ঢাকা ০৬:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতিসংঘের জুলাই অভ্যুত্থান রিপোর্টকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে সংরক্ষণে রুল জারি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইইউ-এর ১৭তম প্যাকেজের নিষেধাজ্ঞা: তুরস্ক সহ একাধিক দেশও এর অন্তর্ভুক্ত সুন্দরবন সুরক্ষায় নতুন কৌশলে বন বিভাগ, ফাঁদ জমা দিলে মিলছে পুরস্কার ভারতের অরুণাচলের ২৭ জায়গার নতুন নামকরণ করল চীন ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু আলোচনা নিয়ে সৌদির পূর্ণ সমর্থন আছে: সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্বনেতাদের সংলাপে আহ্বান নতুন পোপ লিও চতুর্দশের ভিসা সংকটে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে যাত্রী কমেছে, কমেছে রাজস্ব আয় মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে ৪৪ জন বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করলো বিএসএফ ডিপ্লোমা নার্সিংকে ডিগ্রির মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে শাহবাগ নার্সিং শিক্ষার্থীদের অবরোধ আইপিএলে ৬ কোটি রুপিতে মোস্তাফিজকে দলে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস

ঢাকায় সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূতের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শন, গাজীপুরের ৫ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:২৮:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫
  • / 28

ছবি সংগৃহীত

 

ঢাকা: সাবেক দুই মার্কিন রাষ্ট্রদূত, উইলিয়াম বি মাইলাম ও জন ড্যানিলোভিজ, বুধবার (৫ মার্চ) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শন করেছেন। সকাল ১০টার দিকে তারা ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে উপস্থিত হন। তাদের এই পরিদর্শন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিষয়ের আলোচনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

এদিকে, গাজীপুরের কোনাবাড়ী থানায় ২০১৯ সালের মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক ওসি কে এম আশরাফ উদ্দিন, কনস্টেবল আকরাম, শফিকুল ইসলাম, কনস্টেবল ফাহিম হাসান, এবং কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান। ট্রাইব্যুনালে তাদের হাজির করানোর সময় মামলা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

এই মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনা ঘটেছিল ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট, যখন কোনাবাড়ী থানার পাশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অত্যন্ত উশৃঙ্খলভাবে আচরণ করছিল। ওইদিন গাজীপুরের এক শিক্ষার্থী হৃদয়কে কিছু পুলিশ সদস্য রাস্তার পাশে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে মারধর করে। তাকে চড়, থাপ্পড়, কিল, এবং ঘুষি মেরে গুরুতর আহত করা হয়। এক পর্যায়ে কনস্টেবল আকরাম এসে হৃদয়ের পিঠে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করেন।

এই ভয়াবহ ঘটনাটি সেসময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা দেশব্যাপী ক্ষোভের সৃষ্টি করে। ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন জানিয়েছে, হৃদয় হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত ৫ পুলিশ কর্মকর্তা।

তারা জানিয়েছেন, এই ঘটনাটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন এবং মানবিক মর্যাদার চরম লঙ্ঘন, যা বিচার প্রক্রিয়ায় গুরুত্ব পাবে। এসব ঘটনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থাহীনতা তৈরি করেছে, এবং যথাযথ তদন্ত ও বিচার দাবি করছে সুশীল সমাজ।

এই ঘটনায় সবার দৃষ্টি এখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ওপর, এবং তার বিচার প্রক্রিয়া কি রূপ নেবে, তা সময়ই বলে দিবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ঢাকায় সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূতের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শন, গাজীপুরের ৫ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ

আপডেট সময় ০৩:২৮:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

 

ঢাকা: সাবেক দুই মার্কিন রাষ্ট্রদূত, উইলিয়াম বি মাইলাম ও জন ড্যানিলোভিজ, বুধবার (৫ মার্চ) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শন করেছেন। সকাল ১০টার দিকে তারা ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে উপস্থিত হন। তাদের এই পরিদর্শন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিষয়ের আলোচনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

এদিকে, গাজীপুরের কোনাবাড়ী থানায় ২০১৯ সালের মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক ওসি কে এম আশরাফ উদ্দিন, কনস্টেবল আকরাম, শফিকুল ইসলাম, কনস্টেবল ফাহিম হাসান, এবং কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান। ট্রাইব্যুনালে তাদের হাজির করানোর সময় মামলা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

এই মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনা ঘটেছিল ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট, যখন কোনাবাড়ী থানার পাশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অত্যন্ত উশৃঙ্খলভাবে আচরণ করছিল। ওইদিন গাজীপুরের এক শিক্ষার্থী হৃদয়কে কিছু পুলিশ সদস্য রাস্তার পাশে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে মারধর করে। তাকে চড়, থাপ্পড়, কিল, এবং ঘুষি মেরে গুরুতর আহত করা হয়। এক পর্যায়ে কনস্টেবল আকরাম এসে হৃদয়ের পিঠে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করেন।

এই ভয়াবহ ঘটনাটি সেসময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা দেশব্যাপী ক্ষোভের সৃষ্টি করে। ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন জানিয়েছে, হৃদয় হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত ৫ পুলিশ কর্মকর্তা।

তারা জানিয়েছেন, এই ঘটনাটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন এবং মানবিক মর্যাদার চরম লঙ্ঘন, যা বিচার প্রক্রিয়ায় গুরুত্ব পাবে। এসব ঘটনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থাহীনতা তৈরি করেছে, এবং যথাযথ তদন্ত ও বিচার দাবি করছে সুশীল সমাজ।

এই ঘটনায় সবার দৃষ্টি এখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ওপর, এবং তার বিচার প্রক্রিয়া কি রূপ নেবে, তা সময়ই বলে দিবে।