০৭:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক। ফিফার শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হলেন ট্রাম্প ব্রাজিলে অবতরণের পর আগুনে পুড়ল এয়ারবাস এ-৩২০, অল্পের জন্য রক্ষা পেল যাত্রীরা

শরীয়তপুরে পেঁয়াজের দরপতনে দিশেহারা কৃষক, বাড়ছে লোকসানের বোঝা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৪২:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 95

ছবি সংগৃহীত

 

শরীয়তপুরের কৃষকরা এই বছর পেয়াজ চাষে আশাবাদী ছিলেন, তবে বাজারের দরপতন এবং উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি তাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মৌসুমে বৃষ্টিপাতের কারণে অতিরিক্ত খরচে বীজ কিনে চাষ করা পেয়াজের ফলন ভালো হলেও বাজারে তার যথাযথ দাম পাচ্ছেন না কৃষকেরা। ফলস্বরূপ, তাঁদের মধ্যে মোটা অঙ্কের লোকসান হচ্ছে, এবং অনেকে পেঁয়াজ তুলতে ইতোমধ্যেই বিরত রয়েছেন।

এ বছর, শরীয়তপুর জেলার জাজিরা এবং নড়িয়া উপজেলার কৃষকরা পেয়াজ চাষে ব্যাপক পরিশ্রম করেছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ৪,১২০ হেক্টর জমিতে পেয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও বাস্তবে চাষ হয়েছে ৪,২৮০ হেক্টর জমিতে। কিন্তু উৎপাদন খরচ এত বেশি যে, অনেক কৃষক বিক্রির পরও লাভের মুখ দেখছেন না।

বিজ্ঞাপন

নড়িয়া উপজেলার কৃষক মজিবর শেখ বলেন, “বীজ, সার, কীটনাশক, সেচসহ মোট খরচ ছিল প্রায় ৮০ হাজার টাকা, তবে বাজারে তা বিক্রি করতে পারছি ৪৫ হাজার টাকায়, ফলে বড় ক্ষতি হচ্ছে।” অন্যদিকে, রাজ্জাক পাইক নামের একজন কৃষক জানান, “এভাবে চলতে থাকলে কৃষকরা আরও বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হবে।”

কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজার পরিস্থিতির পরিবর্তন না হলে কৃষকরা এই বছর কোনো লাভের আশা করতে পারবেন না। তবে তাঁরা আশা করছেন, মৌসুমে পেয়াজ আমদানি বন্ধ হলে দাম কিছুটা বাড়তে পারে, যা কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে সাহায্য করবে।

এছাড়া, স্থানীয় কৃষকরা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন যেন অন্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি না করা হয়, যাতে স্থানীয় চাষিরা লাভবান হতে পারেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

শরীয়তপুরে পেঁয়াজের দরপতনে দিশেহারা কৃষক, বাড়ছে লোকসানের বোঝা

আপডেট সময় ০৪:৪২:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

শরীয়তপুরের কৃষকরা এই বছর পেয়াজ চাষে আশাবাদী ছিলেন, তবে বাজারের দরপতন এবং উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি তাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মৌসুমে বৃষ্টিপাতের কারণে অতিরিক্ত খরচে বীজ কিনে চাষ করা পেয়াজের ফলন ভালো হলেও বাজারে তার যথাযথ দাম পাচ্ছেন না কৃষকেরা। ফলস্বরূপ, তাঁদের মধ্যে মোটা অঙ্কের লোকসান হচ্ছে, এবং অনেকে পেঁয়াজ তুলতে ইতোমধ্যেই বিরত রয়েছেন।

এ বছর, শরীয়তপুর জেলার জাজিরা এবং নড়িয়া উপজেলার কৃষকরা পেয়াজ চাষে ব্যাপক পরিশ্রম করেছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ৪,১২০ হেক্টর জমিতে পেয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও বাস্তবে চাষ হয়েছে ৪,২৮০ হেক্টর জমিতে। কিন্তু উৎপাদন খরচ এত বেশি যে, অনেক কৃষক বিক্রির পরও লাভের মুখ দেখছেন না।

বিজ্ঞাপন

নড়িয়া উপজেলার কৃষক মজিবর শেখ বলেন, “বীজ, সার, কীটনাশক, সেচসহ মোট খরচ ছিল প্রায় ৮০ হাজার টাকা, তবে বাজারে তা বিক্রি করতে পারছি ৪৫ হাজার টাকায়, ফলে বড় ক্ষতি হচ্ছে।” অন্যদিকে, রাজ্জাক পাইক নামের একজন কৃষক জানান, “এভাবে চলতে থাকলে কৃষকরা আরও বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হবে।”

কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজার পরিস্থিতির পরিবর্তন না হলে কৃষকরা এই বছর কোনো লাভের আশা করতে পারবেন না। তবে তাঁরা আশা করছেন, মৌসুমে পেয়াজ আমদানি বন্ধ হলে দাম কিছুটা বাড়তে পারে, যা কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে সাহায্য করবে।

এছাড়া, স্থানীয় কৃষকরা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন যেন অন্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি না করা হয়, যাতে স্থানীয় চাষিরা লাভবান হতে পারেন।