ঢাকা ০৩:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো ভারতীয় আগরবাতি আমদানি ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চেয়েছিলেন ক্যাপ্টেন তৌকির, লড়েছেন শেষ পর্যন্ত উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত: হতাহতের খবর এখনও মেলেনি ইতালির প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় আসছেন: অভিবাসন বিষয়ক বৈঠক হবে বিশেষ গুরুত্বের সাথে ফার্মগেট স্টেশনে মেট্রোরেল আটকে যাওয়ার পর ফের চালু সাজিদের মৃত্যুর ঘটনায় ইবি প্রশাসনের সংবাদ সম্মেলন, তদন্তে শিক্ষার্থী অন্তর্ভুক্তির আশ্বাস ইকুয়েডরে ভয়াবহ সংঘর্ষ: পিকআপ ট্রাক ও এসইউভিতে নিহত ৯ ৪৮তম বিশেষ বিসিএস: ৫২০৬ জন উত্তীর্ণ ইসরায়েলি সেনার গুলিতে নিহত ৬৭ ফিলিস্তিনি: ত্রাণ নিতে আসার সময় ঘটে এ ঘটনা গাজীপুরে নাসির হত্যার ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য গ্রেপ্তার

ট্রাম্পের নীতির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিক্ষোভের ঝড়

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:০৮:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / 32

ছবি সংগৃহীত

 

 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিতর্কিত নীতির প্রতিবাদে শনিবার দেশজুড়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন সাধারণ মানুষ। দেশের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের ১২০০টিরও বেশি স্থানে আয়োজিত এই বিক্ষোভে অংশ নেয় দেড় শতাধিক সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন। ‘হ্যান্ডস অফ’ নামে এই আন্দোলনের অন্যতম বার্তা ছিল “গণতন্ত্রে হস্তক্ষেপ চলবে না।”

বিক্ষোভের মূল কেন্দ্র ছিল ওয়াশিংটন ডিসি, যেখানে মেঘলা আকাশ ও হালকা বৃষ্টির মধ্যেও থেমে থাকেনি জনস্রোত। কানেটিকাট অ্যাভিনিউ ও ন্যাশনাল মলে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে ছিলেন হাজারো মানুষ, যাঁদের হাতে ছিল নানা প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ড ‘যুক্তরাষ্ট্রে কোনো রাজা নেই’, ‘মাস্ককে বিতাড়িত করুন’, ‘গণতন্ত্র আমাদের অধিকার’।

বোস্টন, নিউ ইয়র্ক, শিকাগো, লস অ্যাঞ্জেলেসসহ অন্যান্য শহরেও ছিল একই চিত্র। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, নারী-পুরুষ, যুবক-যুবতী সবার কণ্ঠে ছিল একই সুর, “ট্রাম্প প্রশাসনের দমননীতি ও একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সংস্কৃতি আমরা মানি না।”

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া সংগঠন ‘ইনডিভিজিবল’-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা এজরা লেভিন বলেন, “এই আন্দোলন ট্রাম্প, ইলন মাস্ক এবং তাঁদের সমর্থকদের জন্য স্পষ্ট বার্তা আমরা যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের ওপর কোনো হস্তক্ষেপ মেনে নেব না।”

ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর থেকেই একের পর এক নির্বাহী আদেশে সই করেছেন তিনি। অবৈধ অভিবাসন ঠেকানো, বিদেশি সহায়তা কমানো এবং ট্রান্সজেন্ডারদের অধিকার সীমিত করার মতো পদক্ষেপে ক্ষোভ জমে উঠেছে দেশের নানা প্রান্তে। অনেক আদেশ আদালতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে, কিছু আদেশ ইতিমধ্যে স্থগিতও করা হয়েছে।

শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, ট্রাম্পবিরোধী এই ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে ইউরোপের নানা দেশেও। মানবাধিকার, সমতা ও গণতন্ত্র রক্ষার ডাক দিয়ে সেখানেও মানুষ রাস্তায় নেমেছে।

এই গণবিক্ষোভ ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য একটি বড় সতর্কবার্তা দেশজুড়ে মানুষের অসন্তোষ আর উপেক্ষা করার মতো নয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্রাম্পের নীতির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিক্ষোভের ঝড়

আপডেট সময় ০৬:০৮:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫

 

 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিতর্কিত নীতির প্রতিবাদে শনিবার দেশজুড়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন সাধারণ মানুষ। দেশের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের ১২০০টিরও বেশি স্থানে আয়োজিত এই বিক্ষোভে অংশ নেয় দেড় শতাধিক সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন। ‘হ্যান্ডস অফ’ নামে এই আন্দোলনের অন্যতম বার্তা ছিল “গণতন্ত্রে হস্তক্ষেপ চলবে না।”

বিক্ষোভের মূল কেন্দ্র ছিল ওয়াশিংটন ডিসি, যেখানে মেঘলা আকাশ ও হালকা বৃষ্টির মধ্যেও থেমে থাকেনি জনস্রোত। কানেটিকাট অ্যাভিনিউ ও ন্যাশনাল মলে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে ছিলেন হাজারো মানুষ, যাঁদের হাতে ছিল নানা প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ড ‘যুক্তরাষ্ট্রে কোনো রাজা নেই’, ‘মাস্ককে বিতাড়িত করুন’, ‘গণতন্ত্র আমাদের অধিকার’।

বোস্টন, নিউ ইয়র্ক, শিকাগো, লস অ্যাঞ্জেলেসসহ অন্যান্য শহরেও ছিল একই চিত্র। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, নারী-পুরুষ, যুবক-যুবতী সবার কণ্ঠে ছিল একই সুর, “ট্রাম্প প্রশাসনের দমননীতি ও একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সংস্কৃতি আমরা মানি না।”

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া সংগঠন ‘ইনডিভিজিবল’-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা এজরা লেভিন বলেন, “এই আন্দোলন ট্রাম্প, ইলন মাস্ক এবং তাঁদের সমর্থকদের জন্য স্পষ্ট বার্তা আমরা যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের ওপর কোনো হস্তক্ষেপ মেনে নেব না।”

ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর থেকেই একের পর এক নির্বাহী আদেশে সই করেছেন তিনি। অবৈধ অভিবাসন ঠেকানো, বিদেশি সহায়তা কমানো এবং ট্রান্সজেন্ডারদের অধিকার সীমিত করার মতো পদক্ষেপে ক্ষোভ জমে উঠেছে দেশের নানা প্রান্তে। অনেক আদেশ আদালতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে, কিছু আদেশ ইতিমধ্যে স্থগিতও করা হয়েছে।

শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, ট্রাম্পবিরোধী এই ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে ইউরোপের নানা দেশেও। মানবাধিকার, সমতা ও গণতন্ত্র রক্ষার ডাক দিয়ে সেখানেও মানুষ রাস্তায় নেমেছে।

এই গণবিক্ষোভ ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য একটি বড় সতর্কবার্তা দেশজুড়ে মানুষের অসন্তোষ আর উপেক্ষা করার মতো নয়।