়ারি তাকে তারেক রহমানের বাসায় নেওয়া হয়। দীর্ঘ ছয় বছরের বেশি সময় পর এবার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদ্‌যাপন করেছেন তিনি।

বর্তমানে তিনি লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। খালেদা জিয়া সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই লন্ডন সফর করেছিলেন। এরপর আর কোনো বিদেশ সফর করেননি।

সূত্র: ঢাকা পোস্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

দুই পুত্রবধূসহ চলতি এপ্রিলেই দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া

আপডেট সময় ১১:০৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

 

সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি এপ্রিল মাসের মধ্যেই লন্ডন থেকে দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তার সঙ্গে ফিরছেন বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান এবং প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমান।

ঢাকা-লন্ডনের নির্ভরযোগ্য কূটনৈতিক সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বিজ্ঞাপন

সূত্র জানায়, বর্তমানে যুক্তরাজ্যে বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে। তাকে দেশে ফেরাতে কাতারের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স প্রস্তুত করা হচ্ছে। আগামী বুধবার, ৩০ এপ্রিলের মধ্যেই তার দেশে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে। শাশুড়ির সঙ্গে একই বিমানে ফিরছেন দুই পুত্রবধূ জোবাইদা রহমান ও সৈয়দা শামিলা রহমান।

ঢাকার একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, খালেদা জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে আনতে কাতারের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করতে গত সপ্তাহে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনকে চিঠি দেন। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে অবস্থান করছেন। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলেও সম্পূর্ণ আশঙ্কামুক্ত নন। তবে তিনি এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে দেশে ফিরতে চান। চিকিৎসকরা বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে দেশে ফেরার পরামর্শ দিয়েছেন।

বিএনপি মহাসচিবের চিঠির প্রেক্ষিতে লন্ডন ও দোহা বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে সরকার তাকে দেশে ফেরানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যেই খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন খালেদা জিয়া। করোনা মহামারির সময় তাকে বিশেষ বিবেচনায় মুক্তি দেওয়া হয়। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের আদেশে তিনি মুক্তি পান। পরবর্তীতে দুর্নীতির দুই মামলার রায় বাতিল করে আদালত।

চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে লন্ডনে নেওয়া হয়। ১৭ দিন লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসা শেষে ২৫ জানুয়ারি তাকে তারেক রহমানের বাসায় নেওয়া হয়। দীর্ঘ ছয় বছরের বেশি সময় পর এবার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদ্‌যাপন করেছেন তিনি।

বর্তমানে তিনি লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। খালেদা জিয়া সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই লন্ডন সফর করেছিলেন। এরপর আর কোনো বিদেশ সফর করেননি।

সূত্র: ঢাকা পোস্ট