বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করলো স্টারলিংক, উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবার পথে নতুন অগ্রযাত্রা

- আপডেট সময় ১১:৫৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫
- / ৫১২ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করতে মার্কিন টেলিকম জায়ান্ট স্টারলিংকের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে দেশের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। এই চুক্তির আওতায় বাংলাদেশে গ্রাউন্ড আর্থ স্টেশন স্থাপনে সহায়তা দেবে এসব প্রতিষ্ঠান। শনিবার (৮ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, স্টারলিংকের একটি প্রতিনিধি দল বর্তমানে বাংলাদেশ সফরে রয়েছে। সফরের অংশ হিসেবে তারা দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছে, যা স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবা চালুর পথ সুগম করবে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, স্টারলিংকের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তিগুলো ভূমি বরাদ্দ, অবকাঠামো নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য করা হয়েছে। স্টারলিংক বাংলাদেশে নির্দিষ্ট কিছু স্থানে গ্রাউন্ড স্টেশন স্থাপনের পরিকল্পনা করছে, যার মধ্যে কিছু প্রতিষ্ঠান নিজস্ব জমি এবং কিছু ক্ষেত্রে হাইটেক পার্কের জায়গা ব্যবহারের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, স্টারলিংক সেবা দেশের শহর ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন ও উচ্চগতির ইন্টারনেট নিশ্চিত করবে। বিশেষ করে, লোডশেডিং ও প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ এলাকাগুলোতে নির্ভরযোগ্য কানেক্টিভিটি প্রদান করা হবে।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় মনে করছে, টেলিকম গ্রেড ফাইবার নেটওয়ার্কের সীমাবদ্ধতার কারণে স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবা দেশের উদ্যোক্তা, ফ্রিল্যান্সার, এনজিও ও এসএমই ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে। ডিজিটাল অর্থনীতির বিকাশে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্টারলিংকের প্রতিষ্ঠাতা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। এই সফরে মাস্ক বাংলাদেশের তরুণ জনগোষ্ঠীর সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাবেন, যারা এই প্রযুক্তির প্রধান সুবিধাভোগী হতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার হাই-রিপ্রেজেনটেটিভ ড. খলিলুর রহমান স্পেসএক্সের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছেন। আগামী ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে বাংলাদেশে স্টারলিংক সেবা চালুর লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব কার্যক্রম সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ইলন মাস্কের মধ্যে দীর্ঘ টেলিফোন আলোচনা হয়। আলোচনায় তারা ভবিষ্যৎ সহযোগিতার পাশাপাশি স্টারলিংক সেবার অগ্রগতি নিয়েও মতবিনিময় করেন।
বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতের জন্য স্টারলিংকের আগমন একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি দেশে ইন্টারনেট সেবার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে এবং ডিজিটাল কানেক্টিভিটিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে।