ঢাকা ০৭:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ মার্চ ২০২৫, ২১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ওআইসির মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নিতে জেদ্দায় যাচ্ছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা শিক্ষকদের জন্য বড় ঘোষণা, বাড়ছে ভাতা: বিদায়ী উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদের গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য জাতিসংঘে বাংলাদেশে জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে প্রতিবেদন উপস্থাপন আজ দুর্নীতি দমন কমিশনের অভিযান: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ২৩ কোটি টাকার প্রকল্পে গায়েব নথি ও দুর্নীতির খোঁজ ওয়ানডে থেকে অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ক্রিকেটার স্টিভেন স্মিথের অবসরের ঘোষণা, খেলা চালিয়ে যাবেন টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে শেখ হাসিনার মেয়ে পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ১৪ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ ঈদযাত্রায় নৌপথে দুর্ঘটনা রোধ করতে ২ সপ্তাহ বাল্কহেড চলাচল বন্ধের দাবি ট্রাম্পের প্রথম পার্লামেন্ট ভাষণে প্রধান আলোচ্য বিষয়সমূহ যা যা ছিল, আমেরিকা ফাস্ট নীতির জোরালো প্রতিধ্বনি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিরক্ষা বাজেট বৃদ্ধি করছে চীন, ৫ শতাংশ উন্নতির আশা বক্স অফিসে রাশ্মিকা মান্দানার রাজত্ব: শাহরুখকেও পেছনে ফেললেন দক্ষিণী কুইন!

ঢাকায় সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূতের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শন, গাজীপুরের ৫ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

ঢাকা: সাবেক দুই মার্কিন রাষ্ট্রদূত, উইলিয়াম বি মাইলাম ও জন ড্যানিলোভিজ, বুধবার (৫ মার্চ) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শন করেছেন। সকাল ১০টার দিকে তারা ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে উপস্থিত হন। তাদের এই পরিদর্শন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিষয়ের আলোচনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

এদিকে, গাজীপুরের কোনাবাড়ী থানায় ২০১৯ সালের মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক ওসি কে এম আশরাফ উদ্দিন, কনস্টেবল আকরাম, শফিকুল ইসলাম, কনস্টেবল ফাহিম হাসান, এবং কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান। ট্রাইব্যুনালে তাদের হাজির করানোর সময় মামলা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

এই মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনা ঘটেছিল ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট, যখন কোনাবাড়ী থানার পাশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অত্যন্ত উশৃঙ্খলভাবে আচরণ করছিল। ওইদিন গাজীপুরের এক শিক্ষার্থী হৃদয়কে কিছু পুলিশ সদস্য রাস্তার পাশে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে মারধর করে। তাকে চড়, থাপ্পড়, কিল, এবং ঘুষি মেরে গুরুতর আহত করা হয়। এক পর্যায়ে কনস্টেবল আকরাম এসে হৃদয়ের পিঠে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করেন।

এই ভয়াবহ ঘটনাটি সেসময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা দেশব্যাপী ক্ষোভের সৃষ্টি করে। ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন জানিয়েছে, হৃদয় হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত ৫ পুলিশ কর্মকর্তা।

তারা জানিয়েছেন, এই ঘটনাটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন এবং মানবিক মর্যাদার চরম লঙ্ঘন, যা বিচার প্রক্রিয়ায় গুরুত্ব পাবে। এসব ঘটনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থাহীনতা তৈরি করেছে, এবং যথাযথ তদন্ত ও বিচার দাবি করছে সুশীল সমাজ।

এই ঘটনায় সবার দৃষ্টি এখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ওপর, এবং তার বিচার প্রক্রিয়া কি রূপ নেবে, তা সময়ই বলে দিবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৩:২৮:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫
৫০৯ বার পড়া হয়েছে

ঢাকায় সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূতের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শন, গাজীপুরের ৫ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ

আপডেট সময় ০৩:২৮:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

 

ঢাকা: সাবেক দুই মার্কিন রাষ্ট্রদূত, উইলিয়াম বি মাইলাম ও জন ড্যানিলোভিজ, বুধবার (৫ মার্চ) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শন করেছেন। সকাল ১০টার দিকে তারা ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে উপস্থিত হন। তাদের এই পরিদর্শন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিষয়ের আলোচনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

এদিকে, গাজীপুরের কোনাবাড়ী থানায় ২০১৯ সালের মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক ওসি কে এম আশরাফ উদ্দিন, কনস্টেবল আকরাম, শফিকুল ইসলাম, কনস্টেবল ফাহিম হাসান, এবং কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান। ট্রাইব্যুনালে তাদের হাজির করানোর সময় মামলা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

এই মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনা ঘটেছিল ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট, যখন কোনাবাড়ী থানার পাশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অত্যন্ত উশৃঙ্খলভাবে আচরণ করছিল। ওইদিন গাজীপুরের এক শিক্ষার্থী হৃদয়কে কিছু পুলিশ সদস্য রাস্তার পাশে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে মারধর করে। তাকে চড়, থাপ্পড়, কিল, এবং ঘুষি মেরে গুরুতর আহত করা হয়। এক পর্যায়ে কনস্টেবল আকরাম এসে হৃদয়ের পিঠে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করেন।

এই ভয়াবহ ঘটনাটি সেসময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা দেশব্যাপী ক্ষোভের সৃষ্টি করে। ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন জানিয়েছে, হৃদয় হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত ৫ পুলিশ কর্মকর্তা।

তারা জানিয়েছেন, এই ঘটনাটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন এবং মানবিক মর্যাদার চরম লঙ্ঘন, যা বিচার প্রক্রিয়ায় গুরুত্ব পাবে। এসব ঘটনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থাহীনতা তৈরি করেছে, এবং যথাযথ তদন্ত ও বিচার দাবি করছে সুশীল সমাজ।

এই ঘটনায় সবার দৃষ্টি এখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ওপর, এবং তার বিচার প্রক্রিয়া কি রূপ নেবে, তা সময়ই বলে দিবে।