ঢাকা ০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বড়াইগ্রামে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা: র‍্যাবের অভিযানে ঘাতক চালক গ্রেপ্তার ইসলামি ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান প্রফেসর জুবায়দুর রহমান টেকনাফে ৩ লাখ টাকার মাছসহ অবৈধ ট্রলিং বোট জব্দ, জরিমানা ৬.৬৩ লাখ টাকা বঙ্গপসাগর থেকে ১৮ জন অসহায় জেলেকে উদ্ধার করেছে নৌবাহিনী তিব্বতে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্যোগে চীন, উদ্বিগ্ন ভাটির দেশগুলো গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য ইসির নানা শর্ত গুলিস্তানে ককটেলসহ গ্রেপ্তার ২ নিজেরটাকে এস্টাবলিশ করার চেষ্টা করায় রাজনীতি : মীর্জ ফখরুল প্রফেসর আবুল বারকাতের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর ফিলিস্তিনকে সদস্যপদ দেয়ায় ইউনেসকো থেকে নিজেদের সড়িয়ে নিলো আমেরিকা

সীমান্ত হত্যা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি বিজিবি প্রধানের

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:৩৪:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫
  • / 39

ছবি সংগৃহীত

 

ভারতীয় সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার ঘটনা ঘটলে, সেই দেশের অনুপ্রবেশকারীদের আইনগতভাবে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া আরও কঠিন হবে বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

শনিবার সকালে কক্সবাজারের উখিয়ায় বিজিবির নবগঠিত ব্যাটালিয়ন উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই সতর্কবার্তা দেন।

বিজিবি প্রধান বলেন, “সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা আমাদের প্রধান উদ্বেগের বিষয়। কোনো কারণেই এই হত্যাকাণ্ড মেনে নেওয়া যায় না। এটি সমস্যার সমাধান নয়, বরং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে জটিল করে তোলে। যদি সীমান্ত হত্যা অব্যাহত থাকে, তাহলে আমরা আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।”

তিনি জানান, সীমান্ত হত্যা নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান সবসময়ই স্পষ্ট। এসব ঘটনা মূলত ভারতের অভ্যন্তরে ঘটে এবং শূন্যরেখায় অনুপ্রবেশ রোধে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং অযথা প্রাণহানি ঠেকাতে উভয় দেশের মধ্যে কার্যকর সমন্বয়ের ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, “আমরা প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কড়া প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। ভারতীয় কর্তৃপক্ষকেও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে, যাতে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আর না ঘটে।”

সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নজরদারি আরও জোরদার করা হবে বলে জানান বিজিবি প্রধান। তিনি সীমান্ত এলাকার সাধারণ মানুষকেও সতর্ক থাকার আহ্বান জানান, যাতে কেউ ভুল করে সীমান্ত অতিক্রম না করে।

সীমান্তে প্রাণহানি রোধে বাংলাদেশ সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি বিজিবির কঠোর নজরদারি যে আরও বাড়বে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন বাহিনী প্রধান। এখন দেখার বিষয়, এই উদ্যোগ কতটা কার্যকর হয় এবং ভারত সরকার সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদারে কী ভূমিকা রাখে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সীমান্ত হত্যা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি বিজিবি প্রধানের

আপডেট সময় ০৬:৩৪:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫

 

ভারতীয় সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার ঘটনা ঘটলে, সেই দেশের অনুপ্রবেশকারীদের আইনগতভাবে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া আরও কঠিন হবে বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

শনিবার সকালে কক্সবাজারের উখিয়ায় বিজিবির নবগঠিত ব্যাটালিয়ন উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই সতর্কবার্তা দেন।

বিজিবি প্রধান বলেন, “সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা আমাদের প্রধান উদ্বেগের বিষয়। কোনো কারণেই এই হত্যাকাণ্ড মেনে নেওয়া যায় না। এটি সমস্যার সমাধান নয়, বরং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে জটিল করে তোলে। যদি সীমান্ত হত্যা অব্যাহত থাকে, তাহলে আমরা আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।”

তিনি জানান, সীমান্ত হত্যা নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান সবসময়ই স্পষ্ট। এসব ঘটনা মূলত ভারতের অভ্যন্তরে ঘটে এবং শূন্যরেখায় অনুপ্রবেশ রোধে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং অযথা প্রাণহানি ঠেকাতে উভয় দেশের মধ্যে কার্যকর সমন্বয়ের ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, “আমরা প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কড়া প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। ভারতীয় কর্তৃপক্ষকেও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে, যাতে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আর না ঘটে।”

সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নজরদারি আরও জোরদার করা হবে বলে জানান বিজিবি প্রধান। তিনি সীমান্ত এলাকার সাধারণ মানুষকেও সতর্ক থাকার আহ্বান জানান, যাতে কেউ ভুল করে সীমান্ত অতিক্রম না করে।

সীমান্তে প্রাণহানি রোধে বাংলাদেশ সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি বিজিবির কঠোর নজরদারি যে আরও বাড়বে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন বাহিনী প্রধান। এখন দেখার বিষয়, এই উদ্যোগ কতটা কার্যকর হয় এবং ভারত সরকার সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদারে কী ভূমিকা রাখে।