ঢাকা ০৮:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কেমিক্যাল বিস্ফোরণে দগ্ধ ৩ শ্রমিক, ভর্তি বার্ন ইনস্টিটিউটে ভারতের কোচ হওয়ার ইচ্ছা জানালেন জাভি হার্নান্দেজ ভক্তদের জন্য উপহার, আসছে মাইকেল জ্যাকসনের বায়োপিক “মিরপুরের উইকেট নিয়ে লিটনের ভিন্ন সুর” আগামী আগস্ট থেকে সিরিয়ায় গ্যাস সরবরাহ করবে আজারবাইজান, তুরস্ক হবে ট্রানজিট পথ তুরস্কের ইউরোফাইটার চুক্তিতে অস্বস্তিতে ইসরায়েল: “গেমচেঞ্জার না হলেও মাথাব্যথা” ওমান সাগরে উত্তেজনা: ইরানি হেলিকপ্টারের হুঁশিয়ারিতে পথ বদলালো মার্কিন যুদ্ধজাহাজ বাগেরহাটে লোকালয়ে ঢুকে পড়া বিশাল অজগর উদ্ধার গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির ঘোষণা দিলেন ম্যাক্রোঁ থানার ভেতরে ছুরিকাঘাত, গাইবান্ধার এএসআই গুরুতর আহত”

শরীয়তপুরে পেঁয়াজের দরপতনে দিশেহারা কৃষক, বাড়ছে লোকসানের বোঝা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৪২:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 57

ছবি সংগৃহীত

 

শরীয়তপুরের কৃষকরা এই বছর পেয়াজ চাষে আশাবাদী ছিলেন, তবে বাজারের দরপতন এবং উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি তাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মৌসুমে বৃষ্টিপাতের কারণে অতিরিক্ত খরচে বীজ কিনে চাষ করা পেয়াজের ফলন ভালো হলেও বাজারে তার যথাযথ দাম পাচ্ছেন না কৃষকেরা। ফলস্বরূপ, তাঁদের মধ্যে মোটা অঙ্কের লোকসান হচ্ছে, এবং অনেকে পেঁয়াজ তুলতে ইতোমধ্যেই বিরত রয়েছেন।

এ বছর, শরীয়তপুর জেলার জাজিরা এবং নড়িয়া উপজেলার কৃষকরা পেয়াজ চাষে ব্যাপক পরিশ্রম করেছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ৪,১২০ হেক্টর জমিতে পেয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও বাস্তবে চাষ হয়েছে ৪,২৮০ হেক্টর জমিতে। কিন্তু উৎপাদন খরচ এত বেশি যে, অনেক কৃষক বিক্রির পরও লাভের মুখ দেখছেন না।

নড়িয়া উপজেলার কৃষক মজিবর শেখ বলেন, “বীজ, সার, কীটনাশক, সেচসহ মোট খরচ ছিল প্রায় ৮০ হাজার টাকা, তবে বাজারে তা বিক্রি করতে পারছি ৪৫ হাজার টাকায়, ফলে বড় ক্ষতি হচ্ছে।” অন্যদিকে, রাজ্জাক পাইক নামের একজন কৃষক জানান, “এভাবে চলতে থাকলে কৃষকরা আরও বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হবে।”

কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজার পরিস্থিতির পরিবর্তন না হলে কৃষকরা এই বছর কোনো লাভের আশা করতে পারবেন না। তবে তাঁরা আশা করছেন, মৌসুমে পেয়াজ আমদানি বন্ধ হলে দাম কিছুটা বাড়তে পারে, যা কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে সাহায্য করবে।

এছাড়া, স্থানীয় কৃষকরা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন যেন অন্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি না করা হয়, যাতে স্থানীয় চাষিরা লাভবান হতে পারেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

শরীয়তপুরে পেঁয়াজের দরপতনে দিশেহারা কৃষক, বাড়ছে লোকসানের বোঝা

আপডেট সময় ০৪:৪২:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

শরীয়তপুরের কৃষকরা এই বছর পেয়াজ চাষে আশাবাদী ছিলেন, তবে বাজারের দরপতন এবং উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি তাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মৌসুমে বৃষ্টিপাতের কারণে অতিরিক্ত খরচে বীজ কিনে চাষ করা পেয়াজের ফলন ভালো হলেও বাজারে তার যথাযথ দাম পাচ্ছেন না কৃষকেরা। ফলস্বরূপ, তাঁদের মধ্যে মোটা অঙ্কের লোকসান হচ্ছে, এবং অনেকে পেঁয়াজ তুলতে ইতোমধ্যেই বিরত রয়েছেন।

এ বছর, শরীয়তপুর জেলার জাজিরা এবং নড়িয়া উপজেলার কৃষকরা পেয়াজ চাষে ব্যাপক পরিশ্রম করেছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ৪,১২০ হেক্টর জমিতে পেয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও বাস্তবে চাষ হয়েছে ৪,২৮০ হেক্টর জমিতে। কিন্তু উৎপাদন খরচ এত বেশি যে, অনেক কৃষক বিক্রির পরও লাভের মুখ দেখছেন না।

নড়িয়া উপজেলার কৃষক মজিবর শেখ বলেন, “বীজ, সার, কীটনাশক, সেচসহ মোট খরচ ছিল প্রায় ৮০ হাজার টাকা, তবে বাজারে তা বিক্রি করতে পারছি ৪৫ হাজার টাকায়, ফলে বড় ক্ষতি হচ্ছে।” অন্যদিকে, রাজ্জাক পাইক নামের একজন কৃষক জানান, “এভাবে চলতে থাকলে কৃষকরা আরও বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হবে।”

কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজার পরিস্থিতির পরিবর্তন না হলে কৃষকরা এই বছর কোনো লাভের আশা করতে পারবেন না। তবে তাঁরা আশা করছেন, মৌসুমে পেয়াজ আমদানি বন্ধ হলে দাম কিছুটা বাড়তে পারে, যা কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে সাহায্য করবে।

এছাড়া, স্থানীয় কৃষকরা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন যেন অন্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি না করা হয়, যাতে স্থানীয় চাষিরা লাভবান হতে পারেন।