কুয়েতের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ-কুয়েত সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার প্রতিশ্রুতি
বাংলাদেশ ও কুয়েতের মধ্যে বাণিজ্য, অর্থনীতি, জ্বালানি নিরাপত্তা, খাদ্য নিরাপত্তা এবং অভিবাসী কল্যাণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত কুয়েতের নতুন রাষ্ট্রদূত আলী তুনিয়ান আব্দুল ওহাব হামাদাহ।
রবিবার, রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে কুয়েতের রাষ্ট্রদূত এই প্রতিশ্রুতি দেন। এই সময়, প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ ও কুয়েতের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্কের গভীরতার কথা উল্লেখ করে, উভয় দেশের মধ্যে বৃহত্তর সহযোগিতা বাড়ানোর উপর জোর দেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “কুয়েত এবং বাংলাদেশ দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। এখানে বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষ করে হালাল খাদ্যখাতে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হতে পারে।” তিনি কুয়েতের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে (এসইজেড) বিনিয়োগ এবং আগামী বাংলাদেশ বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানান।
এ সময়, রাষ্ট্রদূত হামাদাহ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি কুয়েতের সমর্থন জানিয়ে বলেন, “আমরা বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত এবং আমাদের সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী।”
এছাড়া, উভয় পক্ষ বাংলাদেশে কুয়েত থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি বাড়ানোর পাশাপাশি যৌথ উদ্যোগে তেল শোধনাগার স্থাপনের বিষয়ে আলোচনা করেন। রাষ্ট্রদূত কুয়েতকে বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা কুয়েতে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীদের, বিশেষত নারী কর্মীদের জন্য উন্নত কর্মপরিবেশের নিশ্চয়তা এবং দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার আরও উন্নতির জন্য তাঁর আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এ বৈঠক থেকে স্পষ্ট হয়েছে, বাংলাদেশ ও কুয়েতের মধ্যে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর হবে, যা উভয় দেশের জন্য সমৃদ্ধির নতুন পথ উন্মোচন করবে।