কমলগঞ্জে হলুদ ফুলকপির চাষে নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি, চাষিরা উপভোগ করছেন লাভের সাফল্য
বাজারে সাদা ফুলকপির চেয়ে পুষ্টিকর এবং লাভজনক বিকল্প হিসেবে উঠেছে হলুদ ফুলকপির নাম। আর এই চাষে সফলতা অর্জন করেছেন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ কুমড়াকাপন এলাকার তিন নারীকৃষক। ফাতেমা বেগম, নাজিরা বেগম, ও রেহেনা বেগম, যারা প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে শীতকালীন এই সবজি চাষে হাত দেন, তারা ইতোমধ্যে পেয়েছেন আশাব্যঞ্জক ফলাফল।
ধলাই নদীর তীরে এই এলাকায় হলুদ ফুলকপি চাষে কৃষকরা পেয়েছেন প্রশংসনীয় লাভ। পুষ্টিকর এই সবজির মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, বিটা ক্যারোটিন, এবং ক্যানসার প্রতিরোধী অ্যান্থোসায়ানিন যা একে শুধু স্বাস্থ্যসম্মত নয়, বাজারে এর মূল্যও অনেক বেশি। সাদা ফুলকপির তুলনায় হলুদ ফুলকপি প্রায় দ্বিগুণ দামেও বিক্রি হয়।
কমলগঞ্জের এই কৃষকরা ৩৫ শতাংশ জমিতে হলুদ ফুলকপি চাষ করেছেন, যার মোট খরচ হয়েছে প্রায় ২৪-২৫ হাজার টাকা। ইতোমধ্যে তারা ৫০ হাজার টাকার ফুলকপি বিক্রি করেছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতকালীন সবজির দাম কম থাকলেও, আগাম চাষাবাদ করলে এই লাভ আরও বাড়ানো সম্ভব।
হীড বাংলাদেশের কৃষি কর্মকর্তা সোহেল সিকদার জানান, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন এর আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় কৃষকরা পেয়েছেন রঙিন ফুলকপির চারা, জৈব সার, বালাইনাশক, এবং প্রশিক্ষণ।
কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার জয়ন্ত কুমার রায় বলেন, ‘রঙিন ফুলকপি দেখতে যেমন আকর্ষণীয়, তেমনই এটি পুষ্টিতে ভরপুর। এটি কৃষিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে।’