ঢাকা ০৮:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামান ও তার স্ত্রীর স্থাবর সম্পদ জব্দ, ৫৭টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারি দপ্তরে পার্টটাইম চাকরির উদ্যোগ ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত রাজনৈতিক কর্মসূচিতে শান্তি বজায় থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নোয়াখালীতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে যাওয়া এক বিধবাকে গণধর্ষণ লক্ষ্মীপুরে ছেলের হাতে বৃদ্ধ পিতা খুন, ছেলে আটক পাকিস্তান-চীন উদ্যোগে নতুন আঞ্চলিক জোট গঠনের ইঙ্গিত, রয়েছে বাংলাদেশও শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার যথাসময়ে শেষ হবে: চিফ প্রসিকিউটর এখন সবাই সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করুন, আন্দোলন যা হওয়ার হয়েছে: অর্থ উপদেষ্টা তুরস্কে ভয়াবহ দাবানলের তাণ্ডব, হুমকির মুখে ঘরবাড়ি-শিল্পাঞ্চল নতুন নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায় চীন: মির্জা ফখরুল

ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক: অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব ও চ্যালেঞ্জ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 57

ছবি: সংগৃহীত

 

আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যেখানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করবেন। ইতোমধ্যে ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা পড়েছে এবং তা অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে।

রাজনৈতিক মহল এবং বিশেষজ্ঞরা এসব সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে মতামত দিচ্ছেন। কেউ এটিকে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ সংশয় প্রকাশ করছেন। তবে রাজনৈতিক দলগুলোও সংস্কার নিয়ে অনানুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে, যা এই বৈঠকের গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অন্যতম চ্যালেঞ্জ হলো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতা। অতীতে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিচার বিভাগের ওপর নির্বাহী হস্তক্ষেপ, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করা এবং সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের একীভূত হওয়া এসব সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করাই আজ সময়ের দাবি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার বিলোপের পর থেকে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করাও বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিএনপিসহ কিছু দল দাবি করছে, তারা বহু আগেই সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছিল এবং সরকারের প্রস্তাবের সঙ্গে তাতে মৌলিক পার্থক্য নেই। তাদের মতে, অন্তর্বর্তী সরকার মৌলিক পরিবর্তন আনতে পারে না, বরং সীমিত সংস্কারের পরেই নির্বাচন দেওয়া উচিত।

প্রশ্ন হলো, কীভাবে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করা সম্ভব? অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব হলো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে এমন একটি রূপরেখা তৈরি করা, যা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। সরকার ইতোমধ্যে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতির ইঙ্গিত দিয়েছে, কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোকেও নিজেদের মধ্যে সমঝোতায় পৌঁছাতে হবে, যাতে এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ না হয়।

আগের সংলাপগুলো সংক্ষিপ্ত হওয়ায় রাজনৈতিক দলগুলোর অভিযোগ ছিল যে তারা পর্যাপ্ত মতামত জানাতে পারেনি। এবার সেই ভুল না করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেশকে স্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যেতে পারে এটাই এখন জনগণের প্রত্যাশা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক: অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব ও চ্যালেঞ্জ

আপডেট সময় ১১:০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যেখানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করবেন। ইতোমধ্যে ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা পড়েছে এবং তা অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে।

রাজনৈতিক মহল এবং বিশেষজ্ঞরা এসব সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে মতামত দিচ্ছেন। কেউ এটিকে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ সংশয় প্রকাশ করছেন। তবে রাজনৈতিক দলগুলোও সংস্কার নিয়ে অনানুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে, যা এই বৈঠকের গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অন্যতম চ্যালেঞ্জ হলো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতা। অতীতে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিচার বিভাগের ওপর নির্বাহী হস্তক্ষেপ, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করা এবং সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের একীভূত হওয়া এসব সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করাই আজ সময়ের দাবি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার বিলোপের পর থেকে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করাও বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিএনপিসহ কিছু দল দাবি করছে, তারা বহু আগেই সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছিল এবং সরকারের প্রস্তাবের সঙ্গে তাতে মৌলিক পার্থক্য নেই। তাদের মতে, অন্তর্বর্তী সরকার মৌলিক পরিবর্তন আনতে পারে না, বরং সীমিত সংস্কারের পরেই নির্বাচন দেওয়া উচিত।

প্রশ্ন হলো, কীভাবে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করা সম্ভব? অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব হলো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে এমন একটি রূপরেখা তৈরি করা, যা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। সরকার ইতোমধ্যে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতির ইঙ্গিত দিয়েছে, কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোকেও নিজেদের মধ্যে সমঝোতায় পৌঁছাতে হবে, যাতে এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ না হয়।

আগের সংলাপগুলো সংক্ষিপ্ত হওয়ায় রাজনৈতিক দলগুলোর অভিযোগ ছিল যে তারা পর্যাপ্ত মতামত জানাতে পারেনি। এবার সেই ভুল না করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেশকে স্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যেতে পারে এটাই এখন জনগণের প্রত্যাশা।