ঢাকা ০৭:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শাহজালালে ২ যাত্রীর কাছ থেকে ৩১ মোবাইল জব্দ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনো প্রতিষ্ঠানই আগ্রহ দেখায়নি খেলা সম্প্রচার করতে। যে কারণে সিরিজটি বিটিভিতে দেখানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আফগানিস্তান-তাজিকিস্তান সীমান্তে ৫.৮ মাত্রার ভূমিকম্প চার বিয়ে করে বিপাকে বৃদ্ধ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে থানায় দেখা গুলশানে বন্ধ ব্যাটারি রিকশা, প্রতিবাদে চালকদের মিছিল বিচার ও সংস্কার ছাড়া নির্বাচন জনগণের কাছে অগ্রহণযোগ্য: জামায়াত আমীর সিরিয়ায় সেনা হ্রাস করছে যুক্তরাষ্ট্র, আইএস দমনে কৌশলগত পরিবর্তন বাংলাদেশ–তুরস্ক ঐতিহাসিক বৈঠক: বাংলাদেশকে ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে দেখতে চায় তুরস্ক লবণাক্ত জমিতে বিনা চাষে সূর্যমুখীতে সফলতা, কৃষকদের মুখে হাসি বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের দুই দফা দাবি, ৫ মে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি

স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সংস্কার কমিশনের কাছে প্রস্তাবনা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৩৬:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৫৩৪ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

 

স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের কাছে বিভিন্ন পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন। প্রস্তাবনাগুলো মূলত স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়ন, মেডিকেল শিক্ষার আধুনিকায়ন, বাজেট বৃদ্ধি এবং গবেষণা ও প্রশিক্ষণের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।

স্বাস্থ্যের কর্মকর্তারা সংস্কার কমিশনের কাছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন। তাদের মধ্যে প্রথমেই বাজেট বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যা স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তারা দাবি করেছেন যে, সরকারের স্বাস্থ্য বাজেট বাড়ানোর মাধ্যমে চিকিৎসা সুবিধা ও ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা যেতে পারে।

মানবসম্পদ উন্নয়নের ক্ষেত্রে, কর্মকর্তারা স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা আয়োজনের প্রস্তাব করেছেন। বিশেষায়িত চিকিৎসক ও নার্সিং শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি করে স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত করা সম্ভব হবে।

স্বাস্থ্য অবকাঠামো উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে তারা বলেছেন, হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোর অবকাঠামো উন্নত করতে হবে এবং আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করতে হবে। জরুরি সেবা কেন্দ্রগুলোর সংখ্যা বাড়ানো এবং কার্যকারিতা নিশ্চিত করার ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কর্মকর্তারা বিভিন্ন ক্যাম্পেইন ও কর্মশালার আয়োজনের পরিকল্পনা করেছেন। তারা জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রচারের জন্য মিডিয়ার মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছেন।

টেকসই উন্নয়নের জন্য নতুন নীতিমালা প্রণয়ন এবং আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য মান অনুসরণের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, স্বাস্থ্যসেবায় প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর জন্য ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা ও টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে সেবা প্রদানের সুপারিশ করা হয়েছে।

অবশেষে, রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবা এবং কার্যকরী ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রামের উন্নতির ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে। এই প্রস্তাবগুলো স্বাস্থ্যসেবার সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সংস্কার কমিশনের কাছে প্রস্তাবনা

আপডেট সময় ১২:৩৬:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের কাছে বিভিন্ন পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন। প্রস্তাবনাগুলো মূলত স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়ন, মেডিকেল শিক্ষার আধুনিকায়ন, বাজেট বৃদ্ধি এবং গবেষণা ও প্রশিক্ষণের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।

স্বাস্থ্যের কর্মকর্তারা সংস্কার কমিশনের কাছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন। তাদের মধ্যে প্রথমেই বাজেট বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যা স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তারা দাবি করেছেন যে, সরকারের স্বাস্থ্য বাজেট বাড়ানোর মাধ্যমে চিকিৎসা সুবিধা ও ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা যেতে পারে।

মানবসম্পদ উন্নয়নের ক্ষেত্রে, কর্মকর্তারা স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা আয়োজনের প্রস্তাব করেছেন। বিশেষায়িত চিকিৎসক ও নার্সিং শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি করে স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত করা সম্ভব হবে।

স্বাস্থ্য অবকাঠামো উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে তারা বলেছেন, হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোর অবকাঠামো উন্নত করতে হবে এবং আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করতে হবে। জরুরি সেবা কেন্দ্রগুলোর সংখ্যা বাড়ানো এবং কার্যকারিতা নিশ্চিত করার ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কর্মকর্তারা বিভিন্ন ক্যাম্পেইন ও কর্মশালার আয়োজনের পরিকল্পনা করেছেন। তারা জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রচারের জন্য মিডিয়ার মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছেন।

টেকসই উন্নয়নের জন্য নতুন নীতিমালা প্রণয়ন এবং আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য মান অনুসরণের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, স্বাস্থ্যসেবায় প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর জন্য ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা ও টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে সেবা প্রদানের সুপারিশ করা হয়েছে।

অবশেষে, রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবা এবং কার্যকরী ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রামের উন্নতির ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে। এই প্রস্তাবগুলো স্বাস্থ্যসেবার সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।