ঢাকা ১০:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আসন্ন পাকিস্তান সিরিজের দল ঘোষণা করলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) রাজনৈতিক কর্মসূচি বা বক্তব্যের আগে দলকে হিসেব-নিকেশ করতে হবে: এ্যানি পুলিশের ১১০ কর্মকর্তাকে এসআই থেকে ইন্সপেক্টর পদে উত্তরণ পাকিস্তানে টানা বৃষ্টিতে ২৪ ঘণ্টায় ৬৩ জনের মৃত্যু, দুর্ভোগে লাখো মানুষ গোয়েন্দা তথ্য ছিল, কিন্তু এমন ব্যাপকতা ধারণা করা যায়নি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা” কিশোরগঞ্জে ব্যবসায়ী সৈয়দুর হত্যা মামলায় ১৩ জনের যাবজ্জীবন রাশিয়া-ইউক্রেন পাল্টাপাল্টি ড্রোন হামলার তীব্রতা, দুই পক্ষেই হতাহত ভোটার তালিকা সংযোজনসহ তিনটি অধ্যাদেশের খসড়া উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন অবৈধ ৬২ কোটি টাকার সম্পদের প্রমাণ মিলেছে তারিক সিদ্দিকের: দুদক চকরিয়ায় চুরি করতে গিয়ে পুলিশের স্ত্রীকে ধর্ষণ, আটক ১

স্থানীয় সরকারে সংস্কার: শিক্ষাগত যোগ্যতা ও নতুন কাঠামোর সুপারিশ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:০৪:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 47

ছবি সংগৃহীত

স্থানীয় সরকার কাঠামোর জনপ্রতিনিধিদের জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণের সুপারিশ করতে যাচ্ছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। কমিশনের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে হলে ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে। তবে ইউপি সদস্যদের ক্ষেত্রে সরাসরি ভোটের বিধান বলবৎ থাকবে।
সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. তোফায়েল আহমদ জানিয়েছেন, শিক্ষিতদের জনপ্রতিনিধি হিসেবে আসার সুযোগ তৈরি করতে এবং নিরক্ষর বা স্বল্পশিক্ষিত প্রার্থীদের নির্বাচন প্রতিযোগিতা থেকে বাদ দিতে এই প্রস্তাবনা করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, রাজনৈতিক দল, পেশি ও টাকার দাপটে শিক্ষিতরা জনপ্রতিনিধি হতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন।
প্রস্তাবনায় চেয়ারম্যান ও মেয়রদের জন্য সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালনের বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানের বেতন উপজেলা পর্যায়ের প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার সমান এবং পৌর মেয়রদের বেতন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সমান করার সুপারিশ করা হয়েছে।
এ ছাড়া, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় সংসদ সদস্যদের ভূমিকা সীমিত করে তাদের কেবল মতামত প্রদানের সুযোগ রাখার কথা বলা হয়েছে। সরাসরি কোনো উপদেষ্টা পদে এমপিরা থাকবেন না।
৫০ হাজারের কম জনসংখ্যার পৌরসভাগুলোকে বিলুপ্ত করে ইউনিয়নের সঙ্গে একীভূত করার প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন। কমিশনের মতে, এসব পৌরসভা দলীয় নেতাদের পুনর্বাসনের জন্য গঠিত হয়েছে এবং এদের বেশিরভাগই আর্থিক সংকটে জর্জরিত।
নির্বাচনে অতিরিক্ত ব্যয় কমাতে সব স্থানীয় সরকার নির্বাচন একসঙ্গে আয়োজনের সুপারিশ করা হয়েছে। ২০২১-২০২৪ সালের মধ্যে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের ব্যয় হয়েছে প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকা। একসঙ্গে নির্বাচন করলে এই ব্যয় কমিয়ে ৬০০ কোটি টাকায় আনা সম্ভব হতো। একইসঙ্গে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার বন্ধের প্রস্তাবও রাখা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

স্থানীয় সরকারে সংস্কার: শিক্ষাগত যোগ্যতা ও নতুন কাঠামোর সুপারিশ

আপডেট সময় ০৬:০৪:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
স্থানীয় সরকার কাঠামোর জনপ্রতিনিধিদের জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণের সুপারিশ করতে যাচ্ছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। কমিশনের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে হলে ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে। তবে ইউপি সদস্যদের ক্ষেত্রে সরাসরি ভোটের বিধান বলবৎ থাকবে।
সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. তোফায়েল আহমদ জানিয়েছেন, শিক্ষিতদের জনপ্রতিনিধি হিসেবে আসার সুযোগ তৈরি করতে এবং নিরক্ষর বা স্বল্পশিক্ষিত প্রার্থীদের নির্বাচন প্রতিযোগিতা থেকে বাদ দিতে এই প্রস্তাবনা করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, রাজনৈতিক দল, পেশি ও টাকার দাপটে শিক্ষিতরা জনপ্রতিনিধি হতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন।
প্রস্তাবনায় চেয়ারম্যান ও মেয়রদের জন্য সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালনের বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানের বেতন উপজেলা পর্যায়ের প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার সমান এবং পৌর মেয়রদের বেতন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সমান করার সুপারিশ করা হয়েছে।
এ ছাড়া, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় সংসদ সদস্যদের ভূমিকা সীমিত করে তাদের কেবল মতামত প্রদানের সুযোগ রাখার কথা বলা হয়েছে। সরাসরি কোনো উপদেষ্টা পদে এমপিরা থাকবেন না।
৫০ হাজারের কম জনসংখ্যার পৌরসভাগুলোকে বিলুপ্ত করে ইউনিয়নের সঙ্গে একীভূত করার প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন। কমিশনের মতে, এসব পৌরসভা দলীয় নেতাদের পুনর্বাসনের জন্য গঠিত হয়েছে এবং এদের বেশিরভাগই আর্থিক সংকটে জর্জরিত।
নির্বাচনে অতিরিক্ত ব্যয় কমাতে সব স্থানীয় সরকার নির্বাচন একসঙ্গে আয়োজনের সুপারিশ করা হয়েছে। ২০২১-২০২৪ সালের মধ্যে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের ব্যয় হয়েছে প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকা। একসঙ্গে নির্বাচন করলে এই ব্যয় কমিয়ে ৬০০ কোটি টাকায় আনা সম্ভব হতো। একইসঙ্গে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার বন্ধের প্রস্তাবও রাখা হয়েছে।