রোজা শুরুর আগেই ছোলার সরবরাহে স্বস্তি, দাম কমার আশা
রোজা শুরু হতে আর মাত্র ৯ দিন বাকি, এর মধ্যেই ছোলার সরবরাহ নিয়ে থাকা দুশ্চিন্তা দূর হয়ে গেছে। বাজারে প্রচুর পরিমাণে ছোলা আমদানি হওয়ায় বর্তমানে সরবরাহের কোনো সংকট নেই। তবে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় গত বছরের তুলনায় এবার কিছুটা বাড়তি দামে ছোলা কিনতে হবে।
ট্যারিফ কমিশনের তথ্যমতে, রোজায় ছোলার চাহিদা ১ লাখ টন। তবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআরের) তথ্য অনুযায়ী, গত আড়াই মাসে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার টন ছোলা দেশে এসেছে। গত বছরের একই সময়ে আমদানি ছিল ৮৯ হাজার টন, অর্থাৎ এ বছর আমদানি বেড়েছে প্রায় ৮০ শতাংশ। এদিকে, আরও ছোলা আমদানির প্রক্রিয়া চলছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, রমজান ছাড়া অন্যান্য সময়ে দেশে মাসে গড়ে ১০ হাজার টন ছোলার চাহিদা থাকে। ডিসেম্বরে শুরু হওয়া এ সময়ের মোট চাহিদা ছিল ৩০ হাজার টন। বাকি ১ লাখ ৩০ হাজার টন ছোলা আমদানির পর দেশে সরবরাহের কোনো ঘাটতি নেই।
ব্যবসায়ীদের মতে, বাংলাদেশ ব্যাংক গত জানুয়ারিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় আটটি খাদ্যপণ্য including ছোলা, ডাল ও মটর বাকিতে আমদানির সুযোগ দেয়, যার কারণে আমদানির আগ্রহ বেড়েছে। চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন বলেন, রোজার আগেই আরও ছোলার চালান দেশে পৌঁছাবে, তাই সরবরাহ নিয়ে কোনো চিন্তা নেই।
অস্ট্রেলিয়া থেকে ৯৬ শতাংশ ছোলা আমদানি হয়েছে, এবং প্রতি কেজি ছোলা গড়ে ৭২ সেন্টে আমদানি করা হচ্ছে। তবে ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে আমদানির খরচ কিছুটা বেড়েছে, যার প্রভাব পড়েছে বিক্রয়মূল্যেও। বর্তমানে প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৯২ থেকে ১০৫ টাকায়, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৮০ থেকে ৯৬ টাকা।