‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ সহ তিনটি নতুন স্মারক দিবস ঘোষণা করলো সরকার

- আপডেট সময় ১০:২৮:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
- / 23
গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের যাত্রা শুরু হয়। এই ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে নতুন সরকার ৮ আগস্টকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।
এছাড়া, গণআন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত ছাত্র আবু সাঈদের স্মরণে ১৬ জুলাইকে ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ এবং আন্দোলনের গতি-পরিবর্তনের দিন ৫ আগস্টকে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবার (২৫ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে একযোগে তিনটি পৃথক পরিপত্র জারি করে এই দিবসগুলোর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়। পরিপত্রে বলা হয়, ঘোষিত দিবসগুলো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালনের ক্ষেত্রে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ‘ক’ ও ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে দিবসগুলো যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, জুলাই-আগস্ট মাসের গণ-অভ্যুত্থান কেন্দ্রিক দিবসগুলোকে স্মরণীয় করে রাখতে একটি ৩৬ সদস্যের জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
কমিটির কর্মসূচি সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকবেন মুক্তিযুদ্ধ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম এবং সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
জানানো হয়েছে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আগামী ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ৩৬ দিনব্যাপী দেশব্যাপী নানা আয়োজন চলবে। কর্মসূচির সূচনা হবে ১ জুলাই দেশের সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও প্রার্থনার মাধ্যমে।
নতুন বাংলাদেশ গড়ার এই পথচলায় দিবসগুলোর তাৎপর্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে সরকার গৃহীত কর্মসূচিগুলোর গুরুত্ব অনন্য বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।