ঢাকা ০৯:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত ঢাকা থেকে বিদায় নিয়েছে ভুটান দল, রাতে আসছে সিঙ্গাপুরের ৪২ সদস্য বরগুনায় কোরবানির দিনে পশু কাটতে গিয়ে আহত ২০ জন ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সম্পন্ন : মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করলো বিএনপি ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম

বাংলাদেশে বাল্যবিয়ের হার এশিয়ায় সর্বোচ্চ, আন্তর্জাতিক নারী দিবসে নতুন প্রতিবেদন উদ্বেগজনক তথ্য প্রকাশ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৪৮:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫
  • / 32

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশে ১৮ বছর বয়সের আগে বিয়ে করা মেয়ের সংখ্যা ৫১ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে, যা এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি। একই সঙ্গে, বিশ্বের তালিকায় বাংলাদেশ ৮ম অবস্থানে রয়েছে, যা দেশের মেয়েদের জন্য একটি বড় সংকেত। শনিবার (৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ইউনিসেফ, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল এবং ইউএন উইমেনের যৌথ প্রতিবেদন এই উদ্বেগজনক তথ্য প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ২০-২৪ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে ৫১.৪ শতাংশের বিয়ে হয়েছে ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগেই, আর ২৪ শতাংশ নারী সন্তান জন্ম দিয়েছেন বিয়ের আগে। কিশোরী মেয়েদের প্রতি সহিংসতা ও বৈষম্য রোধের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের অভাব এখন স্পষ্ট।

এছাড়া, ১৫-১৯ বছর বয়সী কিশোরী মেয়েদের মধ্যে ২৮ শতাংশ গত ১২ মাসে শারীরিক বা যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছে। তাদের অধিকাংশই এখনও প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন নয়, ফলে স্বাস্থ্যসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে তারা সচেতনভাবে সক্ষম নয়। মাত্র ৪৭ শতাংশ কিশোরী জানেন তাদের প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মেয়েদের ডিজিটাল দক্ষতার হার দ্রুত বৃদ্ধি পেলেও, বাংলাদেশসহ সাতটি দেশে এটি ২ শতাংশ বা তারও কম, যা ডিজিটাল জগতের প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ার কারণ হতে পারে।

এই প্রতিবেদনটির মূল বার্তা হলো, কিশোরী মেয়েদের ক্ষমতায়নে যথেষ্ট বিনিয়োগ ও নীতি পরিবর্তন না হলে, তারা আরও দীর্ঘ সময় অন্ধকারে থাকতে পারে। বিশেষ করে, শিক্ষার ক্ষেত্রেও বিশেষ নজর দেওয়া উচিত। নারীশিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রসারের পাশাপাশি, বাল্যবিয়ের প্রবণতা কমানোর জন্য সামাজিক সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন।

যত দ্রুত এসব সমস্যার সমাধান করা হবে, তত দ্রুত বাংলাদেশে নারীর অবস্থান শক্তিশালী হবে এবং দেশের উন্নতির পথে এগিয়ে যাবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশে বাল্যবিয়ের হার এশিয়ায় সর্বোচ্চ, আন্তর্জাতিক নারী দিবসে নতুন প্রতিবেদন উদ্বেগজনক তথ্য প্রকাশ

আপডেট সময় ০১:৪৮:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫

 

বাংলাদেশে ১৮ বছর বয়সের আগে বিয়ে করা মেয়ের সংখ্যা ৫১ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে, যা এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি। একই সঙ্গে, বিশ্বের তালিকায় বাংলাদেশ ৮ম অবস্থানে রয়েছে, যা দেশের মেয়েদের জন্য একটি বড় সংকেত। শনিবার (৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ইউনিসেফ, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল এবং ইউএন উইমেনের যৌথ প্রতিবেদন এই উদ্বেগজনক তথ্য প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ২০-২৪ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে ৫১.৪ শতাংশের বিয়ে হয়েছে ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগেই, আর ২৪ শতাংশ নারী সন্তান জন্ম দিয়েছেন বিয়ের আগে। কিশোরী মেয়েদের প্রতি সহিংসতা ও বৈষম্য রোধের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের অভাব এখন স্পষ্ট।

এছাড়া, ১৫-১৯ বছর বয়সী কিশোরী মেয়েদের মধ্যে ২৮ শতাংশ গত ১২ মাসে শারীরিক বা যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছে। তাদের অধিকাংশই এখনও প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন নয়, ফলে স্বাস্থ্যসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে তারা সচেতনভাবে সক্ষম নয়। মাত্র ৪৭ শতাংশ কিশোরী জানেন তাদের প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মেয়েদের ডিজিটাল দক্ষতার হার দ্রুত বৃদ্ধি পেলেও, বাংলাদেশসহ সাতটি দেশে এটি ২ শতাংশ বা তারও কম, যা ডিজিটাল জগতের প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ার কারণ হতে পারে।

এই প্রতিবেদনটির মূল বার্তা হলো, কিশোরী মেয়েদের ক্ষমতায়নে যথেষ্ট বিনিয়োগ ও নীতি পরিবর্তন না হলে, তারা আরও দীর্ঘ সময় অন্ধকারে থাকতে পারে। বিশেষ করে, শিক্ষার ক্ষেত্রেও বিশেষ নজর দেওয়া উচিত। নারীশিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রসারের পাশাপাশি, বাল্যবিয়ের প্রবণতা কমানোর জন্য সামাজিক সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন।

যত দ্রুত এসব সমস্যার সমাধান করা হবে, তত দ্রুত বাংলাদেশে নারীর অবস্থান শক্তিশালী হবে এবং দেশের উন্নতির পথে এগিয়ে যাবে।