ঢাকা ০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব: ১৫০ মিটার উচ্চতা হারাল এভারেস্ট! চরমোনাই মাহফিলে ইসলামী ঐক্যের আহ্বান, আগামী নির্বাচন নিয়ে কৌশল নির্ধারণ শের-ই-বাংলা মেডিকেল শাটডাউনের চতুর্থ দিন: সড়ক অবরোধে শিক্ষার্থীদের অনড় অবস্থান আমরা এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে আরও শক্তিশালী: ড. ইউনূস একুশে পদক ২০২৫: ১৮ গুণীজন ও এক দলকে সম্মাননা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা রমজানে পণ্যের সংকট নেই, মজুদকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা: অর্থ উপদেষ্টা শেয়ারবাজারে উত্থান: ডিএসই ও সিএসইতে সূচকের ইতিবাচক ধারা তীব্র গরম থেকে বাঁচতে কাজে দেবে যে ১০টি উপায় অ্যারিজোনায় মাঝ আকাশে আবারও উড়োজাহাজের সংঘর্ষ, নিহত ২ রোজা শুরুর আগেই ছোলার সরবরাহে স্বস্তি, দাম কমার আশা

শরীয়তপুরে পেঁয়াজের দরপতনে দিশেহারা কৃষক, বাড়ছে লোকসানের বোঝা

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

শরীয়তপুরের কৃষকরা এই বছর পেয়াজ চাষে আশাবাদী ছিলেন, তবে বাজারের দরপতন এবং উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি তাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মৌসুমে বৃষ্টিপাতের কারণে অতিরিক্ত খরচে বীজ কিনে চাষ করা পেয়াজের ফলন ভালো হলেও বাজারে তার যথাযথ দাম পাচ্ছেন না কৃষকেরা। ফলস্বরূপ, তাঁদের মধ্যে মোটা অঙ্কের লোকসান হচ্ছে, এবং অনেকে পেঁয়াজ তুলতে ইতোমধ্যেই বিরত রয়েছেন।

এ বছর, শরীয়তপুর জেলার জাজিরা এবং নড়িয়া উপজেলার কৃষকরা পেয়াজ চাষে ব্যাপক পরিশ্রম করেছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ৪,১২০ হেক্টর জমিতে পেয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও বাস্তবে চাষ হয়েছে ৪,২৮০ হেক্টর জমিতে। কিন্তু উৎপাদন খরচ এত বেশি যে, অনেক কৃষক বিক্রির পরও লাভের মুখ দেখছেন না।

নড়িয়া উপজেলার কৃষক মজিবর শেখ বলেন, “বীজ, সার, কীটনাশক, সেচসহ মোট খরচ ছিল প্রায় ৮০ হাজার টাকা, তবে বাজারে তা বিক্রি করতে পারছি ৪৫ হাজার টাকায়, ফলে বড় ক্ষতি হচ্ছে।” অন্যদিকে, রাজ্জাক পাইক নামের একজন কৃষক জানান, “এভাবে চলতে থাকলে কৃষকরা আরও বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হবে।”

কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজার পরিস্থিতির পরিবর্তন না হলে কৃষকরা এই বছর কোনো লাভের আশা করতে পারবেন না। তবে তাঁরা আশা করছেন, মৌসুমে পেয়াজ আমদানি বন্ধ হলে দাম কিছুটা বাড়তে পারে, যা কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে সাহায্য করবে।

এছাড়া, স্থানীয় কৃষকরা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন যেন অন্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি না করা হয়, যাতে স্থানীয় চাষিরা লাভবান হতে পারেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৪:৪২:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৫১৭ বার পড়া হয়েছে

শরীয়তপুরে পেঁয়াজের দরপতনে দিশেহারা কৃষক, বাড়ছে লোকসানের বোঝা

আপডেট সময় ০৪:৪২:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

শরীয়তপুরের কৃষকরা এই বছর পেয়াজ চাষে আশাবাদী ছিলেন, তবে বাজারের দরপতন এবং উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি তাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মৌসুমে বৃষ্টিপাতের কারণে অতিরিক্ত খরচে বীজ কিনে চাষ করা পেয়াজের ফলন ভালো হলেও বাজারে তার যথাযথ দাম পাচ্ছেন না কৃষকেরা। ফলস্বরূপ, তাঁদের মধ্যে মোটা অঙ্কের লোকসান হচ্ছে, এবং অনেকে পেঁয়াজ তুলতে ইতোমধ্যেই বিরত রয়েছেন।

এ বছর, শরীয়তপুর জেলার জাজিরা এবং নড়িয়া উপজেলার কৃষকরা পেয়াজ চাষে ব্যাপক পরিশ্রম করেছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ৪,১২০ হেক্টর জমিতে পেয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও বাস্তবে চাষ হয়েছে ৪,২৮০ হেক্টর জমিতে। কিন্তু উৎপাদন খরচ এত বেশি যে, অনেক কৃষক বিক্রির পরও লাভের মুখ দেখছেন না।

নড়িয়া উপজেলার কৃষক মজিবর শেখ বলেন, “বীজ, সার, কীটনাশক, সেচসহ মোট খরচ ছিল প্রায় ৮০ হাজার টাকা, তবে বাজারে তা বিক্রি করতে পারছি ৪৫ হাজার টাকায়, ফলে বড় ক্ষতি হচ্ছে।” অন্যদিকে, রাজ্জাক পাইক নামের একজন কৃষক জানান, “এভাবে চলতে থাকলে কৃষকরা আরও বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হবে।”

কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজার পরিস্থিতির পরিবর্তন না হলে কৃষকরা এই বছর কোনো লাভের আশা করতে পারবেন না। তবে তাঁরা আশা করছেন, মৌসুমে পেয়াজ আমদানি বন্ধ হলে দাম কিছুটা বাড়তে পারে, যা কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে সাহায্য করবে।

এছাড়া, স্থানীয় কৃষকরা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন যেন অন্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি না করা হয়, যাতে স্থানীয় চাষিরা লাভবান হতে পারেন।