ঢাকা ১০:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প বেলুন, রশি আর জেদ, এই তিন দিয়েই ডুবন্ত যুদ্ধজাহাজ তুলল উত্তর কোরিয়া 🕋 পবিত্র হজ আজ পুলিশের জন্য কেনা হচ্ছে ২০০ গাড়ি

কুয়েটে উত্তাল বিক্ষোভ: ৮ ভবনে তালা দিল শিক্ষার্থীরা, একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:৫৫:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 59

ছবি সংগৃহীত

 

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) আবারও বিক্ষোভে উত্তাল। হামলার বিচারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে আন্দোলনে নামে। তাদের ছয় দফা দাবি মানা না হওয়ায় সাতটি একাডেমিক ভবন ও একটি প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয় তারা।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে শিক্ষার্থীরা উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ছাত্র কল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগের দাবি তোলে। সন্ধ্যায় তারা এই তিনজনকে বর্জনের ঘোষণা দিয়ে জানায়, এখন থেকে এ পদগুলো খালি হিসেবে গণ্য করা হবে। নতুন নিয়োগের জন্য শিক্ষার্থীরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে লিখিত আবেদন করবে।

গত মঙ্গলবার ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে সংঘর্ষ বাধে। এতে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। সাধারণ শিক্ষার্থীরা হামলার জন্য ছাত্রদলকে দায়ী করলেও, খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা বরং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে নিজেদের কর্মীরা হামলার শিকার হয়েছে বলে দাবি করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সভায় পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা, বহিরাগতদের বিরুদ্ধে মামলা, আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার গ্রহণ এবং ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার করার সিদ্ধান্ত হয়। কুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ শরিফুল আলম এসব সিদ্ধান্তের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে এবং হলে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্যদিকে, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি নর্থ মো. নাজমুল হাসান রাজীব জানিয়েছেন, এখনো কোনো মামলা হয়নি, তবে ক্যাম্পাসের গেটে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যকার উত্তেজনা কখন শান্ত হবে, তা নিয়ে উৎকণ্ঠা বাড়ছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

কুয়েটে উত্তাল বিক্ষোভ: ৮ ভবনে তালা দিল শিক্ষার্থীরা, একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত

আপডেট সময় ০৬:৫৫:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) আবারও বিক্ষোভে উত্তাল। হামলার বিচারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে আন্দোলনে নামে। তাদের ছয় দফা দাবি মানা না হওয়ায় সাতটি একাডেমিক ভবন ও একটি প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয় তারা।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে শিক্ষার্থীরা উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ছাত্র কল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগের দাবি তোলে। সন্ধ্যায় তারা এই তিনজনকে বর্জনের ঘোষণা দিয়ে জানায়, এখন থেকে এ পদগুলো খালি হিসেবে গণ্য করা হবে। নতুন নিয়োগের জন্য শিক্ষার্থীরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে লিখিত আবেদন করবে।

গত মঙ্গলবার ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে সংঘর্ষ বাধে। এতে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। সাধারণ শিক্ষার্থীরা হামলার জন্য ছাত্রদলকে দায়ী করলেও, খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা বরং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে নিজেদের কর্মীরা হামলার শিকার হয়েছে বলে দাবি করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সভায় পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা, বহিরাগতদের বিরুদ্ধে মামলা, আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার গ্রহণ এবং ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার করার সিদ্ধান্ত হয়। কুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ শরিফুল আলম এসব সিদ্ধান্তের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে এবং হলে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্যদিকে, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি নর্থ মো. নাজমুল হাসান রাজীব জানিয়েছেন, এখনো কোনো মামলা হয়নি, তবে ক্যাম্পাসের গেটে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যকার উত্তেজনা কখন শান্ত হবে, তা নিয়ে উৎকণ্ঠা বাড়ছে।