০৮:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

ট্রাম্পের নীতির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিক্ষোভের ঝড়

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:০৮:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / 52

ছবি সংগৃহীত

 

 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিতর্কিত নীতির প্রতিবাদে শনিবার দেশজুড়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন সাধারণ মানুষ। দেশের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের ১২০০টিরও বেশি স্থানে আয়োজিত এই বিক্ষোভে অংশ নেয় দেড় শতাধিক সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন। ‘হ্যান্ডস অফ’ নামে এই আন্দোলনের অন্যতম বার্তা ছিল “গণতন্ত্রে হস্তক্ষেপ চলবে না।”

বিজ্ঞাপন

বিক্ষোভের মূল কেন্দ্র ছিল ওয়াশিংটন ডিসি, যেখানে মেঘলা আকাশ ও হালকা বৃষ্টির মধ্যেও থেমে থাকেনি জনস্রোত। কানেটিকাট অ্যাভিনিউ ও ন্যাশনাল মলে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে ছিলেন হাজারো মানুষ, যাঁদের হাতে ছিল নানা প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ড ‘যুক্তরাষ্ট্রে কোনো রাজা নেই’, ‘মাস্ককে বিতাড়িত করুন’, ‘গণতন্ত্র আমাদের অধিকার’।

বোস্টন, নিউ ইয়র্ক, শিকাগো, লস অ্যাঞ্জেলেসসহ অন্যান্য শহরেও ছিল একই চিত্র। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, নারী-পুরুষ, যুবক-যুবতী সবার কণ্ঠে ছিল একই সুর, “ট্রাম্প প্রশাসনের দমননীতি ও একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সংস্কৃতি আমরা মানি না।”

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া সংগঠন ‘ইনডিভিজিবল’-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা এজরা লেভিন বলেন, “এই আন্দোলন ট্রাম্প, ইলন মাস্ক এবং তাঁদের সমর্থকদের জন্য স্পষ্ট বার্তা আমরা যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের ওপর কোনো হস্তক্ষেপ মেনে নেব না।”

ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর থেকেই একের পর এক নির্বাহী আদেশে সই করেছেন তিনি। অবৈধ অভিবাসন ঠেকানো, বিদেশি সহায়তা কমানো এবং ট্রান্সজেন্ডারদের অধিকার সীমিত করার মতো পদক্ষেপে ক্ষোভ জমে উঠেছে দেশের নানা প্রান্তে। অনেক আদেশ আদালতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে, কিছু আদেশ ইতিমধ্যে স্থগিতও করা হয়েছে।

শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, ট্রাম্পবিরোধী এই ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে ইউরোপের নানা দেশেও। মানবাধিকার, সমতা ও গণতন্ত্র রক্ষার ডাক দিয়ে সেখানেও মানুষ রাস্তায় নেমেছে।

এই গণবিক্ষোভ ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য একটি বড় সতর্কবার্তা দেশজুড়ে মানুষের অসন্তোষ আর উপেক্ষা করার মতো নয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্রাম্পের নীতির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিক্ষোভের ঝড়

আপডেট সময় ০৬:০৮:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫

 

 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিতর্কিত নীতির প্রতিবাদে শনিবার দেশজুড়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন সাধারণ মানুষ। দেশের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের ১২০০টিরও বেশি স্থানে আয়োজিত এই বিক্ষোভে অংশ নেয় দেড় শতাধিক সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন। ‘হ্যান্ডস অফ’ নামে এই আন্দোলনের অন্যতম বার্তা ছিল “গণতন্ত্রে হস্তক্ষেপ চলবে না।”

বিজ্ঞাপন

বিক্ষোভের মূল কেন্দ্র ছিল ওয়াশিংটন ডিসি, যেখানে মেঘলা আকাশ ও হালকা বৃষ্টির মধ্যেও থেমে থাকেনি জনস্রোত। কানেটিকাট অ্যাভিনিউ ও ন্যাশনাল মলে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে ছিলেন হাজারো মানুষ, যাঁদের হাতে ছিল নানা প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ড ‘যুক্তরাষ্ট্রে কোনো রাজা নেই’, ‘মাস্ককে বিতাড়িত করুন’, ‘গণতন্ত্র আমাদের অধিকার’।

বোস্টন, নিউ ইয়র্ক, শিকাগো, লস অ্যাঞ্জেলেসসহ অন্যান্য শহরেও ছিল একই চিত্র। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, নারী-পুরুষ, যুবক-যুবতী সবার কণ্ঠে ছিল একই সুর, “ট্রাম্প প্রশাসনের দমননীতি ও একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সংস্কৃতি আমরা মানি না।”

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া সংগঠন ‘ইনডিভিজিবল’-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা এজরা লেভিন বলেন, “এই আন্দোলন ট্রাম্প, ইলন মাস্ক এবং তাঁদের সমর্থকদের জন্য স্পষ্ট বার্তা আমরা যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের ওপর কোনো হস্তক্ষেপ মেনে নেব না।”

ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর থেকেই একের পর এক নির্বাহী আদেশে সই করেছেন তিনি। অবৈধ অভিবাসন ঠেকানো, বিদেশি সহায়তা কমানো এবং ট্রান্সজেন্ডারদের অধিকার সীমিত করার মতো পদক্ষেপে ক্ষোভ জমে উঠেছে দেশের নানা প্রান্তে। অনেক আদেশ আদালতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে, কিছু আদেশ ইতিমধ্যে স্থগিতও করা হয়েছে।

শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, ট্রাম্পবিরোধী এই ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে ইউরোপের নানা দেশেও। মানবাধিকার, সমতা ও গণতন্ত্র রক্ষার ডাক দিয়ে সেখানেও মানুষ রাস্তায় নেমেছে।

এই গণবিক্ষোভ ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য একটি বড় সতর্কবার্তা দেশজুড়ে মানুষের অসন্তোষ আর উপেক্ষা করার মতো নয়।