ঢাকা ০৮:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো ভারতীয় আগরবাতি আমদানি ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চেয়েছিলেন ক্যাপ্টেন তৌকির, লড়েছেন শেষ পর্যন্ত উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত: হতাহতের খবর এখনও মেলেনি ইতালির প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় আসছেন: অভিবাসন বিষয়ক বৈঠক হবে বিশেষ গুরুত্বের সাথে ফার্মগেট স্টেশনে মেট্রোরেল আটকে যাওয়ার পর ফের চালু সাজিদের মৃত্যুর ঘটনায় ইবি প্রশাসনের সংবাদ সম্মেলন, তদন্তে শিক্ষার্থী অন্তর্ভুক্তির আশ্বাস ইকুয়েডরে ভয়াবহ সংঘর্ষ: পিকআপ ট্রাক ও এসইউভিতে নিহত ৯ ৪৮তম বিশেষ বিসিএস: ৫২০৬ জন উত্তীর্ণ ইসরায়েলি সেনার গুলিতে নিহত ৬৭ ফিলিস্তিনি: ত্রাণ নিতে আসার সময় ঘটে এ ঘটনা গাজীপুরে নাসির হত্যার ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য গ্রেপ্তার

আলোচনার পথেই তৈরি সম্ভব জাতীয় সনদ: আলী রীয়াজ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:০১:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
  • / 52

ছবি সংগৃহীত

 

জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় আলোচনার মধ্য দিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্য দূর করে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য গড়ে তোলা সম্ভব, তার ওপর ভিত্তি করে একটি জাতীয় সনদ প্রণয়ন করা যাবে। এ সনদই ভবিষ্যতে রাষ্ট্র সংস্কারের ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (এনডিএম)–এর সঙ্গে কমিশনের সংলাপ শুরু হয়। এ সময় আলী রীয়াজ বলেন, “আমাদের মূল লক্ষ্য হলো যত দ্রুত সম্ভব একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় সনদের কাঠামোতে পৌঁছানো। কমিশনের কার্যকাল আগামী জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত। তাই আমরা আশাবাদী, মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত প্রাথমিক সংলাপের ধাপ শেষ করা সম্ভব হবে।”

তিনি আরও বলেন, “এই সংলাপের মাধ্যমে একটি ভিত্তি তৈরি হচ্ছে, যেখানে ধাপে ধাপে আমরা একমত হওয়ার জায়গাগুলো চিহ্নিত করব এবং পরবর্তী পর্যায়ে এগিয়ে যাব।”

আলোচনায় অংশ নেওয়া এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, তাঁদের দল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবগুলোর বেশিরভাগ অংশের সঙ্গে একমত। তিনি জানান, এনডিএম দেশে সামগ্রিক সংস্কারের বিষয়ে ইতিবাচক ও গভীর আগ্রহ রাখে।

ববি হাজ্জাজ বলেন, “আমরা চাই পরিবর্তন হোক প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোতে। শুধুমাত্র রাজনৈতিক সংলাপে সীমাবদ্ধ না থেকে, রাষ্ট্রব্যবস্থার দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের ভিত্তি তৈরি করতে হবে।”

আলোচনায় এনডিএমের আট সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেয়, যার নেতৃত্বে ছিলেন দলটির চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ।

আলী রীয়াজ বলেন, “জাতীয় ঐকমত্য গঠনের ক্ষেত্রে এই প্রথম ধাপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সকল রাজনৈতিক শক্তিকে সংলাপে যুক্ত করতে চাই এবং পর্যায়ক্রমে সমন্বয় ও গ্রহণযোগ্যতা অর্জনের পথে এগিয়ে যেতে চাই।”

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এই উদ্যোগ দেশের রাজনীতিতে একটি নতুন দিক উন্মোচন করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আলোচনার পথেই তৈরি সম্ভব জাতীয় সনদ: আলী রীয়াজ

আপডেট সময় ০২:০১:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

 

জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় আলোচনার মধ্য দিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্য দূর করে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য গড়ে তোলা সম্ভব, তার ওপর ভিত্তি করে একটি জাতীয় সনদ প্রণয়ন করা যাবে। এ সনদই ভবিষ্যতে রাষ্ট্র সংস্কারের ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (এনডিএম)–এর সঙ্গে কমিশনের সংলাপ শুরু হয়। এ সময় আলী রীয়াজ বলেন, “আমাদের মূল লক্ষ্য হলো যত দ্রুত সম্ভব একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় সনদের কাঠামোতে পৌঁছানো। কমিশনের কার্যকাল আগামী জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত। তাই আমরা আশাবাদী, মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত প্রাথমিক সংলাপের ধাপ শেষ করা সম্ভব হবে।”

তিনি আরও বলেন, “এই সংলাপের মাধ্যমে একটি ভিত্তি তৈরি হচ্ছে, যেখানে ধাপে ধাপে আমরা একমত হওয়ার জায়গাগুলো চিহ্নিত করব এবং পরবর্তী পর্যায়ে এগিয়ে যাব।”

আলোচনায় অংশ নেওয়া এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, তাঁদের দল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবগুলোর বেশিরভাগ অংশের সঙ্গে একমত। তিনি জানান, এনডিএম দেশে সামগ্রিক সংস্কারের বিষয়ে ইতিবাচক ও গভীর আগ্রহ রাখে।

ববি হাজ্জাজ বলেন, “আমরা চাই পরিবর্তন হোক প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোতে। শুধুমাত্র রাজনৈতিক সংলাপে সীমাবদ্ধ না থেকে, রাষ্ট্রব্যবস্থার দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের ভিত্তি তৈরি করতে হবে।”

আলোচনায় এনডিএমের আট সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেয়, যার নেতৃত্বে ছিলেন দলটির চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ।

আলী রীয়াজ বলেন, “জাতীয় ঐকমত্য গঠনের ক্ষেত্রে এই প্রথম ধাপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সকল রাজনৈতিক শক্তিকে সংলাপে যুক্ত করতে চাই এবং পর্যায়ক্রমে সমন্বয় ও গ্রহণযোগ্যতা অর্জনের পথে এগিয়ে যেতে চাই।”

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এই উদ্যোগ দেশের রাজনীতিতে একটি নতুন দিক উন্মোচন করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।